১.
আজ এই যে মুখভরে কথা বলছি, এই যে আঙ্গুল চেপে লিখছি, এই চোখ বুলিয়ে যে লেখা পড়ছি তার সবটুকুই একদিন ধ্বংস হতে বসেছিল। আমাদের এই মুখের ভাষা, মায়ের ভাষা, প্রাণের ভাষা বাঙলা ভাষা যদি এই বাঙলায় না থাকতো তাহলে হয়তো লিখতে পারতাম না এভাবে। রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হলে নিজেকে এভাবে মেলে দিতে পারতাম না লেখায়।
ভাষাটা রক্ষা হয়েছে। তাজা প্রাণ গেছে। মায়ের চোখে অপেক্ষায় প্রহর চৈত্রের দুপুর হয়েছে কিন্তু খোকা শহর থেকে কথার ফুলঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরেনি। ভাইয়ের নাম শুধু পাথরে খোদাই হয়ে আছে, ফেব্রুয়ারী এলেই শুধু প্রভাতফেরীতে গাওয়া হয় গান। ব্যাস আর কিছু না।
২.
বাংলাভাষাটা এত মিষ্টি যে, মনে হয় কোকিল বোধ হয় এতে গলা ডুবিয়ে অনেকটা খেয়ে নিয়েছিল। আর তাইত ওর কন্ঠে শুনলেই মনটা কেমন হারিয়ে যায়। আহা যদি কোকিল হতে পারতাম!
৩.
ভালোবাসি বাঙলা, ভালোবাসি বাঙলাদেশকে; অতটা ভালো হয়তো আর কাউকে বাসা সম্ভব নয়। এই ভালোবাসার মাঝে কোন ছল-চাতুরি নেই। কোন বিশ্বাসের সাপ-লুডু খেলা নেই। তবে ভাষার মাসেও অনেকে বাঙলা ভাষাহীন হয়ে যায়।
৪.
নির্মল বাঙালী হয়ে বাঙলা লিখে যেতে পারলে বেশ আনন্দ অনুভব হয়। ভেতর থেকে প্রাণবন্ত আভা বেড়িয়ে আসে। আবারও একটা রবীন্দ্রনাথ আসুক! আবার বাঙলা সাহিত্য বিশ্বের দরবারে গর্জে উঠুক; আবার কন্ঠে বাজুক- আমার সোনার বাঙলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
=======================================
=রচনাকাল
৩১ জানুয়ারী-২০১৪
সুসং দুর্গাপুর।