আমার এক বর্তমান কলিগের ঘটনা । তার বর্ণনায় তারই পুরোনো অফিসের এক হাই লেভেল এক্সিকিউটিভদের মিটিং এ সভাপতি সাহেব হেসে হেসে সব্বাইরে তেল পট্টি দিতেছিলেন এমনকি যাদের দোষ ছিল তাদেরকেও তিনি তোয়াজের ভঙ্গিতে বলতেছিলেন যেন তারা খুশি না থাকলে কোম্পানির চাকা থেমে যাবে। অথচ তাদের কিছু বড় ভুল সিদ্ধান্তের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানি বাধাগ্রস্ত হয়েছিল । তাইলে যারা কোন বড় ভুল সিদ্ধান্ত নেয় নাই, তাদের সাথে যেই রকম ব্যবহার, আর যারা ক্ষতি করছে তাদের সাথে একই রকম জামাই আদর ? স্বভাবতই এতে দুইপক্ষ একসাথে খুশি থাকার কথা না । যারা ভালভাবেই নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন তাদেরই একজন (যার আন্ডারে কিছুদিন সেই কলিগ কাজ করেছিল) মাঝে মধ্যে বেফাঁস কথা বলে ফেলেন । সেই তিনি হঠাত সেই মিটিং এ সভাপতিকে লক্ষ্য করে বলে বসলেন, “ শুধু হেসেই নিজের ঘর ঠিক রাখা যায় না, আর সবাইকেও একসাথে খুশি রাখা যায় না, স্যার ।“
সভাপতি ব্রিবত হয়ে বললেন, কি বললেন জনাব (অমুক)। সেই বেফাঁস বক্তা তখন বললেন, কিছু না স্যার ।
ঘটনাটা শুনে মনে হল সেই বক্তা তো ঠিকই বলেছেন । আসলেই সবাইকে একসাথে খুশি রাখা যায় না । অথচ সামু ঠিক সেই সুকঠিন কাজটি করে চলেছে । কীভাবে ?
সামুতে একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখা ছাপে, আবার স্বাধীনতার বিরোধীদেরও কি সুন্দর উস্কানিমূলক লেখা ছাপা হয় । বাক স্বাধীনতার মানে এই না যে আমার দেশ ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোন কথা বরদাশত করা উচিত । স্বাধীনতাবিরোধীদের সাফাই গাওয়া লেখা ছাপতে কোন সমস্যা নাই অথচ বলা হচ্ছে
অনলাইনে/অফলাইনে যুদ্ধাপরাধের দোসর গোষ্ঠী এ আয়োজনে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
আবার দেখা যাচ্ছে সুনাগরিক হবার পোস্ট যেমন আসছে,আবার পর্ন লিঙ্ক বা পর্ণ সংক্রান্ত পোস্ট আসছে দেদারছে । জাফর ইকবালের পক্ষে পোস্ট ছাপা হচ্ছে, আবার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যমূলক পোস্ট বার বার রিপোর্টের পরও টিকে যায় । সমাজের আলোকিত মানুষদের বিপক্ষে কোন প্রমাণ ছাড়া উস্কানিমূলক পোস্ট দেখলে সাথে সাথে মুছে দেয়া উচিত । তেমনি প্রতিষ্ঠিত স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষে পোস্ট দেখামাত্র মুছে ফেলা উচিত ।
বুঝিনা, সামু কি একসাথে সবাইকেই খুশি রাখতে চায় ?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৭