ঘটনাটা আজকের।মাত্র এখন থেকে ৪ ঘন্টা আগের। কি বোর্ডে লিখতে গিয়ে আমার হাত কাপছে। আপনারা হয়ত জানেন আমি সিংগাপুরের নানইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। আমি যে বাসায় থাকি তার মালিক মুসলমান এবং মালয়শিয়ান। এখানে আছে পিআর হিসাবে। যাই হোক আমার সাথে তার ভাল সম্পর্ক। তিনি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়ার কারনে ছেলেমেয়েরা সবাই আলাদা বাসায় থাকে। তারা তেমন তার খোজ নেয় না। আমরা একই সাথে সব রোজা রেখেছি এবং এই সাথে ঈদের নামাজ পড়েছি। কিন্তু ঈদের দিনের পর মানে শনিবার থেকে তাকে আমি দেখছি না। ভেবেছি কোন আত্ত্বীয়ের বাড়ি গেছে । অবশ্য তার সাথে আমার সময়ও মিলতো না। আমি আসলে সে ঘুম দিছে দেখতাম। তার রুম লক করা। যাইহোক আজ দুপুরে ডাইনিং এ খেতে গিয়ে এক বিশ্রী গন্ধ পেলাম। অনেক চেষ্টা করলাম উতস খুজে পেতে পাইলাম না। পরে তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে ক্লাসে গেলাম।
রাতে বাসায় এসে সেই বিশ্রী গন্ধটা আরো তীব্র আকার ধারন করেছে বলে মনে হলো। পরে মালিকের বোনকে ফোন দিয়ে বিষয়টা জানালাম এবং এও বললাম যে মিঃ রহমানকে গত দুই দিন ধরে আমি দেখি নাই আর তাকে ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করছে না। পরে আন্টি তার ছেলেকে পাঠিয়ে দিলেন। সে এসে আংকেলের দরজা ভেংগে ফেললেন। তারপর যে দৃশ্য দেখলাম তা আমি কোন দিনো ভুলবো না। একটা মৃত লাশ মরে পচে ফুলে আছে।
তারপর পুলিশ, মেডিকেল টিমকে খবর দিলে তারা আসল। আমাকে এবং আমার রুমমেটকে কিছু প্রশ্ন করল এবং স্টেটমেন্ট নিল। তারপর আমাদের সব ফরমালিটি শেষ করে মালিকের বোন আমাদের এক দেশী বড় ভাইয়ের কাছে দিয়ে গেল। এখন গোসল করে ব্লগ লিখতে বসলাম। ভাবলাম আমার বন্ধুদের বিষয়টা জানাই।
এ কথা বলতে পারি আংকেল খুব ভাল লোক ছিল। সে সব সময় আমার সাথে তার মনের কথা শেয়ার করত। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৩