ঘটনা_১ঃ
গত ডিসেম্বর মাসে আমরা চারজন কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলাম,উঠেছিলাম সুগন্ধা পয়েন্টের এক হোটেলে।সেখানে পৌছে সকালে সমুদ্রে ঝাপাঝাপি করে বিকেলের দিকে ইনানি যাওয়ার জন্য একটা অটো ঠিক করি।যাওয়ার পথে সব ই ঠিকঠাক ছিলো।সমস্যা শুরু হয় আসার পথে।এসব জায়গায় অটো বা সিএনজি চালকরা খুব সুবিধার হয়না এই ধারনা আমার আগেই ছিলো।সন্ধ্যার সূর্যাস্ত দেখার পর ফেরার পথে অটো চালকের বারংবার কল আসছিলো ফোনে।আমার সাথে সাথে সন্দেহ হয় সামনে কোনো বিপদ আছে।যাই হোক হিমছড়ি অবদি যে আমরা সেইফ সেটাও মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম কারন এখানেই চেকপোস্ট শেষ।একটু পর খেয়াল করলাম অটো চালক এক হাত দিয়ে অটো চালাচ্ছে আর এক হাত দিয়ে ফোনে ম্যাসেজ করছে।বুঝে ফেললাম আমাদের লোকেশন কাউকে অবগত করছে।আমি কোনো রিস্ক না নিয়ে অটো চালককে কিছু বুঝতে না দিয়ে হিমছরির পরে ছোটখাটো একটা বাজারে অটো থামিয়ে ভাড়া দিয়ে তাকে বিদায় করে দিই।স্পষ্ট তার চোখে মুখে ভয় ছিলো।সাথে মেয়ে থাকায় অচেনা জায়গায় ঝামেলা বাড়ায়নি।
ঘটনা_২ঃ
এবারের ঘটনা ও সেইম!সেইম প্যাটার্ন এই অটো চালকদের।এবার আমরা ছয়জন ছিলাম এবং সবাই ছেলে!তারপরেও এরা এত সাহস কিভাবে পায় বুঝলাম না।এবার ও সেইম ভাবে ফেরার পথে কল আসলো,চালক ম্যাসেজিং করলো!হিমছড়ি পার হয়ে চালক অটো অনেকটাই ধীরে চালানো শুরু করে।কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় অটোতে চার্জ প্রায় শেষ।এটা বলার সাথে সাথে আমি বুঝি সামনেই তাহলে অটো থামিয়ে দিবে চার্জের দোহায় দিয়ে।এবার অনেকটা ফাকা রাস্তাতেই পরে গেছিলাম এই সিচুয়েশনে।তারপরেও আমি অটো থামাতে বলি,সাথে সাথে রাস্তা ক্রস করে ২ টা গাড়ি থামিয়ে দিই যে আমরা একটু প্রব্লেমে পড়েছি।এরপর অটোচালককে কিছু টাকা কম দিয়ে বিদায় করে সব ঘটনা গাড়িচালকদের খুলে বলি।তারা জানালো এখানে প্রায় ই এমন হয়।পাহাড়ের মানুষের সাথে এদের কন্টাক্ট আছে।পাহাড় থেকে নেমে ছিনতাই করে আবার চলে যায়!
যা বুঝলাম এরা আমাদের নামিয়ে দিয়ে নিজেদের গ্রুপ্রের লোকদের সব জানিয়ে রাখে এবং জায়গামতো আসলে ছিনতাই করে।
সবাইকে অনুরোধ করবো কক্সবাজার গেলে ইনানি-কলাতলি রোড টা দিনে দিনে ঘুরে আসবেন।না পারলে অটো-সিএনজি পরিহার করে চান্দের গাড়ি ইউজ করবেন।
ধন্যবাদ।
লেখা: ওবায়দুর রহমান