সন্ধ্যে ৬টার দিকে, টিএসসির মোড়ের সামনে; প্রচুর ভিড় তখন। এমন সময় মাইক্রোবাসের সামনে জটলা দেখে এগিয়ে যায় লিটন নন্দীসহ কয়েকজন । জটলার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় একটি মেয়ে আর তাঁর স্বামীকে । ২৬-২৭ বছরের মেয়েটিও নববর্ষের শাড়ি পড়ে ঘুরতে বের হয়েছিলো স্বামীর সাথে। সেখান থেকে যখন তাঁকে উদ্ধার করা হয় গায়ে কোন শাড়ি ছিল না মেয়েটির। স্বামীকে মারা হচ্ছিল বেধড়কভাবে। সম্ভ্রম বাঁচাতে উদ্ধারকারীদের মধ্যে একজন মেয়েটিকে তাঁর গায়ের পাঞ্জাবী খুলে পড়িয়ে দেন । শূয়োরের বাচ্চাগুলোর একজন তখন বলছিলো এমন দৃশ্য আর পাওয়া যাবে না। ভিডিও করেন তাড়াতাড়ি।
ঘটনা ২: ছোট ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন টিএসসিতে। যা নিয়ে বাসায় ফেরত গেলেন কল্পনাও করেন নি তিনি । গ্যাংদের হাতে যখন পড়লেন তখন তিনি চিৎকার করে বলছিলেন.."ভাই,আমার সাথে আমার বাচ্চা আছে ,আমাকে ছেড়ে দেন" ।
এমন আরও অনেক ঘটনাই গতকাল ঘটেছে গতকাল টিএসসিতে। ১৫-২০ জনের কম করে হলেও ৫-৬ টা গ্রুপ ছিল গতকাল টিএসসির আশেপাশে । হতভাগ্য মেয়েগুলোকে ঘিরে উচ্চস্বরে বাজানো হচ্ছিল ভুভুজেলা আর্তচিৎকার যাতে বাইরে শোনা না যায় ।
১৯টা সিসিটিভি ক্যামেরা , তারপরও আমাদের পুলিশ বাহিনীর হাতে কোন প্রমাণ নেই, কোন বেজন্মা ধরা পড়ে নি । ধরা পড়েছিলো যে কজন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষোভ আর লজ্জায় চোখের জল আটকাতে পারছিলেন না অনেকে।
এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না এগুলো ১৯৭১ সালের নয় , এই ২০১৫ সালের স্বাধীন বাংলাদেশের ঘটনা ।
সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৩