না লিখে পারলাম না এতে কেউ খুশী হও অথবা বেজার।
বাংলাদেশে যতগুলো নির্মম হত্যাকান্ড হয়েছে তার প্রত্যেকটির সাথেই
একদল আইনের রক্ষক নামের ভক্ষক জড়িত ছিলো।
তারা কারা অনেকেই বুঝতেছেন।
নির্মম হত্যাকান্ডগুলোর একটি হলো রাজনের হত্যাকান্ড।
যা যেকোন মানুষের চোখে জল এনে দেয়।
হয়তো এই হত্যাকান্ডের ভিডিও এবং লোক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ব্যাপক প্রচারেই আজ রাজনের হত্যাকারীর আমরা ফাঁসি চাই।
কোন হত্যাকান্ডই অনির্মম নয়।সেটা তকী হত্যা হউক ,নারায়নগণ্জের হত্যাকান্ড হউক অথবা রাজন হত্যাকান্ড।
আমি অনেককেই হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে রাস্তায় মানববন্ধন করতে দেখেছি।
কেউ মায়ায় কেউবা নিজেকে পবিত্র করার জন্যই এই কাজ করতেছেন।
করুন অসুবিধা নাই তবে শুধু হত্যাকারীর ফাঁসির দাবী করলে চলবে ??
বারবার এই ধরনের হত্যাকান্ড যাদের আসকারায় হয়ে থাকে,
যারা অপরাধীর সাথে হাত মিলিয়ে অপরাধীদের সাহায্য করে।
যারা রাজনকে নির্মমভাবে খুনের পর ‘গণপিটুনিতে চোর মরেছে’ বলে খবর প্রচার করে
সেই সকল আইনের রক্ষকগুলোকে ফাঁসি না দিলে হত্যাকান্ড থামবে না আরও হবে,
আর ৬ লক্ষ ঘোষ দিয়ে হত্যাকারী দেশ ছেড়ে পালাতেও পারবে।
*** রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান আলম এজাহার নিয়ে গেলে
তাড়িয়ে দেয় জালালাবাদ থানা পুলিশ।
পুলিশ নিজেরা এজাহার লিখে রাজনকে দেয় চুরির অপবাদ।
ম্যানেজ হয়ে যান মামলার এজাহারকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা দু’জনই।
রাজনের বাবাকেও ম্যানেজের চেষ্টা চলে বড় অংকের অর্থের লোভ দেখিয়ে।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতক কামরুল ও ছাত্রলীগ কর্মী আলীর সঙ্গে বৈঠক হয় থানার পাশে খালি জায়গায়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার গিয়াসের মধ্যস্থতায় এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আলমগীর ও মামলার বাদী এসআই আমিনুল।
বৈঠকে ১২ লাখ টাকায় দফারফা করে ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দফারফার পর তড়িঘড়ি করে এসআই আমিনুল বাদী হয়ে মামলা রেকর্ড করেন।
আর তদন্তের দায়িত্ব নেন ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন।
মামলায় আসামি করা হয়নি অন্যতম ঘাতক প্রবাসী কামরুল ও
ছাত্রলীগ কর্মী আলী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে।***- সূত্র যুগান্তর
পরবর্তীতে জনগনের চাপে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদ ইচ্ছায়
রাজনের পিতার মামলা ঠিকঠাক মত নেয়া হয়।
তাহলে বুঝা গেলো এইভাবেই বাংলাদেশে হত্যার শিকার ভুক্তভোগী পরিবার আইনের সহায়তা পায়।
যাদের হত্যায় তেমন সাড়া পরেনা তারা বিচার পাওয়া দূরে থাক উলঠা বিচারের মুখামুখী হয়।
নানা অপবাদ কপালে জুটে।
আইনের সব রক্ষক খারাপ তা নয় তবে বেশী সংখ্যক খারাপ রক্ষক গুলার জন্য
আজ আইনের রক্ষকদের গালি দিতে ইচ্ছা করে।
এবার বলুন এই জালাবাদ থানার পুলিশদের কি কারনে শাস্তি হবে না?
পুলিশ প্রশাসনকে কি কখনোই সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করতে পারবে না?
এরা কাদের টাকায় বেতন পায়?
এভাবে শত শত হাজার হাজার ন্যায়সঙ্গত বিচারকে,মানুষের মৃত্যুকে
টাকার বিনিময়ে অজগরের মতো গিলে খায় আইনের সেই সকল রাবিশ
পুলিশ নামের জনগণের শত্রুরা,যারা ঘুষকুর তাদের বলতেছি।
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই ঘুষকুর আইনের রক্ষক নামের ভক্ষকদের ফাঁসি চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫