সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত"প্রথম আলোতে" কাদম্বরীদেবী আর রবীন্দ্রনথের এর মধ্যে যে সম্পর্ক বর্ণনা করেছেন তার সাথে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত"কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড-নোটে" বর্ণীত সম্পর্কের বিস্তর ফারাক লক্ষ করলাম।
প্রথম আলোতে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক মধুর বন্ধত্বময় ছিল বলা হয়েছে।সাথে কাদম্বরী সাহিত্যরস বুঝতেন বলে তাদের মধ্যে সাহিত্যসুধা আদানপ্রদানের একটি গভীর বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নোটে তাদের সম্পর্ক বন্ধত্ব এর সীমানা ছাড়িয়ে কোথাও কোথাও প্রণয়ে গড়িয়েছে।কাদম্বরীদেবীর মৃত্যুর পিছনেও অনেক হতাশা,আর রবীন্দ্রনাথ এর প্রতি প্রচন্ড ভালবাসা থেকে সৃষ্ট অভিমান অনেকাংশে দায়ি মনে হল আমার সুইসাইড নোট পড়ে।
যদিও লেখক প্রাক কথনে বলেছেন "ধরে নিলাম কাদম্বরীদেবীর সেই সুইসাইড -নোটটি হঠাৎ পাওয়া গেল তাঁর আত্নহননের একশো সাতাশ বছর পরে।ধরে নিলাম সেই ঝলসানো সুইসাইড-নোটের পাঠোদ্ধার সম্বভ হল শেষপর্যন্ত।
আবার নোটের শুরুতে বালা আছে"ঠিক সুইসাইড নোট নয়।এক সুদীর্ঘ চিঠি।চিঠিটার সর্বাঙ্গ ঝলসে গেছে আগুনে।অনেক কষ্টে সেই ঝলসানো চিঠির করুন অক্ষরগুলি পাঠোদ্ধার সম্বভ হল শেষপর্যন্ত।" এটা হয়ত নোটের বর্ণনার মাধুর্যের জন্যে কাহিনীর প্রয়োজনে লেখা।
মনের মধ্যে প্রশ্ন থেকে যায়-লেখক এখানে নিজের কল্পনাশক্তি দিয়ে সাথে মনের মাধুরী মিশিয়ে পোরটাই বর্ননা করেছেন কিনা।
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় কি একেবারে কিছু খোঁজখবর না নিয়ে,কিছু তত্ত্বানুসন্ধান না করেই পোরটা লিখেছেন।নাকি এর কিছুটা গবেষণালব্দ ফলাফল?