আমার স্কুল জীবনের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে চট্টগ্রাম , চট্টগ্রাম আমার সেকান্ড হোম বলা যায়, যদিও ভাষাটা আমার সেই ভাবে রপ্ত হয়নি। বন্ধু মহলে এই নিয়ে বেশ হাসি ঠাট্টা হজম করতে হয়।
১৯৯৬ সালে চাকুরী জীবন শুরু করি সেই চট্টগ্রাম এর একটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে। সেই সুত্রে চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে দাবড়িয়ে বেড়ান হয়। স্কুল জীবনে ক্রিকেট এর সাথে সম্পর্ক থাকায় চট্টগ্রাম এর সব যায়গাতে যাতায়াত ছিল।
চট্টগ্রাম এর প্রতি আমার দূর্বলতা থাকায় ২০১৫ সালে যখন সেই চট্টগ্রামের প্রথম সারির ডেভলপমেন্টে প্রতিষ্ঠান আহবান জানায় তাদের সাপ্লাই চেইন বিভাগের দ্বায়িত্ব নিতে অধিক আগ্রহ নিয়ে তা গ্রহন করি। বাচ্চার স্কুল ও তার মায়ের শিক্ষকতার চাকুরীর কারনে তারা ঢাকায় থেকে যায়। আমার আবার ব্যাচেলার (মানে বিবাহিত ব্যাচেলার) জীবন শুরু হয়। পুরন নেশা আবার মাথা চাড়া দেয়, ট্রাভেলিং ও ফটোগ্রাফি যা আমার বাবার থেকে উত্তারাধীকার সূত্রে পাওয়া, ফটোগ্রাফি হাতেখড়ি সেই ১৯৮৭ থেকে যদিও আমার মতে আমি খুব ভাল ফটোগ্রাফার নই।
যা হোক আজাইরা ক্যাচাল বাদ দিয়া মূল কথায় আসি। ২৩ সেপ্ট্রম্বর ২০১৬ শুক্রবার ছুটির দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ভাবছি কোথায় যাওয়া যায়। ঠিক করলাম কাপ্তাই লেক পাড়ি দিয়ে রাঙ্গামাটি যাব, যেই ভাবা সেই কাজ একাই যাত্রা শুরু করলাম। কসমোপলিটান হাঊজিং বাসা হতে রওনা হলাম, বহদ্দার হাট থেকে বসে চড়লাম গন্তব্য কাপ্তাই ঘাট। কাপ্তাই ঘাট হতে ১৮০০ টাকায় ট্রলার ভাড়া নেই একাই, ভাড়া করার সময়ে যারা জানতে পারল আমি একাই এই কাপ্তাই লেক পাড়ি দিয়ে রাঙ্গামাটি যাব, সবাই বারন করল ও পথ নিরাপদ নয় বলে যাত্রা বাতিল করার উপদেশ দিল। ঘাটের লোকজনও একই মতামত। আমার স্ত্রীও বিভিন্নভাবে নির্বৃত্ত করার চেষ্টায় ছিল। যা হোক যাত্রা শুরু করলাম, ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট পর রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ পৌছালাম, যাত্রা পথের অপরুপ সৌন্দর্য বর্ননা করার ভাষা আমার লিখনিতে নেই বিধায় লিখলাম না, এই সৌন্দর্য শুধুই অনুভব করার, যা ওই পথ পাড়ি না দিয়ে অনুভব করা যাবে না বোধ হয়। তাই কিছু ছবি এ্যাড করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮