সদর থানার অন্তর্গত মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে গোকুল নামক গ্রাম এবং গোকুল, রামশহর ও পলাশবাড়ি গ্রাম তিনটির সংযোগ স্থলে অবস্থিত খননকৃত এই স্থাপনা গোকুল মেধ,আর আমাদের অনেকের কাছে এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত। অনেকে অবশ্য এটাকে লক্ষ্মীন্দরের মেধ বলেও থাকেন।
এই স্থাপনাটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।
ইষ্টক নির্মিত এই স্তপটি পূর্ব পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত ভাবে দীর্ঘ। এখানে ত্রিকোণ বিশিষ্ট ১৭২ টি কক্ষ আছে। সেই কক্ষগুলো দেখতে অনেক অস্বাভাবিক এবং এর এলোমেলো নির্মাণশৈলী এর বোধগম্যতাকে আরো দুর্বোধ্য করে তোলে। এই স্তূপটি বাসর ঘর নয়। এই স্তূপটির পশ্চিম অংশে আছে বাসর ঘরের প্রবাদ স্মৃতিচিহ্ন।
এর পূর্ব অংশে রয়েছে ২৪টি কোণ বিশিষ্ট চৌবাচ্চাসদৃশ একটি স্নানাগার। উক্ত স্নানাগারের মধ্যে ছিল ৮ ফুট গভীর একটি কূপ।
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তররের মতে এই স্থাপনাটি আনুমানিক খৃস্টাব্দ ৭ম শতাব্দী থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে এখানে বেহুলার বাসর হয়েছিল। যা সেন যুগের অনেক পূর্বেকার ঘটনা। তবে বর্তমান বিশেষকদের মতে এই কীর্তিস্তম্ভ ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৌদ্ধমঠ। এখানে বহু গর্তযুক্ত একটি ছোট প্রস্তর খণ্ডের সঙ্গে ষাঁড়ের প্রতিকৃতির একটি স্বর্ণ পত্র পাওয়া গিয়েছিল। আর সেটা থেকেই ধারণা করা হয় যে এটি একটি বর্গাকৃতির শিব মন্দির ছিলো। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা এবং হিউয়েন সাং তাদের ভ্রমণ কাহিনীতে এটাকে বৌদ্ধ মঠ রূপে উল্লেখ করেছিলেন বলেও জানা যায়। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিক গ্রন্থে এই মেধকে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রূপে উল্লেখ করা হয়েছে যা নির্মাণ করা হয়েছিল পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানীকে বাইরের শত্রু থেকে রক্ষা করার জন্য।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ।ছবি কৃতজ্ঞতা বাংলা উইকি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২