জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মঙ্গলমাঝি লঞ্চঘাটে বেলা ২টার সময় লঞ্চ থেকে কে বা কারা ২ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। মাঝির ঘাটের কাছাকাছি পদ্মা নদীতে দণ্ডায়মান যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল যোগাযোগ-এর দোকানদার মো. বিল্লাল হোসেন তার দোকানের ময়লা ফেলতে গিয়ে শিশুটিকে দেখতে পান নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছে। মানবদরদি দোকানদার বিল্লাল তাত্ক্ষণিক নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে ঘাটের সুপারভাইজার মোকলেস মাদবরের কাছে শিশুটিকে দেন। স্থানীয়রা প্রথমে জাজিরা থানাকে সংবাদ দেন এবং টাকাপয়সা তুলে জনৈক সুলতান মাদবরের মাধ্যমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ডাক্তার মাহমুদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিত্সার পর শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। এখন পর্যন্ত কোনো স্বজন তার সন্ধান করতে আসেনি। বিষয়টি এলাকার মানুষকে হতবাক করেছে। অমানবিক এই ঘটনার জন্য দোষীদের শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী। বর্তমানে শিশুটি জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঝাড়ুদার নিঃসন্তান সাহেরা বেগমের মাতৃস্নেহে লালিত-পালিত হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েটির নাম দেয়া হয়েছে মেঘনা। সংবাদ পেয়ে জেলার বেসরকারি সংস্থা এসডিএস ও সেভ দ্য চিলড্রেন ইউকের অর্থায়নে পরিচালিত এনসিটিএফের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে শিশুটির দায়ভার নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সূত্র : দৈনিক আমার দেশ