আমি এবং আমার খালাতো ভাই রাতের বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছি। পুরা বাস প্রায় খালি। সবমিলিয়ে মেরে কেটে ১০-১২ জন মানুষ হবে। আমরা তাই একবার এই সিটে আরেকবার ঐ সিটে বেশ আরাম করে হাত-পা ছড়িয়ে বসে যাত্রা করছি।
রাত ৩ অথবা ৪টা। খালাতো ভাই সামনের সিটে। আমি মাঝের সারির তিন সিট নিয়ে ঘুমাচ্ছি। হঠাৎ গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ এর সংগে সংগেই ভারী ধুপ শব্দ সবশেষে হেলপারের আর্ত চিৎকারে ঘুম ভাংলো।
ঘটনা কি? খালাতো ভাই গভীর ঘুমে ছিলো। বাস রাস্তার বামদিকের গাছের ডালে বাড়ি খেয়ে উইন্ডশিল্ড ভেঙ্গে গিয়েছে। ড্রাইভার আচমকা ব্রেক কষাতে খালাতো ভাই উড়ে গিয়ে পরেছে হেলপারের গায়ে। যুগপৎ তিন শব্দের রহস্য উন্মোচন হলো।
পরবর্তী ঘটনা কিঞ্চিত করুন। উইন্ডশিল্ড পরিদর্শণ শেষে দেখা গেলো হালকা চিড় ধরেছে কিন্তু হেলপার চিৎ হয়ে সিটের উপর কোঁকাচ্ছে। বেচারার মুখ বেদনায় বিকৃত। আমার খালাতো ভাই বেশ কিছুটা পৃথুল ধরনের। বাকি ঘটনা আপনাদের সহজেই অনুনেয়।
বাকি রাস্তা যাত্রীদের দোকানের চাল, মরার মতো ঘুম এবং ভারী ছুটন্ত বস্তুর বেগজনিত আলোচনা আমাকে ব্যাপক আনন্দ দিলেও খালাতো ভাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেঃ “হে ধরনী দ্বিধা হও”