সদ্য সমাপ্ত জাতীর নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির সাম্ভাব্য তিনটি কারন আমার চোখেঃ
১। জামাতে ইসলামঃ বিএনপি জামাতকে নিয়ে যথেষ্ঠ আশাবাদী এবং বাড়াবড়ি করেছিলো কিন্তু মানুষের মনের ট্রেন্ড কোন দিকে যাচ্ছে ধরতে পুরাপুরি ব্যার্থ হয়েছে। জামাতের কাছে আসন বন্টন এবং তাদের মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধী ইস্যু নিয়ে লাগামহীন মন্তব্যের কারনে প্রচুর ভোট হারিয়েছে। এবার জনগন সাফ ছিলো যে রাজাকারদের ভোট দিবো না।
২। দূর্নীতিবাজদের মনোনয়নঃ বিএনপি লাগামহীন ভাবে জনগনের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে তা বিবেচনায় না নিয়ে সেই পুরাতন দূর্নীতিবাজদের মনোনয়ন দিয়ে ভোটারদের মানসিক অবস্থার দিকে কোন নজর দেয় নাই। এইসকল তথাকথিত জনপ্রিয় নেতাদের যে সাধারণ মানুষ অবস্থার শিকার হয়ে অতীতে নির্বাচন করেছিলো তা সুস্পষ্ঠ। তারা অতীতে জনগনের সমর্থনকে নিজের জন্য কাজে লাগিয়েছিল তাই এবার তারা জনগন দ্বারা প্রত্যাক্ষিত হয়েছে।
৩। তারেক ও কোকোঃ গত ৫ বছরে তারেক ও কোকোর সীমাহীন দূর্নীতি, ক্ষমতার যথেচ্ছে ব্যাবহার, লুটপাটের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার প্রশ্রয়। পরবর্তিতে জেল খাটার পরেও তারেক ও কোকোর ব্যাপারে বিএনপি তথা খালেদা জিয়ার দৃষ্টিভংগির সামান্যতম পরিবর্তন ঘটে নাই যা জনগনকে অত্যন্ত ব্যাথিত করেছে।
এখনো বিএনপি যদি নিজেদের ভুলগুলি থেকে শিক্ষা না নিয়ে বোকার স্বর্গে বাস করতে চায় তাহলে বিএনপির অস্তিত্ত্ব সংকটে পরবে, যা আমাদের দেশের জন্য অত্যান্ত খারাপ হবে। বিএনপির উচিৎ হবে এইমূহুর্তে জামাতের সংস্পর্শ ত্যাগ করে নিজেদের ইমেজ পুনঃউদ্ধার করা এবং সিদ্ধান্তগুলো নিজেদেরই নেয়া।
দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলের অত্যন্ত প্রয়োজন। নাহলে সামরিক ব্যাকড্আপ কল্যান পার্টি অথবা বিকল্প ধারা টাইপের রাজনৈতিক দলের জনগনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু এবারের নির্বাচনের ফলাফলই তার উজ্জ্বল উধাহরন।
বিঃদ্রঃ বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।