আফ্রিকায় তিনটা ভাগে বিভক্ত আছে এরিয়া। ১- শহর, ২- লোকেশন, ৩- গ্রাম।
শহর মানে কি তাতো সবার জানা। অফিস, আতালত, বড় বড় দালন-কোঠা, শত শত দোকান পার্ট। মানুষ ঘুরছে কেনা-কাটা করছে, আবার চোরের খপ্পরে পড়ছে।
চোর বলা চলেনা এদেরকে সন্ত্রাস বা ছিনতাইকারী বলা যায়।
লোকেশন, মিনিমাম একটা এরিয়া যেমন ১০০-১৫০ বাড়ি নিয়ে একটা লোকেশন। এটা অনেকটা আমাদের ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকার মত। এক বাড়ির সাথে ঘেষে আরেক বাড়ি। তবে সব গুলো বাড়িই একতলা। ১০০ বাড়ির মধ্যে একটা পাওয়া যেতে পারে দোতলা। একটা লোকেশন এ দোকান আছে সর্বোচ্চ ৪-৫ টা। আবার এমন লোকেশন আছে যেখানে কোন দোকান-পার্ট নেই। সেখানকার লোকজন গাড়ি দিয়ে গিয়ে অন্য এলাকা থেকে কেনা-কাটা করে আনে। লোকেশনে চোর এসে মাঝে মধ্যে দেখা দিয়ে যায় =D
গ্রাম, গ্রাম গুলো আমাদের দেশের মত না। একটা বাড়ি থেকে আরেকটা বাড়ির দুরত্ব অনেক। যার কারনে গ্রামে চুরির চান্সটা বেশী।
চারদিকে শুধু চোরের বসবাস পরিচিত কয়েকটা মুখ ছাড়া যাকে দেখি তাকেই চোর মনে হয়। অনেকে বলে শহর নাকি চোর নেই। কিন্তু মূলত শহরেই চোরের আস্তানা। প্রত্যেকটা জায়গায় অত পেতে আছে। সুযোগ বুঝেই মারছে থাবা। ওইদিন কুমিল্লার এক মুরুব্বি উনার জুতার দোকান, উনি বলতেছে, দেখ বাবা সকালে দোকান খুলে ভেতরে ঢুকতেই পেছনে তাকিয়ে দেখি, এক জুতা নিয়ে দিল দৌড়... আমিও দিলাম পেছন পেছন দৌড়। কিন্তু তা সাথে কি আমি পারি? কেউ একজন ধরেও না কিছু বলেও না। এই একটা জুতা নিয়ে সে করবে কি? আমাকেও বেচতে দিলো না নিজেও কোন কাজে লাগাতে পারবেনা। অনেক সময় এমন হয় জুতা বেচতে গেলে দেখি একটা আছে আরেকটা নাই। চোরের যন্ত্রনায় খুব কষ্টে আছি বাবা। উনাকে আর কি বলে সান্তনা দিবো? বললাম, কি আর করবেন দুই রকমের দুই জুতা আপনি নিজেই পরে ঘুরবেন :p ইটস আফ্রিকান স্টাইল। উনার দোকানটা জোহনেসবার্গ শহরে।
চোর ছিনতাই আর সন্ত্রাসী যাই বলি, তাদের দৃষ্টি সব সময় ফরেনার দের দিকে। তারা আমাদেরকে মনে করে ইন্ডিয়ান বাংলাদেশ নামটা অনেকেরই অজানা।
ইন্ডিয়ান মানেই টাকা। টাকা মানে র্যান্ড (আফ্রিকান মুদ্রা) পকেটে ১০ টাকা থাকলেও সেটা যথাযথ স্থানে লুকিয়ে রাখতে হয়। টাকা দেখলে এদের মাথা ঠিক থাকেনা। একবার যদি চিন্তা করে কোন দোকানে হামলা দিবে, তাহলে দিবেই সেটা রাতে হোক আর দিনে হোক। রাত হলে টিন কেটে ভেতরে ঠুকে যাবে আর দিন হলে "পিস্তল" তো আছেই। অসংখ্য রিস্কের মধ্যে আমাদের দেশের মানুষ বেচে আছে আফ্রিকায়......
বাংলাদেশীদের কি কি সমস্যা হয় এখানে সেটা নিয়ে লিখবো পরের পর্বে।
চলবে......