পাবলো নেরুদা খুব পড়িনি কখনো। সেদিন সারারাত জেগে দেখছিলাম Il Postino একজন ডাক হরকরার কবি হয়ে ওঠার গল্প। খুব সাধারণ জীবন কবিতার ছোঁয়ায় অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প। এই ছবিটিতে যে কবি ডাক হরকরার জীবনকে কবিতা দিয়ে বদলে দিয়েছিলেন, তার সামনে খুলে দিয়েছিলেন মায়াময় আপাতঃ ব্যাখ্যাহীন এক জগৎ; তিনি পাবলো নেরুদা। ছবিটি দেখার পরদিন এক বন্ধুর ফেসবুক নোটে দেখি নেরুদার Ausencia (Absence) কবিতাটির অনুবাদ। আর ঠিক তখনই, কেমন যেন একটু দুঃসাহসিক হতে ইচ্ছে হল।
অনুবাদ করব এমন ভাবনা ছিলনা কখনো। নেরুদা ভাবালেন। ছবির ডাক-হরকরার মত আমাকেও কি বদলে দিলেন খানিকটা?
অপেক্ষা কোরো, একটি গোলাপের
তোমায় ছেড়ে যাইনি সহসাই
আমার অস্তিত্বের গহীনতায় কি সহসাই না আসো তুমি
স্ফটিক শুভ্রতায়
কিংবা ভীরু কম্পনে
অথবা আমার অর্বাচীন আঘাতের অসহজতায়
ভালবাসার সুখানুভূতিতে আচ্ছ্বন্ন বুজে থাকা চোখ নিয়ে আস তুমি
জীবনের প্রাচুর্যে তোমার এ তৃপ্তিতে
আমারও তো আছে নিঃসংকোচ অবদান।
প্রিয়তম আমার
কি ভীষণ তৃষ্ণার কালে প্রথম দেখায়
আকন্ঠ পান করেছি সবটুকু রক্ত-জল
তীব্র ক্ষুধাতুর দু'টি প্রাণ
জ্বলন্ত স্ফুলিঙ্গের দহন তীব্রতায়
দংশন করেছি একে অপরকে
আগুনপোড়া ক্ষতের মত আজো বয়ে বেড়াই সে চিহ্ন
আর তো ক্ষণিকের অপেক্ষা
তোমার শুভ্রতাটুকু ধরে রেখো হে প্রিয়
তোমায় গোলাপ দেবার বাসনায়
আমি আসছি
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৫৩