আর এটা দুর্ঘটনার পর রয়টার্সের তোলা ছবি
বিপি ওয়েল স্পিল বা ডিপ ওয়াটার ওয়েল স্পিলের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ২০ শে এপ্রিল ২০১০ এ মেক্সিকো উপসাগরে তেলের পাইপে বিস্ফোরনের কারনে ১১ জন নিহত হয় এবং মারা যায় অগনিত পশু পাখি, মাছ। উদবাস্তু হয় উপকূলে হাজারো মানুষ।যদি বলি এটার পেছনে ছিলো বিশেষ একটা মহলের ষড়যন্ত্র তাহলে অবাক হওয়ার তেমন কোন কারন নেই। রাজনীতি খবই নিষ্ঠুর।
৪৩ মিনিটের একটা ডকুমেন্টারী তে দেখা যায় এবং এটাই প্রমানিত হয়, এই দুর্ঘটনা ছিলো বিপি তেল কোম্পানীর ষড়যন্ত্র। এটা আজকে নতুন নয়।এই তেল কোম্পানীকে ব্যাবসা করতে দিয়ে বহু দেশকে হারাতে হয়েছে অনেক কিছু, এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইরান। আগে দেখে নিই, কি হয়েছিলো ইরানে?
তেলের ইতিহাসে সাতটি প্রধান কোম্পানি রয়েছে অনেক ঘটনার নেপথ্যে। কলকাঠি নেড়েছে, নাট-বল্টু ঘুরিয়েছে। সাত বোন বা সপ্ত ভগিনীর নামে অভিহিত এই সাত কোম্পানির হাতে ছিল তেলের প্রায় নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ। পরে, এদের মধ্যে কয়েকটি একীভূত হয়, দাঁড়ায় চারটি কোম্পানি। এ চারটি কোম্পানি হলো : শেল, এক্সনমবিল, শেভরন ও বিপি। এসব কোম্পানির সঙ্গে তেল জাতীয়করণের নানা ঘটনা জড়িয়ে আছে।
আর, তেল জাতীয়করণের প্রসঙ্গ এলেই একটি নাম বারবার মনে পড়ে। সে নাম মোসাদ্দেক। কেউ কেউ বলেন মোসাদ্দেগ। তার পুরো নাম মোহাম্মদ মোসাদ্দেক। তিনি ছিলেন ১৯৫০-এর দশকে ইরানের প্রধানমন্ত্রী। এক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মোসাদ্দেককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। কুটিল ষড়যন্ত্র আর নিষ্ঠুরতাপূর্ণ অভ্যুত্থানের সে ঘটনা ইরানের তেল শিল্প ১৯১৩ সাল থেকে ছিল ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে।
সে সময় এ নিয়ন্ত্রণ ছিল অ্যাংলো-পার্শিয়ান অয়েল কোম্পানির হাতে। এ কোম্পানিকে সংক্ষেপে বলা হয় এপিওসি। পরে, এ কোম্পানির নাম হয় অ্যাংলো-ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এআইওসি)। আরো পরে, এ কোম্পানির নাম হয় বিপি বা ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম। মোসাদ্দেক ইরানে সামাজিক সংস্কারমুখী নানা পদক্ষেপ নেন। তবে, তার নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তেল জাতীয়করণ। সে পদক্ষেপই হয়ে উঠলো তার কাল। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধে অভ্যুত্থান সংঘটিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। মোসাদ্দেককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ১৯৫৩ সালের ১৯ আগস্ট। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় ইরানি সেনাবাহিনীর জেনারেল ফজলুল্লাহ জাহেদিকে। সে অভ্যুত্থানের সাংকেতিক নাম অপরেশন এজাক্স। ক্ষমতাচ্যুত মোসাদ্দেককে কারাবন্দি করে রাখা হয় তিন বছর। এর পরে, মৃত্যু পর্যন্ত তাকে করে রাখা হয় গৃহবন্দি। কত বিচিত্র এ ধরণী আর কত অদ্ভুত শক্তিমত্তের মুষ্টিবদ্ধ এ ধরণীতে তৈরি নানা আইন! দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার পদক্ষেপ নিতে গিয়ে ‘চমৎকার’ পুরস্কার পেলেন মোসাদ্দেক। তিনি প্রয়াত হন ১৯৬৭ সালের ৫ মার্চ।
সুইজারল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি পান মোসাদ্দেক। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর লগ্নে তিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। এর পরে শুরু হয় তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। এ দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ চলায় তিনি অর্থমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মোসাদ্দেক ১৯৪৪ সালে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন জেবহে মেলি বা ন্যাশনাল ফ্রন্ট অব ইরান (ইরানের জাতীয় ফ্রন্ট) নামের সংগঠনের। আরো ১৯ জনকে নিয়ে তিনিই এ ফ্রন্ট গঠন করেছিলেন। এ সংগঠনের লক্ষ্য ছিল ইরানের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ও ইরানের রাজনীতিতে বিদেশী হস্তক্ষেপের অবসান ঘটানো। বিদেশী হস্তক্ষেপ অবসানে মোসাদ্দেকের অন্যতম পরিকল্পনা ছিল ইরানে অ্যাংলো ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির (এআইওসি) কার্যক্রম জাতীয়করণ করা। তেল জাতীয়করণের প্রতি ছিল ইরানি জনগণের ব্যাপক সমর্থন।
সে সময় ইরানের অধিকাংশ তেল মজুদ ছিল পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে। সেখান থেকে তেল আহরণ করত এআইওসি। সে তেল রফতানি হতো ব্রিটেনে। কিন্তু এ তেল থেকে ইরান পেত যৎসামান্য। ইরান বার বার বলে আসছিল তেলের লাভ আধাআধি বা ৫০ শতাংশ করে ভাগাভাগি করতে। কিন্তু, তাতে আপত্তি জানাচ্ছিল ইংরেজ তেল কোম্পানি। এ সব নিয়ে ইরানে জনমনে জমা হচ্ছিল ক্ষোভ।
শাহর পছন্দসই লোক প্রধানমন্ত্রী জেনারেল হজ আলি রাজমারা ১৯৫১ সালের ৩ মার্চ পার্লামেন্টে হাজির হয়ে তেল জাতীয়করণ না করার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি যুক্তি দেখান যে, ইরান আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না এবং তেল শিল্প পরিচালনা করার সামর্থ্য ইরানের নেই।
এ ঘটনার কয়েকদিন পরে তিনি আততায়ীর হাতে নিহত হন। এ নিয়ে দুটি বক্তব্য পাওয়া যায়। একটিতে বলা হয় যে, খুন করে ফাদায়েন-ই-ইসলাম নামে একটি জঙ্গি মৌলবাদী সংগঠনের একজন সদস্য। তবে, অপর বক্তব্যে বলা হয় যে, শাহর ঘনিষ্ঠ চক্রের নির্দেশে এক সৈন্য সাদা পোশাকে গুলি চালায় রাজমারার ওপরে। ইরানি সেনাবাহিনীর একজন কর্নেলের লেখা একটি স্মৃতি কথায় বলা হয় যে, রাজমারার দেহে যে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়, সে গুলি সৈন্যদের ব্যবহৃত কোল্ট রিভলবারের। এদিকে তেল থেকে বেশি হারে রয়্যালটি পাওয়ার জন্য তেল কোম্পানির সঙ্গে ইরানের আলোচনা ব্যর্থ হয়। ইরানি মজলিস বা আইন সভার নিম্ন কক্ষ ও সিনেট বা উচ্চ কক্ষ ১৯৫১ সালের ১৫ ও ২০ মার্চ ইংরেজ তেল কোম্পানি জাতীয়করণের পক্ষে ভোট দেয়। ইরানের তেল শিল্পের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় ইরানের নিয়ন্ত্রণ। জেনারেল রাজমারাকে হত্যায় জনমনে উল্লাস আইন সভা সদস্যদের ওপর প্রভাব ফেলে। সেই সঙ্গে ছিল তেল শিল্প জাতীয়করণের দাবিতে ইরানের কমিউনিস্ট পার্টি বা তুদেহ পার্টি আহূত দেশব্যাপী ধর্মঘট। মজলিস ২৮ এপ্রিল মোসাদ্দেককে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পক্ষে ভোট দেয়। প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ৭৯ ভোট। বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা ছিল মাত্র ১২। মোসাদ্দেকের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব বুঝতে দেরি হলো না শাহর। তিনি মোসাদ্দেককে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন।
মোসাদ্দেক ১ মে জাতীয়করণ করলেন এআইওসি। এ কোম্পানিকে দেওয়া কনসেশন বাতিল করলেন তিনি। এ কনসেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৯৯৩ সালে। ইরানে কোম্পানির সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলো। পরের মাসে পাঁচজন মজলিস সদস্যকে পাঠানো হলো খুজেস্তানে, জাতীয়করণ আদেশ বলবত করার জন্য।
মোসাদ্দেক ১৯৫১ সালের ২১ জুন এক ভাষণে বললেন : অন্যান্য দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চালানো আমাদের আলোচনা এখন পর্যন্ত কোনো সুফল বয়ে আনেনি। তেল থেকে পাওয়া আয় দিয়ে আমাদের পুরো বাজেটের অর্থ যোগানো যেতে পারে, দূর করা যেতে পারে আমাদের জনগণের দারিদ্র্য, অসুখ পশ্চাৎপদতা। ব্রিটিশ কোম্পানির ক্ষমতা নির্মূল করা ছিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। আমরা দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রও নির্মূল করব। এ দুটি মাধ্যমে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করা হয়েছে। এই অভিভাবকত্ব বা খবরদারির অবসান ঘটলে ইরান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করবে।
এ বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন : ইরান রাষ্ট্র তেল উৎপাদন নিজ নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। সম্পদের ন্যায়সঙ্গত মালিককে সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া এ কোম্পানির কাজ আর কিছু নয়। জাতীয়করণ আইন অনুসারে তেল থেকে প্রাপ্ত ছাক্কা মুনাফার ২৫ শতাংশ আলাদা করে রাখা হবে কোম্পানির আইনসম্মত ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার জন্য। বিদেশে জোর গলায় প্রচার করা হয়েছে যে, ইরান বিদেশী তেল বিশেষজ্ঞদের বহিষ্কার করতে চায়। আর, তার পরে বন্ধ করে দিতে চায় তেল স্থাপনাগুলো।
এ অভিযোগ কেবল অবাস্তবই নয়, তা পুরোপুরিই বানোয়াট। তেল নিয়ে ইরানি জনগণের এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়ে গেল সংঘাতের ক্ষেত্র। একদিকে ইরান, আরেক দিকে ব্রিটেন। এ সংঘাত বিস্তৃত হলো।
যাই হোক এই বিপি কোম্পানী এখন এখন বিশ্বের শেয়ার বাজারের ৪০ ভাগ দখল করে আছে, ব্রিটেনে ৩৯ ভাগ শেয়ার তাদের দখলে, এখানে একটা ইন্তারনেট জরিপ দেয়া হলোঃ BlackRock (New York) 5.9%
Legal & General (United Kingdom) 4%
Barclays Global Investor (owned by BlackRock) 3.8%
Norges Bank Investment Management (Norway) 1.8%
Kuwait Investment Authority (manages funds for the Kuwaiti Government) 1.75%
M & G Investment Management (UK asset owned by the Prudential) 1.67%
Standard Life (Scottish insurance company) 1.5%
Capital Research & Management Company (Los Angeles) 1.3%
China’s State Administration of Foreign Exchange 1.1%
উপোরোল্লিখিত কোম্পানী গুলো বিপির শেয়ার ধরে রেখেছে, আর সবচেয়ে বেশী পরিমান শেয়ার ধরে রেখেছি জেপি মরগ্যান চেস,ওয়াল স্ট্রিটের একটা ব্যাংক।
যাই হোক এই দুর্ঘটনা ঘটার ১১ দিন পুর্বে বিপি কোম্পানী ইন্সুরেন্সের ব্যাবস্থা করে এবং বুটস এন্ড কুকস কোম্পানী এর সাথে শেয়ার ব্যাবসা শুরু করে, এখানে দেখুন সে সুবাদে কাজ দেয় মেক্সিকো উপসাগরে। বুটস এন্ড কুকস কোম্পানী এর কাজ হচ্ছে আগুন নেভানো, এরা ২য় বিশ্বযুদ্ধে ইরাকে কাজ করেছিলো । এখানে দেখুন
View this link
কুয়েতেও কাজ করেছিলো। এই সব কাজের উদ্দেশ্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বিপি কোম্পানীর এ কাজটা পরিকল্পিত। সেই সাথে বিপির সাথে কাজে যোগদান করে তারই দুইটা সিস্টার কনসার্ন ট্রান্স ওসিয়ান এবং হ্যালিবার্টন। যাদের কাজ হচ্ছে পাইপ লাইনের সংস্কার ও তেল অপসারন। দুর্ঘটনার কিছুদিন আগেই এই হ্যালিবার্টন কোম্পানী তাদের হেডঃ অফিস দুবাই তে নিয়ে যায় যেনো কোন ইনভেস্টিগেশানের ঝামেলায় তাদের না জড়াতে হয়।। View this link
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ বিষয়ক এটর্নী এটার তদন্ত কমিটিতে ছিলেন, যিনি বলেন, বিপি এ কাজটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে করেছে যার কারন তাদের ওয়েল রিগে ইন্টি এক্সপ্লোসিভ ইঙ্গিন ছিলোনা যেটা প্রত্যেকটা ওয়েল রিগের থাকার কথা। ততকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডীক চেনি ছিলেন হ্যালিবার্টনের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা।তিনি সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের উত্তরে শুধু এটাই বলেন যে বিপির এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা খুব । সে খাতিরেই তাদের এটা ছাড়াই তেল শোধনের অনুমতি দেয়া হয়।
এরপর তারা হাতে নেয় তাদের পরবর্তী প্রজেক্ট। তেল অপসারন। এ কাজে তারা বেছে নেয় কোরেজিট নামক একটা রাসায়নিক পদার্থ।
বিষ হওয়া সত্বেও কোরেজিট দেয়া হচ্ছে
যেটা তাদের মতে, তেলকে ছোট পার্টিকেলে বিভক্ত করে এবং তা পানির সাথে মিশে যেতে সাহায্য করে,কিন্তু বৈজ্ঞানিকদের মতে প্রক্ক্রিত পক্ষে কোরেজিট তেলকে পানির আরোও গভীরে নিয়ে যায় এবং তলানীর সৃষ্টি করে। করেজিট দেয়া হয় প্লেনে করে, যা বাতাসের সাথে মিশে মানুষের শ্বাসের সাথে দেহে প্রবেশ করে। কোরেজিটে যে পদার্থ গুলো আছেঃ Arsenic, Cadmium, Chromium, Copper, Lead, Mercury, Nickel, Zinc ,Cyanide।
ডকুমেন্টারীতে দেখানো হয়, ঐখানে যারা জেলে আছেন, মাছ ধরেন তাদের বেশীর ভাগেরই মাইগ্রেনের সমস্যা হচ্ছে এবং স্কিনের সমস্যা হচ্ছে। তারা বলেন সরকার যদি এটা বন্ধ না করায় তাহলে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে হবে।
কোরেজিট আরেকটা কাজ করে, এটা তেলকে ভাড়ি করে দেয় ফলে উত্তর আটলান্টি থেকে মেক্সিকো উপসাগরে যে পানির প্রবাহ আসে সেটা ধীর হয়ে যাবে, ফলে সেখানি একটা ছোট খাতো বরফ যুগের সৃষ্টি হবে। উত্তর আটলান্টিক থেকে আসা স্রোত অপেক্ষাকৃত উষ্ণ যেটা মেক্সিকো উপসাগর ও এর উপকূলকে উষ্ণ রাখে। বরফ সৃষ্টি হলে সেখানে অপরিশোধিত তেল বেশী পরিমানে পাওয়া যাবে,পেট্রোলিয়াম শোধন করা সহজ হবে এবং এর পরিমানও বেশী থাকবে। ( এই বরফের কারনে এন্টার্কটিকায় পেট্রোলিয়ামের মজুদ অনেক)।
আদালত থেকে রুল জারি করা হলে তারা আদালতকে শর্ত দেয়, যে কোরেজিট স্প্রে করা হবে রাতে, কারন তখন মানুষ ঘরে অবস্থান করে। এরপর থেকে এখনোও রাতে বিমান দিয়ে কোরেজিট স্প্রে করা হচ্ছে। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা তো হচ্ছেই।
এখন আমার ব্লগ যারা পড়ছেন তাদের মনে যে দুটো প্রশ্ন আসবে সেটা হচ্ছে
১ । এতে বিপি এর লাভ কি?
২ । আমি যে এতো কিছু লিখলাম তার প্রমান কি?
২ নাম্বার এর উত্তর দিই, তাহলে দুটোর উত্তর একসাথে পাবেন। ঈঊএস ইঞ্জিন্যারিং ডীপার্টমেন্ট পরবর্তীতে কিছু পেপার প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের একটা প্রজেক্ট বিপির আছে, যেটা হচ্ছে বিপির কাজ লুসিয়ানা প্রদেশ পর্যন্ত বর্ধিত করা এর মধ্যে ২১ বিলিয়ন প্রজেক্ট ধার্য করা হয়েছে মেক্সিকো উপাসসাগরের উপকুলকে ডিপপুলেট করা,
View this link নাসার স্যাটেলাইট থেকে উপসাগরের তেলের ছবি
নাসার স্যাটেলাইট থেকে উপসাগরের তেলের ছবি
অর্থাৎ ঘরছাড়া করা যেনো তারা সেখানে ইস্টেশন করতে পারে বড় ধরনের ড্রিলিং এর জন্য অথবা মাইনিং এর জন্য। সাধারনত এই মেক্সিকো উপসাগরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই থাকে। ক্যাটরিনা এর মধ্যে অন্যতম। ধারনা করা হয় সেটা ছিলো একটা টেস্ট রান, ডিপপুলেশনের জন্য। আমি হার্পের কথা আগেও বলেছি। হার্পের অন্যতম কাজ হচ্ছে আয়োনোস্ফেয়ার উত্তপ্ত করা। এই ক্যাটরিনা ছিলো তাদেরই সৃষ্টি। সে সম্পর্কে আরেকদিন আলাপ হবে।
বিপির উদ্দেশ্য প্রায় সফল। এখন অনেক মানুষই সেই দূর্যোগের পর তাদের ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। অনেককে ক্ষতি পূরন দিয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে অন্যত্র।
অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে ইলুমিনাতি কার্ডের একটা ছবির সাথে বিপি ওয়েল স্পিলের একটা ছবি হুবুহু মিলে যায়! কিভাবে মিললো সেটাই প্রশ্ন।
কৃতজ্ঞতা ঃ সাপ্তাহিক বুধবার
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:২০