আল্লাহ ইসলাম ধর্মে, শিক্ষাদীক্ষা, এবং জ্ঞানের উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। রাসুল (সাঃ) উপর সর্বপ্রথম আল কুরআনের যে আয়াত সমুহ নাযিল হয়েছে তা হলঃ
১) তুমি পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, --
২) সৃষ্টি করেছেন মানুষকে এক জমাট রক্তপিন্ড থেকে
৩) পড়ো! আর তোমার প্রভু মহাসম্মানিত –
৪) যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলমের সাহায্যে,
৫) শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতোই না।
যদিও ঐ সময় আরব উপদ্বীপে লেখার উপকরন এবং লেখার দক্ষতা উভয়ই বিরল ছিল তবুও আল্লাহ কুরআনের আয়াত সমুহে পড়া এবং লিখন পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছেন।
এই দক্ষতা এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজন মুসলমানকে পড়তে ও লিখতে শেখার পরিবর্তে বদর যুদ্ধের সময় কয়েকজন বন্দিকে তাদের স্বাধীনতা অর্জনের অনুমতি দিয়েছিলেন। কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের বানি পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে, ইসলাম ধর্মে শিক্ষা দীক্ষা ও জ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
কুরআনে জ্ঞান চর্চার গুরুত্বঃ
যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। [39:10]
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। [58:12]
হাদীসে জ্ঞান চর্চার গুরুত্বঃ
ক্বায়স বিন হাযিম (রহ.) বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেবল দু’টি বিষয়ে ইর্ষা করা বৈধ; (১) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ্ সম্পদ দিয়েছেন, অতঃপর তাকে বৈধ পন্থায় অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতা দিয়েছেন; (২) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ্ তা‘আলা প্রজ্ঞা দান করেছেন, অতঃপর সে তার মাধ্যমে বিচার ফায়সালা করে ও তা অন্যকে শিক্ষা দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
(বুখারী ১৪০৯,৭১৪১,৭৩১৬; মুসলিম ৬/৪৭ হাঃ ৮১৬, আহমাদ ৩৪৫১)
https://www.hadithbd.com/show.php?pageNum_RsHadith=1&BookID=12&SectionID=200