ভারতে বসে ভাল্লাগতেছে না।
অফিস থেকে যখন শুনলাম ১ মাসের জন্য ইন্ডিয়া যেতে হবে কাজের জন্য তখন ফাটাফাটিই লাগতেছিল



এইখানের সবকিছুই কেমন যেন আজিব!!! খাবার দাবার উরাধুরা সব টক। সব কিছুই আমাদের মত খাবার শুধু উদ্ভট উদ্ভট সব মশলা আর টক দিয়া পুরা খাবারটার ...মাইরা দেয়। তবে এদের অনেক রকমের ডাল আছে, এইগুলা ভাল। এদের খাবারের আরেকটা বাজে জিনিস হইতেসে নারকেল। আচ্ছা ঠিক আসে মানলাম নারকেল খারাপ কিছু না তাই বলে যা তা সব কিছুর মধ্যে নারকেল? শালার ভোদাইরা আসলেই ভোদাই

খাবারের চে বেশি যেই জিনিসটা মিস করি সেইটা হইতেসে চা। টংঘর খুইজা খুইজা পাইনা। মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, এরা কি আসলেই সভ্য জাতি? ঠিকমত টংঘর যাদের নাই তারা আবার সভ্য হয় কেম্নে? যাইহোক দুয়েক্টা টংঘর যা আছে তাই নিয়েই কথা বলি। মাশাল্লাহ ওইগুলাও একেকটা জিনিস। ওইগুলানা আসলে অইগুলাতে যে চা বানায় সেইগুলা জিনিস। আজ পর্যন্ত আমি খাইয়া বুঝতে পারলাম্না যে এই বস্তুটাকে এরা চা বলে ক্যান? দুধের মধ্যে হাবিজাবি সব মশলা দিয়ে জাল দেয়া আর তার মধ্যে ভুল করে পড়ে যাওয়া কিছু চাপাতা এইটারে ওরা বলে চা!!! একেক চুমুক দেই আর মেজাজ পুরা বিলা হয়ে যায়। গোটা কাপ শেষ করলে কান্না পায়

আর আরেকটা যে জিনিসের কথা না বললেই না সেটা হচ্ছে সিগারেট। একেতো অফিসের ভিত্রে কোনো স্মোকিং জোন নাই তার ওপর টংঘরও খুবই কম, আর আরো কম সেখানে থাকা সিগারেট। আমার সাধের গোল্ডলিফ নাই, সারা ভারতে নাই। বাধ্য হয়ে আমাকে সব বালসাল সিগারেট খাইয়া থাকতে হয়। লাল চা আর গোল্ডলিফের বিরহে আরেকটু হলেই আমি নন-স্মোকার হয়ে যাব মনে হচ্ছে

যাক আপাতত এইটুকুই থাক ফ্রেন্ডস,ফ্যামিলি এইগুলার কথা আর বললাম না। অপেক্ষায় থাকি যেন কেউ আমার বিরুদ্ধে তাড়াতাড়ি ‘ভারত ছাড়’ আন্দলনে নামে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০১