প্রশান্ত মহাসমুদ্রের তীরবর্তী প্রাচীন মায়ান এবং প্রাচীন বালিনীয় সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে অবস্থিত দুটি সভ্যতা। আপাতদৃষ্টিতে এই সম্পর্কহীন প্রাচীন সভ্যতা দুটি ধ্বংসাবশেষের অনুচ্চারিত গল্প হলেও এখনো রহস্যজনকভাবে উভয় সংস্কৃতির স্থাপত্য, মূর্তিশিল্প, ধর্ম একই ভাবধারায় ভিন্ন শরীরে আবিষ্ট। উভয় সংস্কৃতি যদিও মহাসমুদ্র দ্বারা বিপরীত দিকে পৃথককৃত তথাপি অনেক বিভ্রান্তিকর এবং অসমাধিত মিলের মাধ্যমে প্রাচীন মায়ান এবং প্রাচীন বালিনীয় সভ্যতা সংযুক্ত রয়েছে। এদেরকে বলা যেতে পারে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রত্নতাত্ত্বিক প্রহেলিকা যার রহস্য আমেরিকান পণ্ডিতদের দ্বারা কেবল উপেক্ষিতই হচ্ছে। প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে কি এমন রাজনীতি ও ব্যবসায়ী স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে ? বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
শক্তিশালী কর্পোরেট পরিবারের একটি অতি ধনী অভিজাত শ্রেণী সফলভাবে আমাদের প্রাচীন অতীতের ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক সত্য গোপন করে রেখেছে। প্রভাবশালী আমেরিকান নেতাদের দ্বারা গঠিত অদৃশ্য সরকার যাদের লক্ষ্য তাদের পিতৃপুরুষদের প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বৈরশাসন একটি গোপন গ্লোবাল সিস্টেমের মাধ্যমে বজায় রাখা। আরো নির্দিষ্টভাবে, প্রাগঐতিহাসিক এই পৃথিবীতে একটি অত্যন্ত অত্যাধুনিক স্বর্ণযুগ সভ্যতার অস্তিত্ব গোপন করা। প্রশান্ত মহাসমুদ্রের উভয় পক্ষের দৃশ্যত একই স্বর্ণযুগ সভ্যতা হঠাৎ শেষ হয় কিন্তু পরে বিশ্বের প্রথম পরিচিত সভ্যতাগুলোর উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত হয়। দক্ষিণ-পূর্ব মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপর উদিত একটি অত্যন্ত উন্নত সভ্যতা প্রাচীন মায়ান; অন্য দিকে প্রাচীন বালিনীয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বালি দ্বীপে অবস্থিত হওয়ার পরেও রহস্যজনকভাবে অনুরূপ দুটি সমান্তরাল সংস্কৃতি।
সোপানযুক্ত পিরামিড
বালিনীয় (বামে) বেসাকিহ মাতার মন্দির এবং মায়ান (ডানে) হাই প্রিস্ট এর মন্দির বা অস্থি-আধার যাদের প্রতিটি ধাপে ধাপে বিন্যস্ত সিঁড়ির পাশ দিয়ে সজ্জিত রয়েছে পাখাত্তয়ালা ড্রাগন আর সাপের সঙ্গে। সিঁড়ির নীচে তাদের মুখ খোলা থাকে।
আর্চ স্থাপত্য
ভক্তিমূলক ভাররক্ষার্থ প্রাচীর গাত্রের প্রলংবিত অংশ যাদের উপরের অংশ ধাপে ধাপে বিন্যস্ত হলেও নিচের দিকটা সমান্তরাল ভাবে ব্রিজের মতো করে গঠিত।
মন্দিরের প্রবেশ মুখে ভয়ংকর শ্বর
রাগান্বিত পাথুরে মূর্তি জীবনের অনন্তকাল এবং ক্রমাগত পুনর্নবীকরণের একটি প্রতীক
আসিন্তিয়া ও উব্বাহ কাওয়াইলের আধ্যাত্মিক শক্তি অন্বেষণে প্রার্থনারত মূর্তি
বিভিন্ন ভয়ংকর প্রানী ও সাপের মুখোশ খোদিত প্রবেশদ্বার
যমজ হাতির শ্বর যা প্রকৃতি এবং মানুষের শক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে প্রকাশ করে
চাকানা প্রতীকসমূহ
চোখ ও কপালের মাঝে তৃতীয় চোখ
ট্রিপ্টিক
Hyperdiffusionism - the theory that all cultures originated from one [Golden Age] culture. Hyperdiffusionists deny that parallel evolution or independent invention took place to any great extent throughout history, they claim that all cultures can be traced back to a single culture.
— Wikipedia
প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা পৃথককৃত এই দুটি প্রাচীন সভ্যতা যেন পাজল খেলার মতই; হারিয়ে যাওয়া অংশগুলোকে জোড়া লাগাতে পারলেই এই যমজ সভ্যতা দুটির পূর্বপুরুষগণকে সাধারনভাবে একত্রে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এদেরকে যদি আমরা শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার আলোকেই বিচার করি তাহলে আমাদের অজ্ঞাতেই রহস্য হয়ে রয়ে যাবে চিরকালের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৪১