যেমন ধরা যাক হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণের কথাই,আমাদের জানা আছে নিশ্চয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ লোক মারা যায় ।অন্যদিকে নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪০০০ লোক মারা যায় এবং পরবর্তীতে সেই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরো প্রায় ২১৪,০০০ জন মানুষ।জাপানের আসাহি শিমবুন-এর করা হিসাব অনুযায়ী বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনায় ধরে হিরোশিমায় ২৩৭,০০০ এবং নাগাসাকিতে ১৩৫,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে ছিল।আচ্ছা এখন বলুনতো এখানে কি আল্লাহুর কোনো হাত আছে নাকি আল্লাহু বলেছেন আমাদের তোমরা বোমা মারো ? এখন একটা ভাইরাস আমরা আল্লাহুর সৃষ্টি সেরা জীব মানুষেরা যদি আবিস্কার করে কোনো শহরে ছড়াইয়া দেই আর তার কারনে হাজার হাজার মানুষের জান মালের ক্ষতি বা মারা যায়,আর তার পরে যদি বলি বা আল্লাহুকে দোষ দিয়ে বলি আল্লাহু চাইছেন তাই মানুষ মরছে বা তাদের ক্ষয়ক্ষতি হইছে তাহলে কি এটা হয়,বলুন ।বোমা বানাইলাম আমরা মানুষেরা আবার সেটা প্রয়োগও করলাম আমরাই আর দোষ দিলাম আল্লাহুর,এই আমাদের আল্লাহুর প্রতি ঈমান আর বিশ্বাস।
এরপর আসুন সাম্প্রতিক ডেঙ্গু নিয়েই একটু ভাবি।আমাদের ঘরের আশেপাশে যত ময়লা জমালাম আমরা,তার পর বাড়িতে টপে করে ফুলের গাছ রোপন করলাম আমরা আবার সেই গাছকে বাঁচানোর জন্য ইচ্ছে পানি দিয়ে টপ ভরাট করে রাখলাম,কিন্তু ঠিকমত পানি যাতে
সেই টপে জমে না থাকে সেরকম ব্যবস্থা করলাম না, আর যখন সেখান থেকে ডেঙ্গু বিস্তার করলো আর সেই ডেঙ্গুতে কেও আক্রান্ত হল
অমনেই আমরা আল্লাহুকে নিয়ে টাণাটাণি শুরু করলাম যে আল্লাহু চাইছেন বলে ওই লোকের ডেঙ্গু হইছে । অথচ আমরা যদি বাড়ির আশপাশ সব জায়গা ঠিকঠাক মত পরিস্কার রাখতাম তাহলে আর ডেঙ্গু বিস্তার লাভের সুযোগ থাকত না । তাই বলি কি সব কাজেই
আল্লাহুকে টাণাটাণি না করে নিজেদের সাধারন জ্ঞানটুকো যদি একটু খাটাই তাহলে দেখা যাবে দোষ বা ভুলগুলো কিন্তু আমাদেরই।
আল্লাহু কিন্তু আমাদের অনেক জ্ঞানবুদ্ধি দিয়েছেন সেগুলো একটু ভালো কাজে লাগালে অনেক খারাপ যুর্যোগ থেকে আমরা রেহাই
পেতে পারি ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭