somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কান্ডারি অথর্ব
আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

সাতটি ভারতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাল কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব শুনতে সবসময়ের জন্য আনন্দদায়ক। যখন মানুষ নতুন কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বৃদ্ধি করাকে উপভোগ করে, তখন খুব অল্পই কেন্দ্র পর্যায়ে এটি তৈরি করে। এখানে শীর্ষ সাতটি ভারতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আলোচিত হলো।



ভারত এখনও ব্রিটিশ রানীর অধিনস্ত একটি উপনিবেশ

১৯৪৭ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর কালীন সময়ে ভারতকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলেও ভারত কমনওয়েলথ জাতি হিসেবে অব্যাহত থাকবে এই সিদ্ধান্ত গোপন রাখা হয়। অতএব ভারত সহ সব কমনওয়েলথ দেশগুলো এখনও রানীর একটি উপনিবেশ হিসেবে ধরা হয়। এমনকি ভারতের জাতীয় সংগীত রানীর সন্মানে লেখা হয়। এমনকি শুধুমাত্র ব্রিটিশ ভারতের অধিনস্ত অঞ্চলের নামগুলো ভারতের জাতীয় সংগীতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বলা হয়ে থাকে যে রানীর জন্য তার উপনিবেশভুক্ত দেশ ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন নেই এবং ১৯৯৭ সালে তার ভিসা ছাড়া ভারত সফর কালীন সময়ে এই নিয়ে ভারতের সংসদে উন্মাদনা উত্থাপিত হয়েছিল।



নয়জন অজানা মানুষ

এই তত্ত্ব অনুসারে অভিযোগ রয়েছে যে, মৌর্য সম্রাট অশোক কর্তৃক একটি গোপন সমাজের সন্ধান পাওয়া যায়। যারা জ্ঞান রক্ষা ও বিকাশে সহায়ক হলেও ভুল হাতের মধ্যে পড়লে মানবতার জন্য বিপদজনক হতে পারে ভেবে নয়জন অজানা মানুষের কাছে এই গোপন জ্ঞানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই নয়জন মানুষের উপর ন্যস্ত ছিল নয়টি বই। এই নয়টি বই হলোঃ

১। Psychological Warfare
২। Physiology
৩। Microbiology
৪। Alchemy
৫। Communication including Communication with Extraterrestrials
৬। Gravity and Antigravity Devices
৭। Cosmology including Hyperspace and Time Travel
৮। Light
৯। Sociology



তাজমহল বা তেজো মহালয়া

এই বিখ্যাত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুসারে, তাজমহল মূলত মোঘল সম্রাট শাহজাহান তৈরি করেননি এটি একটি প্রাচীন শিব মন্দির যা পরে সম্রাট জয়পুরের মহারাজা থেকে জোর পূর্বক নিয়ে নেন যার নাম ছিল তেজো মহালয়া। পি কে অক তার "ট্রু স্টোরি তাজ মহল" শীর্ষক বইতে ঐতিহাসিক ঘটনা এবং তার উপর মতামতের প্রেক্ষিতে তাজমহলের আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে এর গঠনগত নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে প্রমান করেন যে, তাজমহল আসলে পূর্বে ছিল তেজো মহালয়া। ২০০০ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে তাজমহল ছিল হিন্দু রাজা কর্তৃক নির্মিত কিন্তু পুনরায় ২০০৫ সালে একই পিটিশন এলাহাবাদ হাইকোর্ট দ্বারা বরখাস্ত করা হয় এবং পি কে অকের পিটিশন খারিজ করা হয়।



সুভাষ চন্দ্র বোসের মৃত্যু

সুভাষ চন্দ্র বোস, ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে যেয়ে শহীদ হওয়া একজন বিশিষ্ট ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে যে, ১৯৪৫ সালে বোস যখন টোকিও পথে বিমানে করে যাচ্ছিলেন তখন তাইওয়ানের একটি সমতলে দুর্ঘটনায় মারা যান। তার পুরো শরীর খুব খারাপভাবে পুড়ে যায় এবং পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে তিনি ঘন্টার মধ্যে মারা যান। তাকে পরে তাইওয়ানের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে শবদাহ করা হয়। কিন্তু মন্দিরে তার শবদেহর অনুপস্থিতি পরে তার সম্ভাব্য বেঁচে থাকার বিষয়ে অনেক তত্ত্ব রহস্যের জন্ম দেয়। ভারত সরকারের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন কমিটি এই বিষয়ে বছর ধরে তদন্ত করতে থাকে। অথচ ডঃ পূরবী রায়, তার "নেতাজির জন্য অনুসন্ধান করুনঃ নতুন ফলাফল" বইয়ে একজন রাশিয়ান পণ্ডিতের রেফারেন্স দিয়ে বলেন যে, বোস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা অধিকৃত ছিলেন এবং অক্ষ ক্ষমতার বলে তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় শুধুমাত্র জাপানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার সন্দেহ পোষণ করে। তিনি পরে সোভিয়েত বন্দিদশায় থাকাকালীন অবস্থায় সাইবেরিয়া মারা যান।



লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এর মৃত্যু

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী একজন বিশিষ্ট ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শাস্ত্রী সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক থেকে রাশিয়ায় মারা যান। তার আকস্মিক মৃত্যু রহস্যের জন্ম দেয়। কিন্তু পোষ্ট মর্টেম করে সেই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য রাশিয়া বা ভারত সরকার উভয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে তাঁর মৃত্যুর পেছনে সঠিক কারণ চিহ্নিত করা হয় যে বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করা হয়। তার সমস্ত জিনিসপত্র ভারতে ফেরত এলেও শুধুমাত্র যে ফ্ল্যাক্সে করে শেষবার তিনি পানি পান করেন তা ফেরত দেয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জনপ্রিয় লেখক অনুজ ধর শাস্ত্রী মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত নথি প্রকাশ করার জন্য তথ্য অধিকারের অজুহাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাবর জিজ্ঞাসা করলে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের থেকে জানানো হয় যে, তাতে এই দেশের শান্তি ব্যাহত হতে পারে এবং বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে তাই তা প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং সংসদীয় বিশেষাধিকার ভঙ্গ হতে পারে বলেও আইন দেখানো হয়।



ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি ভি এর বিন্যাস

অগ্নি ভি ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের উদ্ভাবিত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি সিরিজের মধ্যে পঞ্চম, যা সফলভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে এপ্রিল ১৯, ২০১২ সালে চালু করা হয়েছিল। কিন্তু অগ্নি ভির প্রকৃত পরিসর সম্পর্কে সন্দেহ উত্থাপন করা হয়। প্রথমে ক্ষেপণাস্ত্রটির সঠিক পরিসীমা গোপনীয় ছিল, কিন্তু পরে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় যে, এর পরিসীমা ৫৫০০-৫৮০০ কিমি। কিন্তু এটি ৫০০০-৮০০০ কিমি লক্ষ্যবস্তুর পরিসীমার সঙ্গে উন্নত ছিল। অগ্নি চতুর্থ ৪০০০ কিমি এর একটি অপারেশন পরিসীমার সঙ্গে ১৭০০০ কেজি ওজনের ছিল এবং অগ্নি ভি ৫৮০০ কিমি সরকারী পরিসীমার সঙ্গে ৫০০০০ কেজি ওজনের। কিন্তু চীনা বিশেষজ্ঞরা ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাদের মতে এর ৮০০০ কিমি সম্ভাব্য পরিসর আছে এবং এটি ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় কর্মকর্তারা কম দেখিয়ে রেখেছে।



ভারতীয় ইউ.এফ.বেজ

হিমালয়ের কংকা লা পাস আকসাই চীন এর বিতর্কিত ইন্দো-চীনা সীমান্ত। চীনা অধুষ্ঠিত অংশ আকসাই চীন নামে পরিচিত এবং ভারতীয় দখল দারিত্বের অধীনের অংশ হলো লাদাখ। এটি বিশ্বে ব্যবহৃত একমাত্র অঞ্চল যেখানে সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশই কোন প্রকার টহল প্রদান করতে বাধ্য নয়। সীমান্তের উভয় পক্ষের স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে, এই অঞ্চলে একটি ভূগর্ভস্থ ইউ.এফ.বেজ আছে। এখানে অদ্ভুত গঠনের ত্রিদলীয় প্রতিভাত একটি নীরব কারুশিল্প আছে, যা ভূগর্ভ স্থল থেকে উল্লম্বভাবে উঠে এসেছে। স্থানীয়দের কাছে এটি নতুন কিছু নয় এবং তা কংকা লা পাসের মধ্যে খুব সাধারণ ভাবেই দৃশ্যমান। পর্যটকদের দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ পারমিট থাকা সত্ত্বেও এই এলাকায় প্রবেশ অধিকার সংরক্ষিত। এই তত্ত্ব ২০০৬ সালের জুন মাসে, গুগল আর্থ উপগ্রহ কল্পচিত্র দিয়ে চীনা সীমান্ত এলাকায় একটি ১:৫০০ স্কেলে বিস্তারিত ভূখণ্ড মডেল উদ্ভূত বলে প্রত্যয়ণ দেয়া হয়। এই মডেল একটি সামরিক সুবিধা প্রতিম ভবন দিয়ে বেষ্টিত। আকসাই চীন ইউরেশীয় ও ভারতীয় প্লেটে তৈরিকৃত এমন একটি অভিসারী প্লেট সীমান্ত অঞ্চল, যেখানে একটি প্লেট অন্যান্য ধনী প্লেটের অধীনস্ত এবং ঠিক এভাবে এটি বিশ্বের অল্প সংখ্যক অঞ্চলের মধ্যে একটি অঞ্চল, যেখানে ভূ-গভীরতা অন্যান্য জায়গার তুলনায় দ্বিগুণ হিসাবে পরিমাপকৃত।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
৪৭টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×