যেভাবে দেরি করে ঘুম থেকে উঠবেন
সবাই কেবল সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার ফ্রি টিপস দিয়ে থাকে। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিতে কাউকে দেখা যায় না। কোনো কারণে আপনার দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ইচ্ছা হতে পারে। অনেকে আবার এমনিতেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। যারা দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে চান এবং ওঠেন তারা কীভাবে আরও দেরি করে উঠবেন দেখুন_
* রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গিনি্নর সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে তুমুল ঝগড়া লাগিয়ে দিন। যেন ঝগড়ার ফলে এক পর্যায়ে দু'জনের কথা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যান। ঝগড়া করে দু'জনের কথা বন্ধ থাকায় সকালে গিনি্ন আর আপনাকে ঘুম থেকে ডাকবে না। ফলে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকা কোনো ব্যাপার নয়।
* রাতে ঘুমানোর সময় দুই কানে তুলা গুঁজে দিন। যেন বাজ পড়ার শব্দও আপনার কানের ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে না পারে। তাতে সকালে যত শব্দ বা হাউকাউ হোক না কেন, সেসব আপনার কানে পেঁৗছবে না। এতে আপনার ঘুম হবে দীর্ঘায়িত।
* যারা একটু ভুলোমনের মানুষ তারা রাতে শোয়ার আগে ঘড়ির কাঁটা তিন ঘণ্টা পিছিয়ে দিন। ভুলোমন বলে সকালে আর ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দেওয়ার কথা মনে থাকবে না। ফলে ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে থাকায় এখনও সকাল হয়নি ভেবে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমাতে পারবেন।
* দেরি করে উঠতে গভীর ঘুম না দিয়ে ঘাপলা ঘুম দিন। মানে না ঘুমিয়ে চোখ বুজে জেগে জেগে ঘুমান। কথায় বলে, যারা জেগে জেগে ঘুমান তাদের ঘুম সহজে ভাঙানো যায় না। বলা বাহুল্য, এতে আপনার ঘুম কাটতে বেশ দেরিই হবে।
নিয়মিত ঝগড়া করুন
* নিয়মিত ঝগড়া করলে যার সঙ্গে ঝগড়া করবেন তার সঙ্গে ঝগড়ার মুহূর্তে অবশ্যই আপনাকে তর্ক করতে হবে। এভাবে নিয়মিত ঝগড়া এবং তর্ক করতে থাকলে আপনি একসময় ভালো একজন বিতার্কিক হয়ে উঠবেন।
* ঝগড়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে হাতাহাতি করতে হয়। মানে অ্যাকশনে যেতে হয়। তাতে শরীরের ব্যায়াম হয়। এতে শরীরের ফিটনেস ভালো থাকে।
* বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে রাগ করে বউ বাপের বাড়ি চলে যেতে পারে। এতে সংসারে খরচ কিছুটা কম হয়।
* অনেক সময় ঝগড়ার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাসায় শব্দ দূষণের মাত্রা হ্রাস পেয়ে পরিবেশটা সহনীয় পর্যায়ে থাকে।
বিজি লাইফ ইজি টিপস
* সাদা শার্টের বুক পকেটে রাখা বেরসিক কলম হঠাৎ বিনা নোটিশে কালি ছেড়ে দিয়েছে। কলমটা বের করে পুরো শার্টে ফোঁটা ফোঁটা কালির ছোপ বসিয়ে দিন। তারপর সেটা সাদা-কালো রয়েল প্রিন্ট বলে দিব্যি চালিয়ে দিন।
* অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সপ্তাহে একটি দিন ছুটি পান। মনের মতো করে দিনটি কাটাবেন, সে উপায় নেই। বেছে বেছে ছুটির দিনেই অতিথি এসে হাজির হয়। এই অতিথিদের আগমন ঠেকাতে ছুটির দিনে বাসার সামনে 'বাসায় কেউ নেই' এমন একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখুন। আশা করি, অতিথির আগমন এতে অনেকটাই কমবে।
* শপিং করতে গিয়ে কিছু একটা খুব পছন্দ করে কিনলেন আপনি। নিশ্চিত থাকুন, বাসার আর কারও সেটা পছন্দ হবে না। যখনই আপনি কিছু পছন্দ করে কিনেন, সেটি আর কারও পছন্দ হয় না। এ সমস্যা এড়াতে শপিং করতে গিয়ে যে জিনিসটি আপনার সবচেয়ে অপছন্দ, সেটিই কিনে নিন। দেখবেন আপনার অপছন্দের জিনিসটিই বাসায় সবার খুব পছন্দ হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল
কখনও কখনও এমন সময় আসে যখন পরিস্থিতি অনেকটা নাগালের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি তেমন বেগতিক হলে যেভাবে তা সামাল দেবেন তার কিছু টিপস দেখুন_
* কোনো কারণে আপনার গিনি্ন আপনাকে অফিস থেকে আজ সন্ধ্যার আগে আগে বাসায় ফিরতে বলেছে। সেই আসা আপনি এলেন রাত সোয়া ১২টায়। বলার অপেক্ষা রাখে না ততক্ষণে আপনার গিনি্ন রেগে আগুন হয়ে আছেন। বাসায় ফেরার সময় গিনি্নর জন্য একটি শাড়ি কিনুন। পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে আনতে পারবেন।
* ছোট মাছ দেখলেই গিনি্নর মেজাজ বিগড়ে যায়। তারপরও ছোট মাছ নিয়ে ফিরেছেন বাসায়। আপনার ছোট মাছ দেখে গিনি্নর চোখ হয়ে যায় বড়। দেরি না করে এমন পরিস্থিতিতে নিজেই মাছ কুটতে বসে যান। গিনি্নর আগুন পানি হয়ে যাবে।
* ঘুষ নিতে গিয়ে ঘুষসহ একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন বসের সামনে। সঙ্গে সঙ্গে একগাল হেসে 'স্যার, আপনার জন্যই নিচ্ছিলাম' বলে পুরো টাকাটাই বসের হাতে তুলে দিন। এতে চাকরিটা যেমন বাঁচবে, তেমনি বসও খুশি থাকবেন।