বিষয়টা নিয়ে এর আগেও একবার লিখেছি। ভবিষ্যতেও হয়তো আরো অনেকবার লিখবো।
আজ ফেসবুকে একটা ভিডিও দেখলাম। ওয়ান্ডারল্যান্ডে অনেক গুলা কাপলকে ধরে হেনস্তা করা হচ্ছে। বাসায় ফোনদিয়ে বাপমাকে ডাকা হচ্ছে। দেখে মজা পেয়েছি। সারা দুনিয়ার মানুষ দেখুক। মান সম্মান যাদের নাই তাদের হারাবারো কিছু নাই। আর্লি মযারেজ মুভমেন্ট আমি এসব কারণেই সাপোর্ট করি -_-
আমাদের দেশে যৌনতাকে যতদিন পর্যন্ত একই সাথে ট্যাবু হিসেবে দেখা হবে আবার সেটাকে সামাজিক ভাবে বৈধতা দিতে প্রায় অর্ধেক জীবন পার করে ফেলা হবে ততদিন এই দেশে ধর্ষণ, ইভটিজিং, কিশোর অপরাধ,ফেইসবুক আসক্তি সহ আরো হাজারটা সমস্যা রয়েই যাবে, এই গুলার কোন সমাধান হবে না সে আপনি যতই কঠিন আইন করেন না কেন।
একটা ছেলের ভেতরে পৌরুষ আসা শুরু করে সেই কৌশরেই। আর যেহেতু একই সাথে বিবাহপূর্ব যৌনতা ভয়াবহ নিষিদ্ধ আবার এদেশের শিটি শিক্ষা ব্যাবস্থায় বিয়েটিয়ে করার মত যোগ্যতা পেতে মিনিমাম ২৫ বছর লেগে যায় তাই এদেশের একটা সাধারণ ছেলের এই সময়টা কাটে অদ্ভুত অস্থিরতায়। তারা মাঝের এই সময় সেটার স্বাদ পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যায়। যা থেকে সব সমস্যার শুরু!
খাওয়া, হাগামুতা করার মত সেক্স ব্যাপারটাও একটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেইটা যথেচ্ছ করা হলে নানা টাইপের সমস্যা শুরু হবে সমাজে। তাহলে কি চাই? চাই সমাজ স্বীকৃত বন্ধন। আই মিন বিয়ে। কিন্তু আমাদের কি চাইলে বিয়ে করতে দেয়া হবে? না। কিন্তু যৌনতার উষ্কানি কি বন্ধ আছে? না। এই স্বাভাবিক জিনিসটারে নানা ভাবে সুগার কোটিং করে আমাদের নাকের সামনে অলটাইম ঘুরানো হচ্ছে-
টিভিতে নাটকে পার্কের বেঞ্চে প্রেম
সিনেমায় শাবানা-রাজ্জাকের নিষ্পাপ প্রেম
গানের কলিতে কলিতে প্রেম
উপন্যাসে মিঠা মিঠা প্রেম
কবিতায় উপমা-অলংকারের আড়ালে (আজকাল ওপেন) প্রেম
ফেসবুকে "বাবু, ভাত খাইসো" স্ট্যাটাসের মধ্যে প্রেম (আমি নিজেই ডেইলি দেই)
ফর গডস সেক, আমাদের পুরো শিল্প-সাহিত্যের বিশাল একটা অংশের ভিত্তি হইলো প্রেম, এই প্রেম বেচে খেয়ে কতজন আজ বিখ্যত শিল্পী-বোদ্ধা!! অথচ এই প্রেম অবদমিত যৌনাকাঙ্ক্ষার সুগার কোটিং ছাড়া কিচ্ছু না! এই প্রেম-ডেটিং কে কেন্দ্র করে এখন ফুল, রেস্টুরেন্ট,কার্ড, মোবাইল-সিম,ইন্টারনেটের রমরমা ব্যাবসা! কয় বছর ধইরা কি শুরু হইসে আবার- রোজ ডে-প্রপোজ ডে-কিস ডে-হাগ ডে... খালি বাকি আছে ... ইউ নো হোয়াট ডে!!
প্রেমের চাহিদা এইভাবে তৈরী হইতেসে দিন দিন আর কলেজ ভার্সিটির খুব নীরিহ একটা ছেলে যে কিনা একটা মেয়ের সাথে কথা বলতেও পারে না সে এখন ফেইসবুকে এসে প্রোফাইল পিকচার দেখে প্রেমে পড়ে রাতের পর রাত নষ্ট করে চলছে, সেই সাথে তার লেখাপড়াটাও টয়লেটের ফ্ল্যাশে। কি লাভটা হলো?
আমার লজিক খুব ক্লিয়ার- আপনারা এমন সমাজ বানিয়েছেন যেখানে আমাকে আমার চাহিদাকে বৈধ উপায়ে মিটানোর কোন সিস্টেম রাখেন নাই। আবার আমাকে উষ্কে দেবার সব উপাদান চারপাশে রাখবেন। বাপ-মা হয়ে বেড রুমে শুয়ে প্রেমের নাটক দেখবেন। ঐদিকে পোলা পাশের রুমে বসে গার্লফ্রেন্ডের সাথে ভ্যালেন্টাইন ডের প্ল্যান করতেসে- কি প্ল্যান সেইটা শুনলে হার্ট এটাক করবেন।
আপনাদের মত #হিপোক্রেটদের হার্ট এটাক হয়ে মরে যাওয়াই উচিৎ >