ছবিটিতে দেখুন …
আহমেদ এবং ফাতেমার একটি সুন্দর মুহুর্ত ………. ♥ ♥ ♥
মেয়েটির নাম ফাতেমা। বয়স ২৫ বছর।
ছেলেটার নাম আহমেদ। বয়স ২৬ বছর।
ছেলেটির দুটি হাত নেই এবং মেয়েটির দুটি পা পঙ্গু।
ফাতেমা রান্নাঘরের যাবতীয় কাজ করে।
আহমেদ তার পা দিয়ে ফাতেমার চুল বেঁধে দেয়।
আবার ফাতেমা আহমেদের চুল ধুয়ে দেয়।
তারা একসাথে সঙ্গীত চর্চাও করে।
একে অপরকে ছাড়া কখনও কিছু খায় না তারা।
আহমেদ ফাতেমার জন্য কবিতা লিখতে পারে না কিন্তু ঠিকই সে কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়।
ফাতেমা মুগ্ধ নয়নে সেই কবিতা শোনে।
তারা দুজনই জীবনকে উপভোগ করে।
তারা শুধুমাত্র একে অপরের সাহায্যকারীই নয় তারা কিন্তু পরস্পরের জীবন সঙ্গীও বটে।
বেশ কিছুদিন হল তারা বিয়ে করেছে।
তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তারা নেশাগ্রস্থদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র খুলবে, যেখানে সঙ্গীতও শেখানো হবে।
আমরা অনেকেই হয়তো বা মুখে অনেক বড় বড় ভালবাসার কথা বলি কিন্তু ভালবাসার দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি না।
অনেক স্বামী স্ত্রীই একসাথে থাকতেই হিমশিম খায়।
আহমেদ এবং ফাতেমাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে,
তাদের এই শারীরিক অপূর্নতা কি কখনোই তাদের জীবনে কখনো হতাশা বয়ে আনে না?
উত্তরে তারা নির্মল হাসি দিয়ে বলে,
“ জীবন হয়তো বা আমাদেরকে কান্না করার ১০টি কারন দেখায় কিন্তু আমরাও জীবনকে উপভোগ করার ১০০টি কারন দেখাই ”
আপনাদের কাছে এটা একটা কাল্পনিক রূপকথার গল্পের মনে হতে পারে কিন্তু এটি একটি বাস্তব ঘটনা
..............ফেইসবুক থেকে একবন্ধুর সৌজন্যে প্রাপ্ত