somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ইসলামের ইলম
মিথ্যার রাজ্যে সত্য কিছুটা বেমানান। তবুও সত্য তার নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে চলবেই। যারা সত্যের প্রচারে রত তারা ভাগ্যবান। সেই অনুপ্রেরণায় আমার ব্লগার হবার ইচ্ছা। আমার মূল লক্ষ্য সচেতন মুসলমানদের কাছে তাওহীদ স্পষ্ট করে প্রচার করা।

লাভের উপর লাভ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১. আত্নীয়তার সর্ম্পক রক্ষা করা
“কেউ যদি চায় যে তার মূলধন বৃদ্ধি করা হোক এবং বয়স দীর্ঘ করা হোক, তবে তাকে বল সে যেন আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।”
[বুখারী, মুসলিম]

২. ২টি হারামে (মক্কা ও মদীনা) সলাত পড়া
“আমার এই মাসজিদে সলাত পড়া অন্য কোথাও এক হাজার বার সলাত পড়ার চেয়ে উত্তম, শুধুমাত্র মাসজিদুল হারাম ছাড়া এবং মাসজিদুল হারাম এ সলাত পড়া অন্য কোথাও একশ হাজার বার সলাত পড়ার চেয়ে উত্তম।”
[আহমাদ, ইবন মাজাহ]

৩. জামা’আতে সলাত পড়া
“জামা’আতে সলাত পড়া একাকী সলাত পড়ার চাইতে সাতাশ গুন বেশী মর্যাদার।”
[বুখারী, মুসলিম]

৪. ঈশা এবং ফজর জামা’আতে পড়া
“যে ব্যক্তি ঈশার সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন অর্ধেক রাত ইবাদাত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন পুরো রাত ইবাদাত করল।”
[মুসলিম]

৫. নফল সালাত বাসায় পড়া
“ফরজ সলাত ছাড়া মানুষের সলাতের মধ্যে সেই সলাত উৎকৃষ্ট যা সে ঘরে পড়ে।”
[বুখারী, মুসলিম]

৬. দোহার (ইশরাক) সলাত পড়া
“যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকায়াত সলাত পড়ে, সে যেন হাজ্জ্ব এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এ কথাটি তিন বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন।]
[আত তিরমিজি]

৭. দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য মাসজিদে যাওয়া
“যে কোন দুনিয়াবী ইচ্ছা ছাড়া দ্বীনি ইলম শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে মাসজিদে যায়, সে ঐ ব্যক্তির মত যে তার হাজ্জ্ব পূর্ণ করল।”
[আত তাবারানী]

৮.রমাজানে ওমরাহ পালন করা
“রমাজানে ওমরাহ করা আমার সাথে হাজ্জ্ব করার সমান।”
[বুখারী]

৯. মাসজিদে ফরজ সলাত আদায় করা
“যে ব্যক্তি নিজের গৃহ থেকে পবিত্রতা অর্জন করে (অজু ও প্রয়োজনে গোসলও করে) আল্লাহর গৃহের মধ্য থেকে কোন একটি গৃহের দিকে যায়, আল্লাহর ফরজের মধ্য থেকে কোন একটি ফরজ আদায় করার উদ্দেশ্যে, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং অন্য পদক্ষেপটি তার একটি মর্যাদা উন্নত করে।”
[মুসলিম]

১০. জামা’আতে প্রথম সাড়িতে দাড়ানোর চেষ্টা করা
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্র্রথম সারির জন্য তিন বার এবং দ্বিতীয় সারির জন্য এক বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।”
[আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ]

১১. মাদীনার মাসজিদুল কুবায় সলাত পড়া
“যে ব্যক্তি ঘর থেকে নিজেকে পবিত্র করে, তারপর মাসজিদুল কু’বায় আসে এবং সলাত পড়ে , সে যেন ওমরাহর সওয়াব পেল।”
[আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ]

১২. আযানের জবাব দেয়া
“যখন তোমরা আযান শুনতে পাও, তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তার পুনরাবৃত্তি করে যাও। যখন শেষ হয় তখন চাও,তোমাকে দেয়া হবে।”
[আবি দাউদ, আন নাসাঈ]

১৩. রামাজানের এবং শাওয়ালের রোজা রাখা
“যে ব্যক্তি রামাজানের রোজা রাখলো, তারপর শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখলো সে যেন এক বছর রোজা রাখলো।”
[মুসলিম]

১৪. প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা
“প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা সারা বছর রোজা রাখার সমান।”
[বুখারী, মুসলিম]

১৫. রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানো
“যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় সে তার (রোজাদারের) সমান সাওয়াব পায়, কিন্তু এর ফলে রোজাদারের সাওয়াবের মধ্যে কোন কমতি হবে না।”
[তিরমিজি, ইবন মাজাহ]

১৬. লাইলাতুল ক্বদরে ইবাদাত করা
“মরযাদাপূর্ন এ রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।”
[সূরা ক্বদর , ৯৭:৩]

১৭. জিহাদ
“একজন ব্যক্তির আল্লাহর পথে জিহাদের সারিতে দাড়ানো, ৬০ বছর ইবাদাতের চেয়েও উত্তম।”
[আল হাকিম]

১৮. রিবাত (রাত জেগে সীমান্ত পাহারা দেয়া)
“একদিন ও একরাত স্বদেশের (মুসলিম দেশের সীমান্ত, যেখানে শত্রুর হামলার আশংখা আছে) সীমান্ত পাহারা দেয়া একমাস ধরে রোজা রাখা ও রাতে ইবাদাত করার চাইতে বেশী মূল্যবান। এ অবস্থায় যদি সে মারা যায় তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, মারা যাবার পরও তা তার জন্য জারী থাকবে। তার রিযকও জারী থাকবে এবং কবরের পরীক্ষা থেকেও সে থাকবে সুরক্ষিত।”
[মুসলিম]

১৯. যুলহাজ্ব এর প্রথম ১০ দিন বেশী বেশী ইবাদাত করা
“এমন কোন দিন নেই যেদিনে কৃত আমল এসব দিন অরথাৎ যুলহাজ্ব এর প্রথম ১০ দিনের নেক আমলের মত আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়।”
সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, “ইয়া রসূলুল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকী) আমল ও কি নয়?”
তিনি বললেন, “না, আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকী) আমলও নয়। তবে যে ব্যক্তি তাদের জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হল এবং এর কোনটা নিয়েই আর ফিরে আসল না।”
[বুখারী]


২০. কুরআনের বিশেষ সূরা গুলো বার বার তিলাওয়াত করা
‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক তৃতীয়াংশ এবং ‘ক্বুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন’ কুরআনের চার ভাগের এক ভাগ।”
[আত তাবারানী]

২১. মানুষের প্রয়োজন পূরণ করা
“যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন। যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের কোন অসুবিধা (বিপদ) দূর করে দেয়, আল্লাহ এর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন তার কষ্ট ও বিপদের অংশ বিশেষ দূর করে দিবেন।”

২২. কিছু বিশেষ যিকর
“সুবহানাল্লা-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু আল্লাহু আকবার” এই কালিমা গুলো বলা, সূর্য যে সমস্ত জিনিসের ওপর দিয়ে উদিত হয়, সেই সমুদয় জিনিসের অপেক্ষা অধিকতর প্রিয়।”
[মুসলিম]

২৩. “যে বাজারে প্রবেশ করে এবং বলে,
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইয়ুহঈ ওয়া ইয়ুমীতু ওয়াহুয়া হায়্যিউ লা ইয়ামুতু বিয়াদিহিল খাইর ওয়াহুয়া’আলা কুল্লি শাই্ইন ক্বদীর।’
আল্লাহ তার জন্য ১০ লক্ষ ভাল আমল লিখে দেন, ১০ লক্ষ খারাপ আমল মিটিয়ে দেন, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।”
[আত তিরমিজ]
এ রকম আরো অনেক যিকির আছে যার সওয়াব অসংখ্য।

২৪. হজ্জের সমান স্ওয়াব
“আল্লাহ কি তোমাদের জন্য ইশার সলাত জামাআতে পড়া হজ্জের সমান এবং ফজরের সলাত জামাআতে পড়া ওমরাহর সমান করেন নি” এবং ‘যে ফরজ সলাত জামাআতে পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তা হজ্জ্বের সমান েএবং যে নফল সলাত পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তার সওয়াব নফল ওমরাহর সমান।”
[সহীহ আল জামি: ৬৪৩২]
“যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামাআতের সাথে পড়ে, তারপর সূরয ওঠার আগ পর্ন্ত আল্লাহর যিকর করে, তারপর দু’রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুল্রাহ সাল্লাল্রাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথাটি ৩ বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন।]
[আত তিরমিজি]

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা



ইদানিং নারীনীতি নিয়ে দেশে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে। আলেম-ওলামা এবং ইসলামপন্থীরা যখন পাশ্চাত্যঘেঁষা নারীনীতির সুপারিশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখনই মূলত এই আলোচনার বিস্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারদের হতে হবে দেশের চিন্তাশীল সমাজের অগ্রনায়ক

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

আমার ৭ বছর ১১ মাসের ব্লগিং ক্যারিয়ারে ১০,০৭৩টি কমেন্ট করেছি। প্রতি পোস্টে গড়ে যদি ২টা করে কমেন্ট করে থাকি, তাহলে, আমি কম করেও ৫০০০টি পোস্ট পড়েছি। এর অর্থ, বছরে প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের শাহেদ জামাল- ৭৮

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭



আমার বন্ধু শাহেদ। শাহেদ জামাল।
খুবই ভালো একটা ছেলে। সামাজিক এবং মানবিক। হৃদয়বান তো অবশ্যই। দুঃখের বিষয় শাহেদের সাথে আমার দেখা হয় মাসে একবার। অথচ আমরা একই শহরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার অটোরিকশা

লিখেছেন শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

সেদিন একটা রিপোর্টে দেখলাম ঢাকা শহরে প্রায় ২০ লাখ রিক্সা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিক্সার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ! ২০১৯ সালের একটা জরিপে রিক্সার সংখ্যা ছিলো ১৩ লাখ। তার মানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৃষ্টির ঋণ....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:২৭

সৃষ্টির ঋণ....

মধ্য দুপুরে ডেল্টা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সিএনজি, বাইক, উবার কিছুই পাচ্ছিনা। অনেকটা পথ হেটে বাংলা কলেজের সামনে বেশকিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা রিকশা পেয়েছি....ঘর্মাক্ত ষাটোর্ধ কংকালসার রিকশাওয়ালাকে দেখে এড়িয়ে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×