(ইহা একটি কল্পনাপ্রসূত কাহিনী, কোন বাস্তব ঘটনা বা ব্যক্তির সাথে সাদৃশ্য কাকতাল মাত্র)
পাঁচ বছরের ইজারার শেষপ্রান্তে রাখাল বাহাদুরের বাস্ততার কমতি নাই । সবুজ প্রান্তরের আনাচে কানাচে ঘুরিয়া বেড়াইয়া কণ্ঠে কাঁপন তুলিয়া নিজের প্রসস্তিগাথা পাঠ করিতে হইতাছে। তাহারপরও কাহারও মুখে মিষ্ট কথার কোন লক্ষন নাই। তাহা দেখিয়া রাখাল বাহাদুর অতীতের কথা রোমন্থন করিয়া আরেকখানা ফন্দি আঁটিলেন।
তিনি ঠিক করিলেন, কেহ যখন কী করিয়াছি তাহা লইয়া আনন্দিত হইতেছে তাহা হইলে কী করিব তাহাই দেখাই দেই। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিতে যখন এতই অনিচ্ছা, আলোক উৎসবে বাস্ত না হইয়া যখন দুইশত মেগাওয়াটের হিসাব লইয়া সবাই যখন মশগুল, ঠিক তখনি তিনি সবুজ তৃণভূমিকে তিনি বন্ধুর পথের ন্যায় পাথরে পাথরে ভরিয়া দিতে মাতিলেম। উজির-নাজির-সেরেস্তাদার সবাইকে বলিয়ে দিলেন আকাশচুম্বী হইতে অতলভেদী সকল প্রকার স্বপ্নকে শ্বেতপাথরে লিখিয়া বাধাইয়া রাখিতে।
রাখাল বাহাদুর বীরবিক্রমে সদলবলে পঙ্খিরাজ লইয়া প্রত্যহ সকালে বাহির হইতে শুরু করিলেন। কখনও কখনও রাখাল বাহাদুরের সঙ্গী হইলেন তাহার ভবিষ্যৎ কর্ণধার। মহকুমায় মহকুমায় যাইয়া রিমোটের চাবি টিপিয়া পর্দার আড়াল হইতে বাহির করিলেন শ্বেতপাথরের মিনার। যাহাকে সবাই চিনিল ভিত্তিপ্রস্থর হিসাবে।
সবুজ তৃণভূমিকে তিনি বানাইবেন চকচকে এলোমেলো সাদা মোজাইক পাহাড়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯