হায়রে ভারতীয় টিভি সরিয়িাল !! তোমরা কত যাদুই না জান !! এই সিরিয়ালগুলোতে শুধুই কুটনামি আর জটিলতা ছাড়া আমার মনে হয় না আর কিছুই দেখানো হয়। মেয়েদেরকে এখানে জটিল/কুটিল চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এসব সরিয়াল দেখে মনে হয় যে জীবনে শুধুই কুটনামি আর কুটনামি-বাকি সব কিছুই মিথ্যা। আমাদের মা,খালা ,ভাবী, চাচী, বোনসহ মেয়েরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এইসব সিরিয়ালগুলো দেখে থাকে । তারা এই সব দেখে বাস্তবে তা প্রয়োগ করার চেষ্টাও করে থাকে। এই সিরিয়াল যখন দেখানো হয় তখন যেন আর কোন কাজ থাকবে না, এমনকি অনেক মা তাদের সন্তানকে পড়ানোর কথাও ভুলে যায় বা শিশু পড়ার কথা বললেও মা শিশুর সাথে চেঁচামেচি করতে থাক।এইসব সিরিয়ালকে কেন্দ্র করে অনেক পরিবারে স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও মারামারিও হয়। অনেক স্ত্রী অভিমান করে তার বাপের বাড়িও চলে যায়। এখন এই সব সিরিয়াল এখন কিশোরীরা দেখে থাকে। আর যদি বাবা ভাই বারন করে তো আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসা দেখতে বারণ করায় পরিবারের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে স্বর্ণা খাতুন (১২) নামের এক স্কুলছাত্রী। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার আগ্রাণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্বর্ণা ওই গ্রামের অহিদুল ইসলামের মেয়ে ও আগৃাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার দুপুরে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে স্বর্ণা স্টার জলসা চ্যানেলে নাটক দেখছিল। এ সময় তার বাবা এই চ্যানেল দেখতে নিষেধ করেন। বার বার বলার পরও কর্ণপাত করায় তার বাবা গালমন্দ করেন। এতে অভিমান করে স্বর্ণা টেলিভিশন বন্ধ করে পড়ার কথা বলে পাশের ঘরে যায়। এর আধাঘণ্টা পর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে মা নাছিমা বেগম ঘরে গিয়ে দেখেন, স্বর্ণা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে।
স্বর্ণাকে উদ্ধার করে দ্রুত বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, পরিবারের অনুরোধে ও কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বর্ণার লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি।
তথ্যসূত্র: এখানে দেখুন
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৮