বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে। আগামীকাল তারা মুখোমুখি হবে ইন্ডিয়ার। শিরোপার যে লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিততেও পারে আবার হারতে পারে.....
জিতলে সেটা হবে এ জাতির জন্য অসাধারণ আনন্দের উপলক্ষ।
হারলে সেটা হবে কিছু সময়ের নিরবতা, এর বেশি কিছু নয়! কারন বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই, ইতিমধ্যেই দলটি এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বে টেক্কা দিয়েছে শ্রী লংকা এবং পাকিস্তানের মত পরাশক্তিকে।
তবে ফাইনালে পৌছানো ফাইনাল আত্মতৃপ্তি হতে পারে না!
তাই আমি আশা করছি- বাংলাদেশ ফাইনালে এক চাম্পিয়নের মতোই খেলবে...
একই সাথে আশা করছি- সবার হৃদয় জয় করা এ দলটি শোধ করবে তাদের ঋণ!
অনেকেই এখন প্রশ্ন করতে পারেন- কিসের ঋণ?
উত্তর- অনুপ্রেরনার ঋণ।
গত ১৯ বছরে এ দলটির উন্নয়ন হুট করে হয় নি। ধিরে ধিরে এ উন্নয়নের গ্রাফটি হয়েছে উর্ধ্বমূখি। যার পেছনে ছিলো অসাধারন সমর্থন এবং অনুপ্রেরনার গল্প।
এ সমর্থনের একদিকে ছিলো দেশপ্রেমী দর্শকেরা। যাদের সমর্থনের কৃতজ্ঞতা দলটি সব সময় স্বীকার করে।
কিন্তু এ অনুপ্রেরনার অন্যদিকে রয়েছে 'বাঘ', যার কৃতজ্ঞতা দলটি কখনো স্বীকার করেনি!
মনে করে দেখুন- এ দলটির পার্ফরমেন্স যখন বেড়াল বা শাবকের মতো ছিলো! তখনও কিন্তু এ দলটিকে টাইগার বলে ডাকা হতো, দলটির জার্সিতে, ক্যাপে টাইগারের মনোগ্রাম ব্যাবহার করা হতো।
ক্রিকেটিয় শক্তি বিচারে এক নিচুস্তরের দলকে প্রতিনিয়ত বাঘ বাঘ বলে যে অনুপ্রেরনা দেয়া হয়েছে, তাতেই তাদের মধ্যে সম্ভবনার বাঘটি জেগে উঠেছে।
তাই আজ ক্রিকেটিয় টাইগারদের উচিত প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরনা দেয়া এ টাইগারকে কৃতজ্ঞতা জানানো বা অনুপ্রেরনার ঋণ শোধ করা।
প্রশ্ন আসতে পারে- সেটা কিভাবে?
উত্তর- বাঘের আশ্রয়স্থল রক্ষায় ভূমিকা রেখে।
বাঘের আশ্রয়স্থল সুন্দরবনের পাশে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে এতে ঝুকিতে পরবে বন, বন বিপন্নে বাঘও।
তাই ক্রিকেটের টাইগারেরা তাদের প্রতিমুহুর্তের অনুপ্রেরনার কৃতজ্ঞতায় বা ঋণ পরিশোধে বাসনায় বাঘ রক্ষায় বাঘের আবাসস্থলের জন্য ভুমিকা রাখতে পারে।
প্রশ্ন আসতে পারে- সেটা কিভাবে?
উত্তর- বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে দেয়া সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা, ক্রিকেটের বড় ফ্যান।
তিনি নিশ্চই খেলা দেখতে আগামিকাল মাঠে যাবেন।
বেশী কিছুর প্রয়োজন নেই, বাংলার টাইগারেরা একবার তাকে বলুন- আমরা বাংলার বাঘ, বাঘের আবাসস্থল ধ্বংস করা বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা চাই না।
এর এভাবেই মাশরাফিরা শোধ করতে পারেন তাদের ঋণ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩১