হয়ত মিস করবেন তাই দিলাম ... কপি পেস্ট (আচ্ছা দুর্নীতি কাকে বলে আর মিথ্যা কাকে বলে )
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনরুল্লেখ করে বলেছেন, তাঁর সরকারের সময় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতসহ কোনো খাতেই দুর্নীতি হয়নি। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়নে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে ঢাকায় না এলে না আসবে। তার পরও পদ্মা সেতু নির্মিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে নির্বাচন হয়, একই প্রক্রিয়ায় জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত রোববার বিকেলে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী আবাসিক মিশনে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নিউইয়র্কে নয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফেরার আগে স্থানীয় বাংলাদেশি পত্রিকার সাংবাদিকদের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে এখনো নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা দৃঢ়ভাবে তা মোকাবিলা করছি। কিন্তু আমাদের সময়ে বিদ্যুৎসহ কোনো খাতেই কোনো দুর্নীতি হয়নি।’
সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে আসবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণই তাদের ভোটের মালিক এবং তাদের ইচ্ছানুযায়ী পরবর্তী সরকার গঠিত হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশীল সমাজের যেসব সদস্য ২০০৬ সালের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁরাই এখন এ দুর্বল ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবনের পক্ষে কথা বলছেন। পরিহাসের বিষয়, এখন তাঁদের কাছ থেকে অনেক নীতিকথা শুনতে হয়।
শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিএনপির নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ওই সময় তিনি বলেছিলেন ‘জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। তারা তত্ত্বাবধায়ককে ধাওয়া করবে।’
প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক দেশের প্রয়োজনে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত বলে সাংবাদিকেরা প্রসঙ্গ তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গ্রামাঞ্চলে একটি কথা চালু আছে। বাজারে লোকজনের মধ্যে হঠাৎ একজন বলে উঠল, “মুই কার খালু রে”।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।’ তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চায় না। কারণ এখনো তারা তত্ত্বাবধায়কের নির্যাতন ও ভয়াবহতার কথা ভুলতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এম জিয়াউদ্দিন ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ বানাতে নয়, আমরা জনগণের সেবা করার লক্ষ্য নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি। অধিক দুর্নীতি হলে বিশাল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না।’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কর্তৃপক্ষ পরিবর্তনের কারণে এ মামলার তদন্ত বিলম্বিত হয়। র্যা ব এখন হাইকোর্টের নির্দেশে এ মামলার তদন্ত করছে উল্লেখ করে তিনি এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আবদুল মোমেন ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণের একটি ডিভিডি কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে জাতিসংঘ ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ড সাপোর্টের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক এবং এলডিপি, এলএলডিসি ও এসআইবিএসের জাতিসংঘ অফিস অব দ্য হাই রিপ্রেজেনটেটিভের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জৈন চন্দ্র আচারিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর হোটেল স্যুটে সাক্ষাৎ করেন।
আজ দেশে ফিরছেন: বাসসের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী গত রোববার রাতে বাংলাদেশের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। ঢাকায় আসার পথে তিনি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করবেন। তিনি আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য
Raihanul Islam
২০১২.১০.০২ ০৩:১৮
এজন্যই গাড়ি ভরতি টাকা পাওয়া যায়!
kamal
২০১২.১০.০২ ০৩:২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনরুল্লেখ করে বলেছেন, তাঁর সরকারের সময় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতসহ কোনো খাতেই দুর্নীতি হয়নি। (সত্যকথা বলেছেন, তবে মহা দুর্নীতি হইছে ।)
Romel
২০১২.১০.০২ ০৪:৩২
ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি লজ্জা ?
Tara Mian
২০১২.১০.০২ ০৪:৪১
জমি চোর, ভূইফোড়,
নদী চোর,ভূইফোড়,
ব্যাংক চোর ভূইফো্ড়,
শেয়ার চোর, ভূইফোড়,
সেতু চো্র, ভূইফোড়,
বস্তাভরা টাকাচোর,ভূইফোড়,
জনগনের ভাগ্য চোর,
নির্বাচনে ভোট চোর,
এখন দেখি সরকারের সবাই চোর।
ভালোমানুষ কোথায়? খুজতে গেলে লাগে ঘোর।
তাই সরকারের যাকে দেখ, বল জোর।
তুই বেটা চোর, তুই বেটা চোর।
prosenjit sarkar
২০১২.১০.০২ ০৪:৪৪
রসিকতা কইল্লেন নাকি!!!
Romel
২০১২.১০.০২ ০৪:৪৬
এসব কথা আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর মুখে হয়তোবা মানানসই, কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাক্য চয়ন ও ভাষা একটু হলেও মার্জিত ও ভদ্র হওয়াটা কিন্তু খুব বড় আকারেই বাঞ্ছনীয়।
২০১২.১০.০২ ০৫:৩৫
hahahahahahahaahahaha
২০১২.১০.০২ ০৬:০৬
No one in this world can lie with such smartness like our prime minister.
zahid
২০১২.১০.০২ ০৬:২০
I AGREE WITH YOUR BUT PLEASE TAKE ACTION AGAINST HALMARKS GROUP,DESTINY GROUP,SHARE MARKET CORRUPTION,PADMA BREEZE CORRUPTION,SURONZIT CORRUPTION.
Mahtaf Hossain
২০১২.১০.০২ ০৬:২৬
প্রধানমন্ত্রী দাবী করেছেন, তাঁর সরকারের আমলে কোন দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু আমরা দেশের মানুষ কি দেখতে পাচ্ছি ? প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের কোন দুর্নীতি খুজে না পেলেও আমরা আমজনতা আমাদের সাদা চোখে অনেক দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছি, যার ভেতর থেকে মোটা দাগের কয়েকটা এখানে তুলে ধরলাম-
০১. শেয়ার বাজার থেকে প্রায় লক্ষ কোটি টাকা লুঠ হ'ল তাঁর দলীয় `দরবেশ'-দের দ্বারা ; তাঁর সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তেই সেটা প্রমানিত হ'ল ; কিন্তু তাঁর সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে একটা মামলা পর্যন্ত করলো না, উল্টো ঐ দরবেশদেরই ঐ মার্কেটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিল। এটা কি দুর্নীতি নয় ?
০২. আমাদের স্বপ্নের পদ্মাসেতু প্রকল্প আরম্ভ হতে না হতেই সেখান থেকে `বখরা' আদায়ের পায়তারা যারা করলো, যা বিশ্বব্যাংক তুলে ধরার পরও তাদের রক্ষা করার জন্য নানান কোশেশ করা, এমনকি তাদের দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়ে দুর্নীতিকে উতসাহিত করা কি এক ধরণের দুর্নীতি নয় ?
০৩. রেল মন্ত্রণালয়ের কালো বেড়াল ধরার ঘোষণা দিয়ে একজন তো নিজেই `কালো বেড়াল'-এর তকমা নিজের ললাটে সেটে নিলেন। তার এপিএস রেলে নিয়োগ-বানিজ্যের বখরার টাকার বস্তা নিয়ে তার বাসায় যাওয়ার পথে ধরা খেলো- এটাকে দুর্নীতি না বলে সুনীতি বলবো কোন সূত্র বলে ?
০৪. কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের নামে দেশের কোষাগার শূণ্য করে হাজার হাজার কোটি টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণ সেই বিদ্যুতও ঠিকভাবে পাচ্ছি না- এগুলো কি দুর্নীতি নয় ?
০৫. হলমার্ক নামে একটা অখ্যাত ভূ্ইফোড় কোম্পাণীসহ কতগুলো দুর্নীতি-পরায়ণ কোম্পাণী সরকারেরই একজন ডাকসাইটে উপদেষ্টাসহ সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট আরও কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের নামে সরিয়ে নিল ; তাছাড়া অন্যান্য সরকারী ব্যাংকেও অনুরূপ ঘটনার আলামত পাওয়া গিয়েছে- এগুলো কি দুর্নীতি নয় ?
জনগণ এখন আর গবেট নেই ; নানা মিডিয়ার কারণে তারা আজ যথেষ্ট সচেতন ; তাদের বাগারাম্বর দিয়ে আর ধাপ্পা দেয়া যাবে না।
Mohammad
২০১২.১০.০২ ০৭:১১
Absolute Lie
mizanul islam chowdhury
২০১২.১০.০২ ০৭:১৫
এই সরকারের সময় কোনো খাতেই দুর্নীতি হয় নি।
এতো বলার পরও মানুষ কেন যে বিশ্বাস করতেছেনা? আসলে দুর্নীতি কারে বলে আজব দেশের লোকেরা বুজেও না ।
mahfuza bulbul
২০১২.১০.০২ ০৭:২৭
সত্যকে শতসহস্রবার মিথ্যা বলে প্রচার করলেই কি তা মিথ্যা হয়ে যায ?
Farhadul
২০১২.১০.০২ ০৭:৩০
সত্য বলা যদি কষ্টের এত, তবে সাতবার মিথ্যা বলে তাই করার চেষ্টা ভালো ....
Tarif
২০১২.১০.০২ ০৭:৪৮
Greatest JOKE of all time.
hasib
২০১২.১০.০২ ০৮:২৭
আমাদের ২ নেত্রীর বয়স হয়েছে, কিছুই মনে থাকে না। দয়া করে আপনারা বিশ্রামে যান। মুক্তি চাই, মুক্তি চাই।
Shish Mohammad Shelly
২০১২.১০.০২ ০৮:২৮
হাসতে হাসতে দম বন্ধ .... আর কত ?
safiul alam
২০১২.১০.০২ ০৮:৪১
what a joke????
muhammad golam
২০১২.১০.০২ ০৮:৫৭
বর্তমান সরকার মিথ্যা বলায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
md.nahiduzzaman(Raju)
২০১২.১০.০২ ০৯:২০
আর মন্তবব না করে থাক্তে পারলাম না >>>>>
sayed Ahmed
২০১২.১০.০২ ০৯:২০
You are 100% right dear PM at present there are no corruption
only LOOT PAT is every where.
md.nahiduzzaman(Raju)
২০১২.১০.০২ ০৯:২০
আপনার সরকারের শময় দুরনিতি হয়েসে কিনা তা জনগন জানে ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
২০১২.১০.০২ ০৯:২১
শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনরুল্লেখ করে বলেছেন, তাঁর সরকারের সময় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতসহ কোনো খাতেই দুর্নীতি হয়নি।.....................ভুয়া কথা ।
মো. ইলিয়াস
২০১২.১০.০২ ০৯:৪৭
Tara Mian, u r perfect.
লিঙ্ক