না লিখে পারলাম না।
আমরা উগ্রবাদীদের বিরোধীতা সব সময় করি।
ফ্রান্সে হামলা অবশ্যই নিন্দনীয় যেকোন সভ্য মানুষের কাছে।
তবে অতি সভ্য মানুষের কাছে কখনই এটা নিন্দনীয় নয়
যখন এই ক্ষমতাধর দেশগুলো একযোগে হামলা চালালো
আফগানিস্তান,ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া।
হাজার হাজার নিরীহ মানুষদের হত্যা করলো।
আজও ইসরাঈল গণহারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতেছে।
কই তখনতো দরদ প্রেমেরী নিরব।
তখনতো প্রোফাই পিকচার চেঞ্জ করো না।
অবস্থা এই রকম হইছে যে,গাজা,সিরিয়ায় সরাসরি মৃত্যু দেখার পর যাদের কোন কষ্ট হয়নি কিন্তু
#Bajrongi_Bhaijan দেখার পর তাদের কি কান্না gasp emoticon tongue emoticon
সেইরকম ইরাক,সিরিয়া,ইয়েমেন এ প্রতিদিন শত শত মানুষ অকারণে মারতাছে তাতে কারো কষ্ট নেই ।
ওরা বুঝি মানুষ না আর ফ্রান্সের ওরা মানুষ।
এটা কি ধরনের অবস্থান।
আমি মনে করিনা প্যারিসে নিহত ১৫০ জন মানুষের লাশের মূল্য
ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়ায় নিহত ১৫০ জনের চেয়ে এক কানা কড়ি বেশি।
আমি রাজনীতি বুঝতে চাইনা, আমার কাছে বিশেষ কোন দেশের মানুষের প্রাণের মূল্য বেশি না।
আমি এই ঘটনায় দুঃখিত, মর্মাহত। ঠিক ততটাই মর্মাহত যতটা ফিলিস্তিনে ১৫০ জন মানুষ মারা গেলে হয়ে থাকি।
ফ্রান্সের পাশে আছো মাত্র ১৫০ জন লোক মারা যাওয়ায়।
তা তখন কেন তোমাদের চোখে ছানি পরে যখন লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়।
এক শ্রেণীর লোক কিছু না বুঝেই প্রোফাই পিকচারে ফ্রান্সের পতাকার জলছাপ দিলো।
কারন ওই টা না দিলে যদি মানুষ অসভ্য ভাবে।
আর কেউ কেউ ভাবছে সবাই যখন দিছে তখন আমিই বা কেন দিবো না।
ফ্রান্সের এই অবস্থায় তাদের জন্য সর্বাধিক সহানুভুতি প্রকাশ করছি।
কিন্তু প্রো পিক বদলাতে আমি রাজি নই।
আপনারা আমাকে ফিলিস্তিন,সিরিয়া,ইরাকে মারা যাওয়া ১৫০ জন মানুষের জন্য
প্রো পিক বদলানোর নিশ্চয়তা দিন, আমি আমার প্রো পিক চেঞ্জ করে নেব।
জানি আপনারা এই নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না।কারন আপনাদের দরদ সবার জন্য না।
আজকাল তেলির মাথায় তেল দিলে মর্ডান, উদার হওয়া যায়।
আজ প্রোফাইল পিকচারে ফ্রান্সের জলছাপ দিয়ে অনেকেই মানবতাবাদী সেজেছেন।
ফ্রান্সের মানুষগুলোর রক্ত লাল, চামরা সাদা, অর্থে বিত্তবান বলে কথা।
আইএস এর বিরুদ্ধে আপনারাএখন সোচ্চার হয়েছেন নিজেকে ভদ্র শান্তিপ্রিয় মর্ডাণ প্রমাণের জন্য।
তখন কোথায় ছিলো আপনাদের মানবতার প্রোফাইল পিক যখন
কেনিয়া-তিউনেয়েশিয়াতে ১৬৭জন খ্রিস্টান ছাত্র হত্যা করেছে আইএস।
ও ওরাতো গরিব দেশের লোক।ওদের মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা ।
ওদের মৃত্যুতে আবেগ আসে না।ওদের জন্য কেউ ফুল দিয়ে স্বরণ করেনি।
তাদের জন্য সারা বিশ্বের আহাজারির প্রয়োজন নেই।
আমরা শুধু মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে এক তরফা কথা বলি না ওরাতো খ্রিস্টান ছিলো।
কয়জন বিবেকবান তখন কেনিয়া-তিউনেয়েশিয়ার ফ্লাগকে প্রোফাইল বানাইছিলেন।
তাই লোক দেখানো আইএস বিরোধীতা করে মনবতাবাদী না সেজে
প্রকৃত অর্থেই আইএস সহ সকল সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে অবস্থান নিন।
একচোখে না দেখে দুই চোখে তাকান।
প্রতিবাদ করুন নিরিহ ফিলিস্তিনি হত্যার।
সিরায়া ইরাক,আফগানিস্তান,লেবানন,ইয়ামেনে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের হামলার
যেখানে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে হাজার হাজার প্রাণ।
তাদেরকেও সনাক্ত করুন যাদের পত্যক্ষ পরোক্ষ সহায়তায় আইএস এইগুলো করতেছে।
সেই ক্ষমতাধর দেশগুলো।
আমি দুঃখিত কাউকে কথায় আঘাত দিয়ে থাকলে।
ফ্রান্সের মানুষ গুলো ভালো থাকুক, ভালো থাকুক প্রতিটা মানুষ।
আমি আবারও বলতেছি ইসলাম ধর্মে উগ্রতার কোন স্থান নাই।
যারা এইগুলো করে তারা প্রকৃত অর্থে মুসলমানই না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১