somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি...(সত্যি কিন্তু, হাসলে মারমু কইলামX()

২২ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ প্রতিদিন সকালে উঠেই কিছু না কিছু প্রতিজ্ঞা করে। আমার প্রতিজ্ঞাটা একটু ভিন্ন প্রকৃতির, ঠিক এই রকমঃ
আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠিয়াই প্রকৃতির ডাক বিভাগের ডিউটি নিষ্ঠার সাথে পালন করিবার ক্ষেত্রে বিন্দু মাত্র ফাঁকিবাজি করিব না। ডাক বিভাগের কাজ দ্রুত সারিবার ক্ষেত্রে কোন প্রকারের গড়িমসিও করিব না। চুপচাপ ডাক বিভাগ থেকে ফিরিয়া প্রাতঃভ্রমণে চলিয়া যাইব। যাইবার পূর্বে ভালমানের শক্ত মজবুত প্যান্ট পরিয়া যাইব, টিস্যু পেপার মার্কা প্যান্ট পরিব না, না হইলে শরীর চর্চার তোপে প্যান্টখানা ৯০ ডিগ্রি কোণে সমদ্বিখণ্ডিত হইবার প্রবল আশঙ্কা রহিয়াছে। অতঃপর বাসায় ফিরিয়া ক্ষুধার রাজ্যের সেই অকৃত্রিম দান পূর্ণিমার চাঁদ (ঝলসানো রুটি) এবং দেশি মুরগীর স্বর্গীয় আশীর্বাদ (ডিম) নির্মিত মামলেট দিয়া প্রভাতাহার (breakfast) সমাপ্ত করিব, কিন্তু ভুলেও বাসার দরজা জানালার পর্দাকে রুমাল ভাবিয়া হাত মুছিব না। এরপর প্রয়োজনীয় বইপুস্তক নিয়া কোচিংএর উদ্দেশ্যে যাত্রা করিব। যাওয়ার আগে থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট পরিবার কথা মনেও আনিব না, তা হইলে প্রেস্টিজ পাতালে নামিয়া যাইতে পারে। কোচিংয়ে কোন প্রকারের দুষ্টামিতে মাতিব না, মাস্টার মশাই যাহা বলিবেন তাহা মনোযোগের সাথে শ্রবন করিব, বোর্ডের লেখা খাতায় তুলিবার ক্ষেত্রে কোনরূপ কার্পণ্য করিব না। অতঃপর সোজা বাসায় ফিরিব। ফিরিবার পথে কোন ফাজিল মেয়ে চোখ টিপিলে এটাকে পদার্থবিজ্ঞানের অভ্যন্তরীণ বিষয় ধরিয়া নিয়া নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র প্রয়োগ করিবার কথা চিন্তা করিব না, শান্ত ভাবে নিচের দিকে চোখ নামাইয়া চলিয়া যাইব। বাসায় যাইয়া সাদাসিদা পোশাক পরিয়া কলেজের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করিব। যাইবার পথে বাসে বসিয়া নিজের পকেট ভাবিয়া অন্যের পকেতে হাত ঢুকাইয়া চুপচাপ বসিয়া থাকিব না। তাহা করিলে পাবলিকের ফেয়ারনেস ধোলাই অনিবার্য, সেই সাথে শ্বশুর আব্বার প্যাঁদানিও ফ্রী থাকিবে। কলেজে প্রবেশ করিয়া সোজা ক্লাশে যাইব, কে কোন মেয়ের সাথে টাংকি নিক্ষেপ করিতেছে তা নিয়া ডিপার্টমেন্টের দেয়ালে পরিসংখ্যান করিতে শুরু করিব না। শিক্ষক রোল ডাকিতে শুরু করিলে নিজের রোল নম্বরের বিপরীতেই সাড়া প্রদান করিব, অন্যের রোল নম্বরকে নিজের রোল নম্বর মনে করিব না। কখনো ক্লাশ বাদ দিয়া কোন মেয়ের সাথে রোমান্টিক প্যাঁচাল পাড়িব না। কোন দিন কার বার্থডে তা নিয়া কখনো তথ্য সংগ্রহ করিব না। কোন তথ্য নিজের থাকিলেও ঐ ভদ্রলোকরে ক্যান্টিনে ঢুকাইয়া খাওয়ানোর জন্য জ্বালাতন শুরু করিব না, করিলে নিজের বার্থডের দিনে আমার বারোটা বাজিবে।

কলেজ থেকে বাসায় ফিরিয়া চুপচাপ খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করিব, কখনো খাবারের আইটেম নিয়া গ্যাঞ্জাম লাগাইয়া দিব না। অতঃপর চুপচাপ পড়তে বসিব, এবং পড়িব; কোন বন্ধুর সাথে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ফোনালাপ বাকি আছে তা মনে করিবার চেষ্টা করিব না। কখনো ফেসবুককে নিজের টেক্সটবুক মনে করিব না এবং কখনো ফেসবুকের কন্টেন্ট সমূহ মুখস্ত করিয়া পরীক্ষা দিতে যাইব না। বাংলা পরীক্ষায় খাতাকে সামুব্লগ মনে করিয়া সাড়ে চৌত্রিশ কিছিমের বাইক্কা কথাবার্তা লিখিব না, লিখিলে তার প্রতিফল হিসেবে পরীক্ষার খাতায় অতি নিচু মানের নম্বর আমার জন্য বরাদ্দ থাকিবে, সেই সাথে টিচারের চইদ্দ প্রকারের আজাইরা প্যাঁদানিও ফ্রী দেয়া হইবে।

ব্যবহারিক খাতায় লিখিবার সময় কোন পরীক্ষণের কাজের ধারায় আমার সোনার বাংলা কিংবা উপাত্ত তুলিবার জায়গায় বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকা ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর তুলিয়া দিব না। দিয়ে ধরা খাইলে মাস্টার মহোদয়ের ইয়র্কার হজম করিতে না পারিয়া বোল্ড আউট হইয়া প্যভিলিয়নে ফিরিয়া যাইতে বাধ্য হইতে হইবে এবং পরবর্তীতে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় আমার নম্বরও বাংলাদেশের স্কোরকার্ডের রানগুলার মত হইবে। কলেজে নিয়মিত এবসেন্ট থাকিয়া ডিসকলেজিয়েট হইলে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লগিবৈঠা নিয়া বিক্ষোভ করিব না। অলিগলির দেয়ালে কখনো অমুক + তমুক জাতীয় কোন বাইক্কা যোগ অঙ্ক করিব না। বাসায় কোন প্রশ্ন নোট করিবার সময় সামুতে নেক্সট কি লিখিব তা নিয়া মাথা ঘামাইব না।

হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমার প্রতিজ্ঞা কবুল কর।আমীন।


আমার আগের রম্যপোস্টের জন্য নিচে গুতাতে পারেনঃ
একটি ফানি চিঠিঃ পড়লে চাটবেন, না পড়লে পস্তাবেন(১৮+ কিনা তা আপনার বিবেচনা সাপেক্ষ)
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও আমার ভাবনা

লিখেছেন মেহেদী তারেক, ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৪০

অবশেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হলো
আমি সবসময়ই প্রজ্ঞাপন দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে ছিলাম। কারণ, বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী এখনো দলটিকে সমর্থন করে। এত বড় একটি জনগোষ্ঠীর মতামত কিংবা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিষিদ্ধ নয়, শুধু নড়াচড়া বন্ধ: আওয়ামী লীগ, ‘কার্যক্রম’ ও বিরোধীদের বিভ্রান্তির রাজনীতি

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৫২


“আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে”—এই লাইনটি ফেসবুকে ঝড় তুলেছে, চায়ের কাপে তুফান এনেছে, এবং কিছু বিরোধী রাজনীতিকের মুখে সাময়িক হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু একটু থামুন ! খেয়াল করুন: বলা হয়েছে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আঁচলে বাঁধা সংসার

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:২০



আমি তখন কলেজে পড়ি। সবেমাত্র যৌথ পরিবার ভেঙে মায়ের সঙ্গে আমাদের ছোট্ট একটা সংসার হয়েছে। নতুন সংসার গুছিয়ে নিতে, মা দিনের প্রায় সবটা সময় ঘরকন্নার কাজে পার করে দিতেন। ঘরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রেমিকাকে বা বউকে প্রেম নিবেদনের জন্য সেরা গান

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯

নীচের দেয়া গানটাতে হিন্দি, বাংলা, গুজরাটি, পাঞ্জাবী এবং ইংরেজি ভাষায় প্রেম নিবেদন করা হয়েছে। নীচে গানের লিরিক্স এবং বাংলা অর্থ দিলাম। আশা করি গানটা সবার ভালো লাগবে। এই হিন্দি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫৩

লিখেছেন রাজীব নুর, ১১ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫



কেন জানি মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
কিছুই ভালো লাগছে না। ইচ্ছা করছে ঘোড়ায় চড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি। হাতে থাকবে চাবুক। যেখানে অন্যায় দেখবো লাগাবো দুই ঘা চাবুক। সমস্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×