১৮৭০ এর দিকে যখন জার্মান সাম্রাজ্য একীভুত হলো তখনই গণতন্ত্রের সংকটটা প্রথম বোঝা গেল উদীয়মান প্রাশিয়ানদের কাছে । প্রাশিয়ান শাসকরা মোটেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন না তা বলা যাবে না । তবে গণতন্ত্রে তাঁদের আস্থা ছিল লক্ষ্য করার মত কম । কিন্তু তাঁরা ১৮২৯ আর ১৮৪৮ এর বিদ্রোহের রেশ মনে রেখেছিলেন ।
তাঁরা বুঝেছিলেন জনগনকে ন্যুনতম অধিকার না দিলে তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই ফুঁসে উঠবে এবং তা রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিশেষভাবে আহত করবে । একধরনের সীমিত গণতন্ত্রের চর্চা তাঁরা নিরবিচ্ছিন্নভাবেই চালিয়ে যান । এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতেই জার্মান স্যোশাল ডেমোক্র্যাটদের উত্থান ।
১৮৬৩ সালে ফার্ডিনান্ড লাসালের জার্মান শ্রমিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তার হাত ধরেই জার্মান স্যোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্ম হয় আরো বারো বছর পরে । এটিই জার্মানীর সবচেয়ে পুরনো দল এবং বর্তমানে ক্ষমতায় আছে । তখন জার্মানী ছিল অনেক গুলো জার্মান অভিজাত শাসিত রাজ্যের সমষ্টি, সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রাশিয়া ।
প্রাশিয়ার রাজাই ছিলেন আবার জার্মানীর সম্রাট । অভিজাততন্ত্র পুরোদমে চলছে, কিন্তু ওদিকে নির্বাচনও হচ্ছে, সম্রাটের চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী ছিলেন বিশ্বস্ত চ্যান্সেলর ওটো ফন বিসমার্ক । তবে বিসমার্ক এতোটাই সম্রাটভক্ত ছিলেন যে তাঁর হাতে সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে জার্মান সম্রাট প্রথম ফ্রেডেরিক নিশ্চিন্ত থাকতে পারতেন ।
একটা জিনিস মনে রাখা দরকার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা মার্ক্স থেকে ওভাবে প্রভাবিত হননি । মার্ক্স ছিলেন তাঁদের প্রায় সমসাময়িক ব্যাক্তিত্ব । মার্ক্স তাই শুরুর দিকের জার্মান সমাজতন্ত্রীরা এতটা পাত্তা দিতেন না । যদিও জীবদ্দশাতেই মার্ক্সের প্রভাব পড়বে সমস্ত সমাজতন্ত্রী চিন্তা ভাবনায় । কিন্তু এই প্রবাসী বা নির্বাসিত বুদ্ধিজীবিটির প্রভাব শুরুতে এত ব্যাপক ছিল না ।
তাঁরা বরং (মার্ক্স নিজেও অনেকটা যা ছিলেন) নিজেদের "হেগেলিয়ান আদর্শবাদী" ভাবতে ভালবাসতেন । হেগেলের প্রভাবটা (১৮৩০-১৮৪০) তাঁরা পুরো পেয়েছিলেন । ১৮৪৮ এর ক্ষণস্থায়ী বিপ্লবের পুরো স্মৃতি তাঁদের অনেকের মনে আছে । ১৮৭১ সালে প্যারিস কমিউনের ধারনায় উজ্জীবিত করেছে তাঁদের ।
কিন্তু এদের সাথে (পরবর্তীকালের) মার্কসবাদীদের ও তৎকালীণ নৈরাজ্যবাদীদের পার্থক্যটা শুরু থেকেই ধরা গেছিল । তাঁরা আসলে সমাজকল্যান-সম্পদের বন্টন এবং ক্ষমতা প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহনে অণেক বেশী আগ্রহী ছিলেন । যেখানে নৈরাজ্যবাদীরা সব ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে রাষ্ট্র-ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে এবং মার্ক্সিস্টরা শ্রেণী সংগ্রামের চেতনা জাগিয়ে দলভিত্তিক বিপ্লবের পরিকল্পনায় মশগুল হবেন । ওদিকে সোশ্যাল ডেমোক্রাট রা ভাবতেন বুর্জোয়া গণতন্ত্রের একটা ভাগ যখন পাওয়া গেছে বা যাচ্ছে (ব্রিটেন আর জার্মানীতে) তখন নিজেদের অবস্থান সংহত করে সামনে এগোনো যাক ।
১৮১২ সালটা রুশ পঞ্জিকায় বিশেষভাবে গুরুত্বপুর্ন, কারন এবছরই নেপোলিয়ন রাশিয়া আক্রমন করেন ও নিজের কফিনের সবচেয়ে বড় পেরেকটা নিজের হাতে ঠুকে দেন । সে যাই হোক, নেপোলিয়ন যখন মস্কো দখল করেছিলেন তখণ রুশরা মস্কো নিজেরাই জ্বালিয়ে দিয়েছিল । যেহেতু বেশিরভাগই বাড়িই তখন কাঠের ছিল, আগুন হু হু করে পুরো শহরটাকে গ্রাস করে ফেলেছিল । যে সময়ে ইভান ইয়াকভলেভ নামে একজন ধনী জোতদার নেপোলিয়নের সাথে দেখা করতে এলেন ।
নেপোলিয়ন বললেন তিনি ইভানকে মস্কো ত্যাগ করার অনুমতি দেবেন তবে ভাসিলিকে একটা কাজ করতে হবে । সেইন্ট পিটার্সবুর্গে জার প্রথম আলেক্সান্দারের কাছে নেপোলিয়নের নিজের হাতের লেখা চিঠি পৌঁছে দিতে হবে । ইভান রাজি হলেন, না হয়ে অবশ্য কোনো উপায়ও ছিল না । ইভানের 'পরিবার' বলতে ছিল তাঁর অল্প বয়সী জার্মান রক্ষিতা ভিলহেলমিনা লুইজা হাগ ও অবৈধ শিশু পুত্র আলেক্সান্দার । ভিলহেলমিনা তার ছেলের পদবী রেখেছিলেন 'হের্তসেন' বা 'হার্তসেন'--মানে 'হৃদয় সম্পর্কিত' (Herz--হৃৎপিন্ড, হৃদয় থেকে--Herzen) । পুত্রটি অর্থাৎআলেক্সান্দার হার্ৎসেন, রুশ চিন্তাজগতে আলোকপ্রাপ্তি ঘটাতে বিশেষ অবদান রাখবেন ।
১৮৩৪ সালে হার্ৎসেন মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে প্যারডি গান গাইবার দায়ে বহিস্কৃত ও নির্বাসিত হন । উত্র পুর্ব রাশিয়ার গন্ডগ্রাম ভিয়াৎকাতে হার্তসেন আটক ছিলেন, যতদিন না ১৮৩৮ এ জার দ্বিতীয় আলেক্সান্দার (তখন যুবরাজ) শহর পরিদর্শনে আসেন । কিছুটা উদারমনা আলেক্সান্দার, তাকে মুক্তি দিয়ে ভ্লাদিমির শহরে পাঠান অফিশিয়াল গেজেটের সম্পাদনার কাজে নিয়োগ দেন । তারপরে ১৮৪০ এর দিকে মস্কোতে আবার ফিরে আসেন হার্তসেন।
বেশ কিছুকাল সরকারী চাকুরি করার চেষ্টা করে দেখেন হার্তসেন । কিন্তু ৪৬ সালে বাবা অনেক সম্পত্তি রেখে মারা গেলে চাকুরি ছেড়ে দেন । যখন তখণ বিদঘুটে সব প্রেমে পড়ে যাওয়ার অভ্যাস ছিল এই উদারমনা বুদ্ধিজীবির । এইসব কারনে তিনি ১৮৪৭ এর গোড়ার দিকে রাশিয়া ছাড়েন । আরো কোনো দিন নিজের দেশে ফিরবেন না তিনি । বড় মাহেন্দ্রক্ষনে রাশিয়া ছেড়েছিলেন তিনি, কারন তার পরের বছরই ইউরোপ জুড়ে বিপ্লবের দাবানল জ্বলে উঠবে । আগুনঝরা ১৮৪৭ ।
সিসিলি থেকে বিপ্লবের আগুন জ্বলে উঠে ফ্রান্স, বিভক্ত জার্মানী থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে এমন কী ব্রাজিলে পর্যন্ত তার ঝাপটা লাগবে এই সাতচল্লিশের ইনকিলাব । তবে অপরিকল্পিত এই তান্ডব নিভে যাবে নেতৃত্বের অভাব ও শাসককুলে সুসংবদ্ধ দলন-পীড়ন নীতির সামনে । তবু এটা হবে তৎকালীন প্রায় সমস্ত বুদ্ধিজীবির মোড় ঘোরার সময়--টার্নিং পয়েন্ট । সোশ্যালিজম, ন্যাশনালিজম, লিবারেলিজম, পশ্চিমের সব 'ইজম' এরই বিশেষ বাড় বেড়েছিল এই বছরে ।
প্যারিসে লুই ফিলিপের সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লব শুরু হতে ইতালি থেকে ফ্রান্সে চলে আসেন হার্তসেন । কিন্তু রাজা ফিলিপকে তাড়াতে পারলেও বিপ্লবী শক্তি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় নিজেদের মধ্যে ঐক্যের অভাবে । এই ব্যার্থতা দেখে দ্রুত সুইজারল্যান্ডে আস্তানা গাড়েন হার্তসেন, এই বিপ্লব গভীরভাবে দাগ কেটে গেছে তাঁর মনে, কিন্তু এর ব্যার্থতা তাঁকে চিন্তার জগতে সংযম এনে দিয়েছিল । ১৮৫৪ সালে একবার জেনিভা ছেড়ে লন্ডনে আসবেন তিনি, তারপরে আবারো জেনিভা ফেরত যাবেন ৬৪ তে । প্যারিসে যক্ষায় ভুগে ১৮৭০ এ মৃত্যু ।
আলেক্সান্দার হার্তসেন ১৮৪২ সালে প্রথম লেখালেখি শুরু করেন 'ইসকান্দার' ছদ্মনামে । এর পরে অনেক প্রবন্ধ, বই লেখেন হার্তসেন । প্রবাস থেকে রুশভাষায় অনেক গুলো পত্রিকা সম্পাদনা করেন যেগুলো নিজের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । এর মধ্যে জনপ্রিয় ছিল 'কোলোকোল' (ঘন্টা), পোলিয়ার্নিয়া জভিয়েজদা (মেরু নক্ষত্র) বিশেষ উল্লেখজনক । শোনা যায় জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার নিজেই পড়তেন এ নিষিদ্ধ পত্রিকা দুটো ।
মিখাইল বাকুনিনের জন্ম ১৮১৪ সালে রাশিয়ার এক অভিজাত ঘরে । কিন্তু নীল রক্তের অধিকারী হলেও তিনি সারা জীবন অভিজাততন্ত্রের গনেশ ওল্টানোর কাজে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছিলেন । ১৮৩০ এর দশকে তিনি রুশ সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র অফিসার ছিলেন, ১৮৩৫ এ কিন্তু প্রতিবাদ স্বরুপ নিজের কমিশন বিসর্জন দেন ।
সে সময় দার্শনিক আলেক্সান্দার হার্তসেনের (আরেকজন রুশ নক্ষত্র) সাথে দেখা হয় বাকুনিনের । হারৎসেন বলা যায় বাকুনিনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেন । যদিও প্রথম জন ছিলেন উদারনীতির সবচেয়ে বড় প্রবক্তা আর বাকুনিন কালক্রমে নৈরাজ্যবাদের প্রথম প্রাণ পুরুষ হয়ে ওঠেন । জর্জ সঁ, কার্ল মার্ক্স, পিয়ের জোসেফ প্রদো , এসব গুণী ব্যাক্তিত সান্নিধ্যও বাকুনিন পরে পাবেন ।
১৮৪৪ এ বাকুনিনকে ফিরে আসার হুকুম দেন স্বয়ং জার । কিন্তু ফরমান অমান্য করায় তাঁর অভিজাত বংশ থেকে নাম কাটা যায় । সাতচল্লিশের বিপ্লবের সময় তিনি মনের আনন্দে বিপ্লবে যোগ দিয়েছেন । ১৮৫০ এ পোলিশদের সাহায্য করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি ও রাশিয়াতে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয় ।
প্রথমে সেইন্ট পিটার্সবু্র্গের পিটার আর পলের দুর্গে আটক ছিলেন তারপর সেখান থেকে সাইবেরিয়াতে চালান দেয়া হয় তাঁকে । সেখানে তাঁর জ্ঞাতি ভাই নিকোলাই মুরাভিওভ গভর্নর ছিলেন । নির্বাসনে থাকলেও বেশ আরামেই কাটান তিনি সাইবেরিয়ার রাজধানী ইরকুৎস্কে ।
মুরাভিওভ বেশ উদারমনা ছিলেন এবং তিনি নির্বাসিত এসব বিপ্লবী ও বুদ্ধিজীবিদের সংস্পর্শে থাকতে পছন্দ করতেন । কিন্তু বেশ কিছুদিন পরে মুরাভিওভকে পদচ্যুত করা হয়, কারন তিনি নাকি সাইবেরিয়াকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্রে রুপান্তরিত করার পরিকল্পনা আঁটছিলেন । কিন্তু পালিয়ে জাপান চলে যেতে সক্ষম হন তিনি এবং সেখান থেকে আমেরিকা হয় আবারো পশ্চিম ইউরোপ । লন্ডনে গিয়ে হার্তসেনের সাথে দেখা করেন বাকুনিন ।
১৮৮৪ এর দিকে কতিপয় রুশ বুদ্ধিজীবি এক হয় 'জনগনের মুক্তি' নামে একটা প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন । এবং খুব শিগগীরই তিনি আবার 'বিপ্লবী' কর্মকান্ডে' নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন । পরাধীন পোল্যান্ড রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে দেখে তিনি বিপ্লবী, অভিজাত-বিরোধী, প্রাক্তন অভিজাত রুশ দ্রুত সেখানে চলে গেলেন পোলদের সাহায্য করতে । (এইসব কারনে হার্তসেন ও বাকুনিন দুজনেই রাশিয়ার জাতীয়তাবাদীদের কাছে খুব অপ্রিয় হয়েছিলেন ।
কিন্তু বিদ্রোহটা বেলুনের মত চুপসে গেলে বাকুনিন সুইডেনে চলে গেলেন । তখনই তাঁর মাথা একটা গোপন সন্ত্রাসবাদী দল সৃষ্টি করার পরিকল্পনা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে । সুইডেন, জার্মানী, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড এবং অবশ্যই রুশ ও পোলিশ সদস্যদের সমম্বয়ে গড়ে ওঠে এই দলটা । 'সমস্ত কর্তৃত্ব যা স্বাধীনতাকে খর্ব ও সংকুচিত করে তাকে অস্বীকার ও ধ্বংস করাই আমাদের ব্রত,' শপথবাক্য ও মিশন স্টেটমেন্টে এই কথাগুলো লেখা ছিল ।
তারপরেও বাকুনিনকে নিরংকুশ যুদ্ধংদেহী সন্ত্রাসবাদী বলা যায় না । কারন এমিল লাকোলা'র ডাকে সাড়া দিয়ে জেনিভাতে শান্তি সন্মেলনে সংগঠক হিসেবে তিনি বেশ গুরত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখেন । সেখানে গারিবাল্দির সাথে দেখা হয় । ৭০ এ ফ্রাংকো-প্রাশিয়ান যুদ্ধে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাকুনিনের সহানুভুতি ছিল প্যারিস কমিউনের প্রতি । ৭২ সালের দ্য হেগ সন্মেলনে কার্ল মার্ক্সের সাথে মিখাইল বাকুনিনও ছিলেন । একদিকে সন্ত্রাসবাদ আরেকদিকে সমাজতন্ত্র ঝান্ডা ওড়ান বাকুনিন । তবে ঢালাও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতি তাঁর সমর্থন ছিল না সেটা প্রমান হয় সের্গেই নেচায়েভের সাথে বিরোধে । নেচায়েভ যেকোনো রকম রক্তারক্তি ঘটানোর পক্ষপাতী ছিলেন ।
কিন্তু কিছুকাল পরে প্রতিষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের সাথেও বিরোধ বাধলো । শুধু রাষ্ট্র নয় পার্টি ডিক্টেটরশিপের ঘোর বিরোধিতা করেন এই নৈরাজ্যবাদী । ফলে ৭২ সালে মার্ক্সিস্ট ধারার প্যানেল (বা ইন্টারন্যাশনাল) থেকে বহিস্কৃত হন বাকুনিন । বাকুনিন সকল কর্তৃত্বের বিলোপ এমন কী রাষ্ট্রের ধ্বংস সমস্ত 'প্রকৃত' বিপ্লবীর লক্ষ্য বলে দাবী করেন ।
বাকুনিন আর হার্তসেন, উদারপন্থী বুদ্ধিজীবি ও নৈরাজ্যবাদী বিপ্লবী এ দুটি নক্ষত্র অনেকদিন রাশিয়াতে বিপ্লবী শক্তিকে পথ দেখাবে । এক হিসাবে বলতে গেলে তাঁরা একই বৃক্ষের ফল ।
রুশদেশের সত্যিকথা ১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
তিমুর বলেছেন: জানি ভ্রাতঃ হাসিব । এইখানে আমি অ্যাংলো স্যাক্সন রীতি ফলো করতেসি । নাইলে তো মস্কোরে মস্কভা কইতে হয়!
আর ইংলিশে তো সহি মাখারাজে "প্রাশা" বইলাই জানি?
আর ইংলিশে তো সহি মাখারাজে "প্রাশা" বইলাই জানি?
আলোচিত ব্লগ
=তুমি হয়ে উঠো প্রেমী=
ভালোবাসায় কৃপণ হতে যেয়ো না তুমি
তোমার জন্য জীবন হোক স্বপ্নীল
তুমি হও আমার নীল সমুদ্দুরের এলবেট্রস
ভুলগুলো ভালোবেসে করে দাও ফুল
ভালোবাসো আমায় নিশিদিন, হরদম।
তোমার জন্য একটি উদাস দুপুর অপেক্ষায়
আমায় নিয়ে বসো কোথাও
বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
গতকাল বিকেল থেকে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমার শুরু করেছে।
গতকাল ট্রাম্পের শপথের অনুষ্ঠানে ২ লাখ মানুষকে আমন্ত্রণ করে টিকিট দেয়া হয়েছিলো; প্রচন্ড শীতের কারণে বাহিরে শপথ নেয়া সম্ভব হয়নি। পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে শপথ হয়েছিলো, সেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টগণ, বিচারপতিরা,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।।ঢাকায় বৈষম্যবিরোধীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ঢামেকে ছয়
রাজধানীর ডেমরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় অফিসে মানববন্ধনের সময় দুটি পক্ষের হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ছয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগ কি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে ?
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সর্বমহলে চলছে আলোচনা। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!
সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!
ইহা, উহা, ইহার, উহার, ইহাকে, উহাকে - ইত্যাকার সাধু ভাষার শ্রুতিমধুর কিছু শব্দসম্ভারের প্রয়োগ কদাচিত আমাদের প্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
১. ১৮ ই জুলাই, ২০০৭ রাত ১০:০৮ ০