দৈনিক মগবাজার
কেউ কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখেনি, চল্লিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক নূরানী সময়ে পাকি বাবারা বলেছিলো
তোকে পূর্বের রাজা বানিয়ে দিবো, আরামচে জর্দ্দা দিয়ে পান খাবি
তারপর কতদিন পান খেয়ে ঠোঁট লাল করিলাম, এক বিধবা ছাড়া আর কাউকে পেলাম না
সিংহাসনতো দূরের কথা।
পশ্চিমের জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেছিল, বড় হও গোলামের বাচ্চা
পাছায় চর্বি জমিয়ে নাও- আমি দু’টা থাপ্পড় দিবো, একটু মলে দিবো
তুমিও রাজা হয়ে তোমার গেলমানদের একটু থাবড়ে দিও, মলে দিও !
জুলফিকার আলি, আমি আর কত বড় হবো ? আমার চারপাশে এখন শতশত ডিম
আর কতোটি ডিম তাড়া করলে তারপর তুমি আমায় সিংহাসনের পায়া দেখাবে ?
একটাও রয়্যাল ছাগু কিনতে পারিনি কখনো
কাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে পুটকী মেরেছে মেজর জিয়ার সেনারা
ভিখারীর মতন সৌদী বাদশাহর গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি ভেতরে গেলমানের নাচ
অবিরল রঙ্গের ধারার মধ্যে সোনার মতো ফর্সা বালকেরা কতরকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি !
নিজামী আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেইখ্যেন, একদিন আমরাও…
নিজামী এখন জেলে, আমাদের দেখা হয়নি অনেকদিন
সেই রয়্যাল ছাগু, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই গেলমানের নাচ
খালেদা জিয়া ফিরিয়ে দেয় না !
হাতের মুঠে সুগন্ধি রুমাল রেখে খালেদা বলেছিল,
যেদিন মুক্তিযুদ্ধ ধুয়ে মুছে ফেলতে পারবে, সেদিন সত্যিকারের ভালবাসবে
আমার পাঞ্জাবীতেও এরকম আতরের গন্ধ হবে !
ভালবাসার জন্য আমি ফেয়ার এন্ড লাভলী মেখেছি
এখনো চুষে যাচ্ছি পাকিদের কাঠি লজেন্স
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ডজন খানেক আইনজীবি
তবু কথা রাখেনি খালেদা, এখন তার মাথায় শুধুই তারেকের চিন্তা
এ যেন এক অচেনা নারী !
কেউ কথা রাখেনি, চল্লিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনা !