বহুত ঝগড়া-ঝাটির পরে ওমর ১৬ আর আমি ১৪ টাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে একটা "কোকাকোলা ১/২" কিনার সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম। খাওয়ার নিয়ম ঠিক হল, ১-১ ঢোক পালা করে। সে এক চুমুকে ২ ফোঁটা বেশী নিচ্ছে কিনা তার কড়া হিসাব রেখে আমি কি করে পরের ঢোকে দু'ফোঁটা বেশী পুরবো, সেই ফন্দি আঁটছি...
দুজনে মিলে ৩ ঢোক শেষ করলাম। আমি লম্বা দমটুকু নিয়ে সবে মুখে পুরবো, অমনি কথুকে যেন এক টোকাই এসে করুন স্বরে__
-> "বাইজান, গর্মে কইলজাডা ফাইট্টা যাইতাসে, বোতলেত্তাই এট্টু কোক দেন না!"
দুজনেই মুহূর্তক্ষন চিন্তা করে ওমর সোওয়াবের খাতিরে আর আমি মানবিকতার খাতিরে একসঙ্গে বোতল ধরে এগিয়ে দিলাম...
পিচ্চি হাতে নিল। কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো বোতলের দিকে।
__সে-ও দেখে, আমরাও দেখি...
আবার সে-ও দেখে, আবার আমরাও দে...
__ হুট করে দিল বোতলে মুখ লাগিয়ে। *_* ঘট ঘট করে ঢোক কতক গিলতে গিলতে বোতলের মুখের ভিতর পিচ্চির ঠোঁট গুলো ঢুকে গেল।
এই...এই......এই.........
ঠোঁটের ভিতর থেকে চিকন হয়ে কি যেন বেরুচ্ছে?? ঘটনা কি হচ্ছে সেটা বুঝতে বুঝতে সেই জিনিস আরোও দু'তিনবার অলরেডি বেরিয়ে-ঢুকে আবার বেরুচ্ছে...
এইবার আর জিব না, মনেহল মিসাইল বেরিয়ে আমার আর ওমরের বুকে গিয়ে বিঁধলো...!!
তারপর মুখ থেকে বোতল নামিয়ে শুড়ুৎ করে লোল টেনে হাতের উল্টা পিঠ দিয়ে মুখ মুছলো পিচ্চি। বোতলটা ওমরের দিকে এগিয়ে দিয়ে পিচ্চি নিজ রাস্তায় আপন মনে হাঁটতে হাঁটতে মিলিয়ে গেল উত্তপ্ত ঢাকা শহরের ভিড়ে...
ওমরের ঘোর ভাঙ্গলো আমার কথায়__
-> "দোস্ত! তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, তোর জন্য আমি এতটুকু কনসিডার করতে পারবোনা? কোক টা ফেলিস না দোস্ত, খেয়ে ফেল।"
ওমরের সেকেন্ড দশ'এক লাগলো কি বলছি তা বুঝতে। ততক্ষনে আমি দৌঁড়...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৭