আমার এক কলিগ আছে সে আর মাস দুয়েক পরে জয়েন করেছে। জয়েন করার পরেরদিন থেকেই সে আমাকে পাম দিয়ে আসছে এটা বলে যে, এই ব্রাঞ্চে আমাকেই তার সবচেয়ে পছন্দ। তার যেকোন সমস্যার কথা নাকি সে আমাকে কোন সংকোচ ছাড়াই বলতে পারে! এটা শুনে আমি স্বভাবতই গদগদ হয়ে বসে ছিলাম। কিন্তু গত সপ্তাহে আমার মন সে ভেঙ্গে দিয়ে আরেক কলিগকে ঈদের গিফট হিসেবে একখানা কানের দুল গিফট দিয়েছে।

খবর পাওয়া মাত্র এক মুহূর্ত দেরী না করে তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে একতলায় গেলাম আর বললাম, তোমার নাকি ব্রাঞ্চে সবচেয়ে পছন্দের মানুষ আমি তবে কেন গিফট দেবার বেলায় ওকে দিলা??


থাক সেসব দুঃখের কথা!


আমার ভাগ্না এমনি সময় ফোন করে যদি কথা বলতে চাই মন চাইলে কথা বলে মন না চাইলে বলে না। যখন তার কথা বলতে ইচ্ছা হয় তখন যদি ফোন কেটে যায় সে কল ব্যাক করে বারান্দায় বা সিড়িতে বসে একা একা সুখ দুঃখের আলাপ চালায়। ঈদে বাসায় যাবো আমরা এই উপলক্ষ্যে তার বিরাট লিস্টি তৈরি। আম্মুর সাথে হয়তো ফোনে কথা বলছি সে ধমকের স্বরে বলবে, কার সাথে কথা বলো নানী?
আম্মু: তোমার মেজখালার সাথে।
ভাগ্না: আমাকে দাও আমি কথা বলবো।
আম্মু: আগে আমি একটু বলে নিই।
ভাগ্না: নাহ আগে আমি বলবো।
তার অনেকগুলো ডিমান্ডের মধ্যে ২টা হচ্ছে রিমোটওয়ালা গাড়ি আরেকটা খেলনা প্লেন। আমি তাকে বললাম, কেন আসল প্লেন কিনে দিই?
সে বলল, সে চালাতে পারবে না।
আমি: রিমোট ওয়ালা গাড়িও তো তুমি চালাতে পারো না।
ভাগ্না: আমি শিখে নিবো।
তার চাপা মারার অভ্যাস হয়েছে ইদানীং। একদিন ফোনে আমার ছোটবোনকে বলছে সে একটা চোরকে মেরে ভর্তা বানিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। চানা বলল, চোর কেমন দেখতে খালামনি?
সে বলল, অন্ধকারে তো তাই সে চোরের চেহারা দেখতে পায় নি।