পাথরে আশ্চর্য ফুল! তোর চোখ থাকলে দেখতে পেতিস। তোর হাতের মুঠোতে এক মাঠ ঘৃণা নিয়ে শুয়ে আছিস, ছড়িয়ে দে? শামুকের গাঁয়। ওদের অত তাড়া নেই! নেবে সব।
হাওয়ায় স্বপ্নও ভাসে; তোর চোখ থাকলে দেখতে পেতিস! ইস্ তোর চোখ নেই কেন? ঘুমে তোর চোখ নিয়ে গেছে। আমি রোজ জেগে থেকে দেখি আর তুমি ঘুমোস একাকী।
২.
তোমাকে উল্টে দিতাম
যদি হতে দু’শো পৃষ্ঠার কোন এক বই
কিংবা খুচরো পয়সার এক পিঠ।
ভাসিয়ে দিতাম কাগুজে নৌকা অথবা খসে পড়া একটা হলুদ পাতার মতো।
৩.
অথবা রবীন্দ্রনাথ। তিনি লিখলেন গোটা গোটা অক্ষরে। আমার চোখে শব্দতীর ছুড়ে দিলেন তিনি। তীর চোখে গেঁথে উন্মদ ষাঁড় হয়ে ছুটলাম কুল-গলিতে। ঘুলঘুলির পাহারাদার কিংবা চিলেকোঠার আধখোলা জানালা হতে পেলে বেশ হতো! গিলে নিতাম আধটা গগন! যদি আমার শব্দ জমিতে গীত বিতানের সমস্ত অনুরাগ মিশিয়ে দিতে পেতাম তোমাদের বিষনয়ন নগরে, তাহলে আরও একটা রবীন্দ্রনাথ হতো।
৪.
কে বড়?
বিশ্বাস না সন্দেহ? তুমি হয়তো গিলটির গয়নাকে বড় বেশি যত্ন করে রাখনা, সে বড্ড চকমকি বলে কখনো-সখনো তোমাকেই রক্কাক্ত করে তোলে; তবুও বিশ্বাস! সোনার অভাব মিটিয়ে দেয়। অন্ধকেও বিশ্বাস করতে ভয়; কেননা সেও কামকেলী বোঝে। সেও হাত দিতে পারে উন্মত্ত উরসিজে! সন্দেহ অন্ধেরও হয়; ঝিনুকের মতো। সত্যিই কি বালুকণা থেকে মুক্তো হয়? সন্দেহ যেন উনুন কন্যা। তার চাওয়ার শেষ নেই। পাথরের মুর্তিকে বিশ্বাস নেই! সৃষ্টিকর্তা নিরাকার- তার আবার আকার কি? তবুও মাথা ঠেকানো যদি ‘মেলে’ ।
৫.
কলমে ভর করেছে বিদ্যংদেহী! এবার ছুটবে শব্দঘোড়া আমার। অলি-গলি, কাদামাটি। শুদ্ধ-অশুদ্ধ, মঙ্গল ও জল শঙ্খের আওয়াজে মাতিয়ে তুলবে। ভাবছি কলম চুইয়ে যেন রক্ত না পড়ে আবার!
৬.
জীবন বাকীর খাতা খুলে রেখেছে সে। আদা, তেল, নুন, ময়দা সব বাকী। বাকী গুড্ডুর জন্য কেনা বার্লি। তালি পকেট তালি গড়ের মাঠ বাকীর হাট। পান্তা আর পাস্তা সব যেন খাস্তা। জীবনটাও বাকী। নষ্ট রাজনীতিবিদদের প্রিয় খাতা। কবে শুধবো ঋণ! আমি খুজছি “ ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি” গানটির রচয়িতাকে। অনেক বাকী পড়ে গেছে তার কাছে।
=======================================
রচনাকাল:
৯ ফেব্রুয়ারী-২০১৪ খ্রিঃ
সুসং নগর।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫