অক্টোবর ২৯, ২০১৬ সাল, সকাল সড়ে সাতটায় ৩য় কর্নফুলী নতুন ব্রীজ হতে বাসে চড়ে রওনা হলাম, উদ্দেশ্য কুতুবদিয়া ভ্রমন। নতুন ব্রীজ হতে প্রতিদিন বাস চলাচল করে মগনামা ঘাট পর্যন্ত, ক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা মগনামা ইউনিয়নে মগনামা জেটি ঘাট অবস্থিত। পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার লোকজন পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হয় মগনামা জেটি ঘাটটি। এখানে আছে বিশাল সমুদ্রের মাঝখানে বসে অবারিত নির্মল হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দিয়ে মনের আনন্দে ঢেউ আর জেলেদের মাছ ধরার বিরল দৃশ্যর দেখা। এই ঘাটের বৈশিষ্ট্য হল প্রকৃতির নির্মল হাওয়া ও জলের মাঝখানে বসে জলের খেলা দেখা এবং জেলেদের মাছ বিকিকিনি ও মগনামা থেকে কুতুবদিয়া যাত্রীদের ডিঙ্গি নৌকায় উঠানামা করার দৃশ্য।
কুতুবদিয়া চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বাংলাদেশের অতি নিকটবর্তী একটি দ্বীপ। কুতুবদিয়া চ্যানেল দ্বারা মূল ভুখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এর উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল, বাঁশখালী, চকোরিয়া এবং
দীর্ঘদিন ধরে নদীবাহিত পলিমাটি জমে, বাংলাদেশের মূলভূখণ্ডের সামান্যদূরে বঙ্গোপসাগর-এ বুকে এই দ্বীপ জেগে উঠেছে। খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই দ্বীপটি পুরোপুরি উঠে। তবে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, এই দ্বীপটি মানুষের বসবাস উপযোগী হয়ে উঠে। এরপর থেকে ক্রমে ক্রমে এই দ্বীপে মানুষের পদচারণা শুরু হয়। কথিত আছে, হযরত কুতুবুদ্দীন নামক জনৈক মুসলিম আধ্যাত্মিক পুরুষ এই দ্বীপে আস্তানা গড়ে তোলে। এই সময় এই দ্বীপে মগ ও পর্তুগীজদের চারণভূমি ছিল। কুতুবুদ্দীনের নেতৃত্বে আলী আকবর, আলী ফকির প্রমূখ শিষ্যদের নিয়ে এই দ্বীপে আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হন। এই সময় আরাকান থেকে পালিয়ে আসা মুসলমানদের একাংশ ভাগ্যান্বষণে এই দ্বীপে আসতে থাকে। জরিপ অনুযায়ী— আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া, চকরিয়া অঞ্চল থেকে অধিকাংশ আরাকানি মুসলমানদের সাথে বাঙালি মুসলমানরা এই দ্বীপে এসে বসতি স্থাপন করে। কালক্রমে কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে লোকমুখে এই দ্বীপের নাম হয়ে যায় 'কুতুবুদ্দীনের দিয়া'।
মগনামা ঘাট ও কুতুবদিয়া’র দর্শনীয় স্থান গুলি ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার ক্ষুদ্র চেষ্টা।
সূত্র ঃ গুগল ও ছবি আমার
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩১