somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরবী ভাষার মাহাত্ম্য

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আরবী বিশ্বের একটি প্রাচীন ও কালজয়ী ভাষা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ছয়টি অফিসিয়াল ভাষারও একটি আরবী। বর্তমান বিশ্বের ৩৫০টি ভাষার মধ্যে আরবীর স্খান অনেক ঊর্ধ্বে। বিশ্বের ২২টি দেশে সরকারি ভাষারূপে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। কালের প্রবাহ কখনো এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে ক্ষুণí করতে বা অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারেনি। এই ভাষায় রয়েছে স্খিতিস্খাপকতা ও গতিশীলতার এক বিস্ময়কর সমাহার। আরবী সাহিত্য প্রায় দু'হাজার বছরের প্রাচীন সাহিত্য। অন্য সাহিত্যের ন্যায় আরবী সাহিত্যের প্রধান দু'টি ধারা আছে গদ্য ও পদ্য। যে কোন ভাষাতেই গদ্যের জন্ম হয় প্রথমে। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন ও মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মানুষ তুচ্ছ ও বৃহৎ ব্যাপারে অবলীলাক্রমে ভাষা ব্যবহার করে থাকে। আর সে ভাষা সাধারণত গদ্যে হয়। কেননা গদ্যে ভাবের আদান-প্রদান খুব সহজে সাধিত হয়। তবে পৃথিবীর অনেক ভাষার ন্যায় আরবীতেও সাহিত্য হিসেবে প্রথমে পদ্যের উন্মেষ ঘটে। তৎকালীন সময়ে লিখে রাখার ব্যবস্খা না থাকার কারণে প্রায়শ স্মৃতিশক্তির উপর নির্ভর করতে হতো। আর গদ্যের চেয়ে পদ্যে মুখস্খ করা সহজ ছিল। তাই বলা যায়, সাহিত্যিক গদ্যের আবির্ভাব আরবী সাহিত্যে পদ্যের পরে ঘটেছে। ইসলাম-পূর্ব যুগে গদ্যের যে সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, তা প্রধানত প্রবাদ-প্রবচন, বাগ্মিতা ও অসিয়াত-অন্তিম উপদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এছাড়া জ্যোতির্বিদদের ভবিষ্যদ্বাণী, কিছু লোক-কাহিনী, পুরোহিত ও জাদুকারদের ব্যবহৃত ছন্দোবদ্ধ ভাষাকেও গদ্য সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়। তবে এগুলোর নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা বেশ দুরূহ ব্যাপার। ইসলামের চিরায়ত সাহিত্যে আরবের ইসলাম-পূর্ব যুগ ‘আইয়ামে জাহেলিয়া' বলে অভিহিত। এ সময়ে আরবের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্খা ছিল অত্যন্ত নৈরাজ্যকর। এ যুগে গদ্য সাহিত্যের ব্যবহার ছিল অপ্রতুল। শৈল্পিক মানসমৃদ্ধ গদ্যের অস্তিত্ব ছিল বলে ইতিহাসে যে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাও স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ও ছন্দ-মিলের অভাবে যথাযথভাবে সংরক্ষিত হয়নি। জাহেলী যুগে সাহিত্য মানে কবিতাকেই মনে করা হতো। কবিতায় আরবদের সমাজ জীবন ও ব্যক্তিজীবন সুন্দরভাবে উৎকীর্ণ হতো। এ সময়ে গদ্য সাহিত্যের তেমন প্রচলন লক্ষ্য করা যায় না। ছন্দোবদ্ধ গদ্য ছাড়া সাহিত্যের অন্য ধারা বিশেষভাবে মূল্যায়িত হতো না।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×