বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে প্রয়োজনে সংসার ছেলে চলে যাবেন তিনি। দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার নিউইয়র্কের উলডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, ‘কি হবে এ সংসারে থেকে, কিসের আশায় এ বিরান সংসারে পড়ে থাকবো?’ এ সময় বিরোধীদলীয় নেত্রীর চোখের কোনে অশ্রু জমতে দেখা যায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীতে অবশ্যই দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, শুধু প্রতিবেশী দেশ নয়, সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কে বিশ্বাসী তিনি। তবে এক্ষেত্রে নিজ সৌন্দর্যের মর্যাদা বিসর্জন দেবেন না। উল্লেখ্য, দিনের বেশিরভাগ সময় সাজগোজের পেছনে ব্যয় করেন, এমন অভিযোগ এনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেননি।
ডেভিড ক্যামেরন এবং হিলারী ক্লিনটনের সাথে সাক্ষাত না হওয়ার বিষয়ে খালেদা বলেন, ‘কোথাকার কোন ক্যামেরন কি বলেছে, না বলেছে; তাতে বাঙালি ললনার কিছু আসে যায় না। জনগনই এর জবাব দেবে।”
সংবাদ সম্মেলনে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বাংলাদেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। তারা আরও বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সামনের সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শাসনের অভাব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন করা গেলেই বাংলাদেশ সফল হবে।
শমসের মবিন বলেন, ইউনূস ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সৌন্দর্যহানি হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসে সে হানি হয়ে যাওয়া সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনেন। খালেদার সৌন্দর্যে মার্কিন প্রশাসন মুগ্ধ।
মগবাজার