আকাশের বুকে ভাসমান চাঁদ
ছড়ানো ছিটানো তারা,
মুগ্ধ নয়ন জোছনা সে রাতে
এ যে অপরূপ মনোহরা ।
ভাবি চলে যাই জোছনা বেয়ে
থাকি সে চাঁদের দেশে,
মিষ্টি আলোয় ঘুম পাড়াবে
স্বপন ভেসে ভেসে ।
তারাদের সাথে করি কোলাকুলি
পানসি মেঘের ছাওয়ায়,
খেলি লুকোচুরি পরীদের সাথে
মেলে দিয়ে ডানা হাওয়ার।
পারিজাত বনে ঘুরি আনমনে
সুপ্তি ছড়ানো ঘাসে,
কামিনী সুবাসে মাতাল বাতাস
শেষ শাওনের মাসে।
আলোছায়া ঘেরা কদমতলায়
ছড়ানো পাথর নুড়ি,
মাথা ভরা চুল সাদা ঝুঁটি বাঁধা
চরকা কাটে সে বুড়ি।
ঘোলাটে নয়নে তাকালো খানিক
শিহরণ লাগে বুকে,
ট্যারাবাঁকা দাঁতে অদ্ভুত হাসে
মাথা নাড়ে ঝুঁকে ঝুঁকে।
সারাদিন মাতি ঝরনা তলায়
স্নান করবার ছলে,
ময়ূরপঙ্খী দিই গো ভিড়িয়ে
স্নিগ্ধ সোনালী জলে।
দুর থেকে দেখি খুঁজছো আমায়
তোলাপাড় করে পাড়া,
লুকিয়ে আমি দেখছি সবই
দিচ্ছি নাকো সাড়া ।
এবার তো তোমায় হয়না দিতে
খুব করে মোরে বকা,
সারাদিন আর করে না দুষ্টুমি
তোমার দুষ্টু খোকা,
ভাঙ্গে না তোমার আচার শিশি
ফেলে না দুধের বাটি
আর করে না বায়না খোকা
করে না কান্না কাটি।
আর তো আমি ফিরব না মা
চাঁদেই যাবো রয়ে,
ভাবো খোকা হারিয়ে গেছে
রইবে ব্যাথা সয়ে ।
নিঝুম রাতে ঘুম পাড়াবে
কোলের বালিশ পেড়ে,
দেখবে জেগে ঘুমায় কিনা
হাতটি নেড়ে চেড়ে ।
দেখবো আমি কাঁদছো তুমি
ফুঁপিয়ে আঁচল তলে,
দু হাত বাড়িয়ে আসবো নাকো
ঝাঁপিয়ে তোমার গলে।
মা গো তুমি মনে করো না
যায় যদি খোকা চলে,
এমনি করে চাঁদের দেশে
একলা তোমায় ফেলে ।
আর বকো না আর মেরো না
আদর করো আমায়,
সত্যি বলছি যাবো না আমি
ছেড়ে কোথাও তোমায় ।