পুলিশ নিয়ে আমাদের সবারই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা আছে। নিজের ঝুলিতে না থাকলেও আসেপাশের অনেকেরই আছে। মালয়েশিয়ায় গত একমাসে আমাকে দুইবার পুলিশের কবলে পরতে হয়েছে। কেন ধরেছে এবং কিভাবে ছারা পেলাম তাই নিয়ে আজ লিখব।
আপনার হয়ত অনেকেই জানেন মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় যারা এসেছিল তাদের ভিসা নবায়ন হঠৎ করে বন্ধ করে দেন। কি কারন কিছুই জানিনা। বাংলাদেশের কিছু পত্র পত্রিকায় কিছু খবর প্রকাশ হয়েছে।
View this link
View this link
তবে যারা প্রকাশ করেছে তারা ভাল খবরা খাবর নিতে পারেনি। যেমন একএক পত্রিকায় একএক সংখ্যা বলেছে এক পত্রিকা বলছে ৩ লাক্ষ অন্যটা বলছে সারে ৩ লাক্ষ আবার আরেক পত্রিকা বলছে ৪ লাক্ষ। প্রতিটা খবরের কাগজে ৫০ হাজার কমবেশি রয়েছে। তার মানে আমরা কত জন মালয়েশিয়ায় আছি সঠিক খবর কার জানা নেই। আমি ২০০৭ সালের মাঝামাঝিতে মালয়েশিয়ায় আসি। তখন বাংলাদেশ আর মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টের অবস্তা দেখে ধারনা করি প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়া প্রবেশ করত। এই কলিং ২০০৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চালু ছিল। ১৯৯৬ পারমিটধারি (ভিসা) আর অবৈধ যারা ছিল তা আমার গুনার বাইরে।
আরো বলা হয়েছে ''মালয়েশিয়ায় যারা তিন বছরের চুক্তিতে গেছেন তাদের প্রথমে তিন বছরের চুক্তির পর নবায়নের মাধ্যমে আরও দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় এসব শ্রমিক এখন আর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবে না।'' আমি ভেবে পাইনা ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে কলিং চালুহলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ৫ বছর কিকরে হয়? আমার জানা মতে মালয়েশিয়ায় ৪নং ভিসার লোক নেই বললেই চলে, ৫নং আসবে কোথা থেকে?
আমার ৩নং ভিসার মেয়াদ শেষ হয় ২০১০ সালের মাঝামাঝিতে। ভিসা নবায়নের জন্য মালয়েশিয়ান এজান্টের মাধ্যমে পাসপোর্ট আর টাকা ইমেগ্রেসনে জমাদেই। ভিসা পেতে দেরি হবে বলে আমাকে একটা কগজ (পাসপোর্ট ইমেগ্রেসনে আছে তার প্রমান পত্র) ধরিয়ে দেয়। আজ ৭ মাস হয়েগেল আমার ভিসার খবর নেই! ফোন করলে বলে ''তুমি চিন্তা করবে না, ভিসা পাবে তবে একটু সময় লাগবে''।
এবার পাঠকরা নিশ্চই বুঝতে পারছেন, কেন পুলিশ ধরেছিল?
এবার ছারা পাবার কাহিনি বলি।
ওয়ার্ক সপের একটা কাজে মটর সাইকেলে চেপে গিয়াছিলাম KLCC আমি আর আমার সাথে এক ইন্দোনেশীয়ান সহকর্মি। আসার পথে রোড ব্লকে পরে যাই। আমাদের কাগজ পত্র দেখে ইন্দোনেশীয়ানকে ছেরে দিলেও আমাকে ছারতে চাইল না। এই নিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা বিতর্ক চলল আমার আর পুলিশের মাঝে। আমার যে কাগজ আছে তা আইনত বৈধ। তার পরও আমাকে কেন ছাড়া যাবেনা এটাই তর্কের বিষয়। পুলিশ আমার কাছে ঘুষের আশা করছে আমি তা বুঝতে পারিনি (মুখে না বললে কিকরে বুঝব)। আমি বুঝতে পারিনি দেখে একজন পুলিশ আমার ইন্দোনেশীয়ান বন্ধুকে গিয়ে কিছু টাকা দিয়ে দিতে বললেন। ইন্দোনেশীয়ান বন্ধুটি আমার কানে কানে টাকার কথা বলে দিল। কিআর করা পকেট থেকে মানিব্যাগ বেরকরে ১০ রিংগিটের ২টা নোট বারিয়ে দিলাম। পুলিশ তারা তারি টাকা নিতে নিতে বললেন ''জাংগান কাছি ইনি মাচাম'' (এভাবে দিওনা)। প্রথম বার নিজ হাতে ঘোষ দিচ্ছি কিকরে জানব কিভাবে দিতে হয়?
দ্বীতিয় বার একই ভাবে আটকে যাই। এবার আমার ইন্দোনেশীয়ান বন্দুটি আমাকে দুরে রেখে। নিজেই পুলিশের সাথে কথা বলে কিছু টাকার বিনিময়ে মিটমাট করে নেয়।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২৬