আসলাম হোসেন
হেলায় হেলায় গিয়াছে বেলা
সন্ধ্যা মাঝে রাত্রি নামে
একে একে নিল বিদায় শরৎতের দিনগুলি।
হেমন্তের শিশির ভেজা আবহাওয়া
টার্চ করে বলে দিচ্ছে, আচ্ছি তোমায় দেখতে
বাঁচতে যদি চাও তুমি কোন ঠাসা
দাও ঝুপড়ির তলে।
নীয়তির খেলা আসচে যে শীত
খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে হাজার মায়ের ছেলে
সিডর ওদের করছে ঘর ছাড়া
তাই তো ওরা বড়ই একা।
অবুঝ শিশু কাঁদছে দুই নয়নে
কেউ বোঝেনা ওদের কান্না
শীত যে ওদের করছে জ্বালা যন্ত্রণা।
উত্তরা হাওয়া দোল দেয় গায়ের পশম উঠছে-
শিড়ে হাউ মাউ করে কাঁদছে খোঁকা।
সিডর তুমি এতই বোকা
নিয়ছ কেঁড়ে আমার ছেঁড়া জামার কাঁনা
যদি তোমার দয়া হয় ফিরিয়ে-
দাও আমার ছেঁড়া কানা।
শীতের সাথে করব মোকাবেলা
নেই যে আমার ঘর-বাড়ী।
নিয়েছ সব কেঁড়ে তুমি।
কি অপরাদ করেছি আমি?
নিষ্পাপ জীবন আমার
দেখবে-না-কি এক বার ফিরে ?
বলতে আমি পারি না মনের মাঝের ব্যাথা
বাক যন্ত্র আমার হয়নি সচল,
তাইতো তো আমি বড়ই অচল।
