কিছুক্ষণ পূর্বে ফ্রান্সের Ushuaïa TV তে প্রফেসর ইউনুস আর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়া "Artisans du changemen" যার বাংলা করলে দাড়ায় "পরিবর্তনের নায়কেরা" নামের একটা প্রতিবেদন দেখাল।
প্রতিবেদনটা দেখার পর বেশ কয়েকটা বিষয় মাথার মধ্যে শুধু টুকাটুকি করছে।যদি টুকাটুকিটা একটু বন্ধ হয় মাথার এই ভরসায় দুএকটা বিষয় নিয়ে বলার জন্যে এই লেখাটা।
****প্রতিবেদনে দেখানো এই পয়েন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সত্য।আমার খুবই ভাল লেগেছে।কথার সাথে ১০০% একমত ।
"বাংলাদেশের নারীরা প্রতিনিয়ত অনেক বৈষম্যের শিকার।নারীদের গৃহবন্দি করে রাখতে পছন্দ করেন দেশের অধিকাংশ মানুষ,নারীদের লেখাপড়া করতে দিতে আগ্রহী নন পুরুষের,গৃহস্থলী কাজ করলেই পুরুষেরা খুশি হন বেশি,নারীদের স্বাবলম্বী হতে দেওয়াতো অনেক দূরের বিষয়।"
নারী পুরুষ সবাই সমান অধিকার ভোগ করুক।সমাজ থেকে ভেদাভেদ দূর হোক।বিশ্ব নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
এখন আসি পরবর্তী প্রসঙ্গে-
১.প্রতিবেদনের শুরুতে প্রতিবেদক শুরু করলেন এভাবে"বিশ্বের অতি দরিদ্র দেশর মধ্যে একটি বাংলাদেশ,অর্থনীতি দুর্বল,যেখানে নেই কোন টুরিস্ট এর আনাগোনা।এইসব বলার পর অবশ্য মাইক্রো ক্রেডিটের বেশ সুনাম করলেন।
প্রথম কথাটার সাথে আমি একমত হতে পারিনি,হাঁ এটা সত্য আমরা এখনও দরিদ্রসীমা পোরপুরি অতিক্রম করতে পারিনি তবে অতি দরিদ্র কথাটা ঠিক নয়।এটা মুহাম্মদ ইউনূসেরও জানার কথা।প্রতিবেদককে যা বলা হয়েছে তিনি তাইতো বলবেন।
দ্বিতীয় কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত,আমাদের এত অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটা দেশ।আছে টুরিস্টের অপার সম্ভবনা কিন্তু সঠিক প্রচার আর গাফলাতির জন্যে এই অপার সম্ভবনার খাতটি মুখ থোবরে মরে আছে। আমাদের সরকার কবে একটু সুনজর দিবেন এইদিকে কে জানে?একটু সুনজর দিলে এটা হতে পারত অনেক লাভজনক একটা খাত।দরকার আমদের রাস্ট্রযন্ত্রের একটু সুনজর।
২.বলা হল মাইক্রো ক্রেডিট বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রেখেছে।মানুষকে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে করেছে স্বাবলম্বী।এটা হয়ত সত্য অনেককে স্বাবলম্বী করেছে সাথে কত মানুষকে যে নিঃস্ব করেছে সেটাও যদি একটু ওদের জাননো হত।
৩.মুহাম্মদ ইউনূসের এই কথাটায় বেশুমার মজা পেয়েছি।ব্যাবসাহীকের ব্যাবসা সম্মন্ধীও সূক্ষ্ম কিন্তু স্থূলাকার ব্যাবসায়ীক কথা।"আমি এটাকে সবার সাথে ভাগাভাগি করতে চাই"।
এই প্রথম আমি কোন মোটামুটি জনপ্রিয় ফ্রেঞ্চ টিভিতে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার (হোক তা কোন একটা নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে) মত একটা প্রতিবেদন দেখলাম।অবশ্যই খুশি লেগেছে।এর জন্যে মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক ধন্যবাদ পেতেই পারেন।