বর্তমান বাংলাদেশে যে ভাবে জ্যামিতিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচেছ ঠিক তেমনি ভাবে কমছে কৃষি জমির পরিমান। আমরা বইতে পড়েছিলাম গ্রামে শতকরা আশি জন লোক কৃষক। কিন্তু সেই হার আর নেই।কয়েক বছর আগেও দেখতাম দল বেঁধে বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আসত গ্রামে কৃষি জমির কাজ করার জন্য।কিন্তু এখন আর আসে না।তারা বিভিন্ন কারখানা শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। তাছাড়া আগে কৃষি জমি চাষ করে যে লাভ হত এখন কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই লাভ আর নেই।ফলে তারা আর কৃষি জমি চাষ করে না। আরও বিরাট সমস্যা হচ্ছে বড় কোম্পানি গুলো কৃষি জমির ওপর কারখানা নির্মান করার ফলে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে।
কৃষি জমি কমে যা্ওয়ার কারণঃ
১. জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি
২. দ্রুত শিল্পায়ণ
৩. নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন
৪. কৃষকের সামাজিক মর্যাদা কম।
৫. জনসংখ্যা স্থানান্তর
৬. অপরিকল্পিত বসত বাড়ি স্থাপন
কৃষি জমি রক্ষার উপায়ঃ
১. সরকার নির্দিষ্ট এলাকা কৃষি জমির জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া
২. যেখানে সেখানে শিল্প কারখানা স্থাপন বন্ধ করে দেওয়া
৩. নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন
৪. কৃষিতে উৎপাদিত ফসলের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেওয়া
৫. কৃষিতে ভূতুর্কি ব্যবস্থা করা
৬. অপরিকল্পিত বসত বাড়ি স্থাপন বন্ধ করে দেওয়া
আমরা যতই আধুনিক হয় না কেন আমরা কখনো কৃষককে বাদ দিতে পারব না ।কারণ তারা হচ্ছে অর্থনীতি চালিকা শক্তি।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে তার প্রভাব বাংলাদেশে ও পড়বে।বর্তমান বাংলাদেশ সুখী দেশের তালিকায় খাকলেও ভৌগলি অবস্থার কারণে বেশি সময় লাগবে না।এখন থেকে সরকার যদি সঠিক দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা না করে তাহলে ভবিষ্যৎ বংশধর বিরাট খাদ্য ঘাটতি মধ্যে পড়বে।