কেন পিরিতি বারাইলারে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি।
না না।কোন মেয়েকে উদ্দেশ্য করে গান গাওয়া নয়।বিদ্যুৎ চলে গেল তাই তাকে উদ্দেশ্য করে এই গান।
বা ধরুন-
যেটুকু সময় তুমি থাক পাশে(আহা)
মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে(জীবনটা বাচাইলা,শীগগির ৩ প্যাকেট দাও)
বাকিটা সময় যেন মরন আমার(সত্য কইলাম)
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আধার।(পুরা খাপে খাপ ময়নার বাপ)
বিরহের গান এখন লোডশেডিঙের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।আসিফের "ও প্রিয়া তুমি কোথায়" কোন মেয়েকে উদ্দেশ্য না করে যদি ইলেক্ট্রিসিটি কে উদ্দেশ্য করে গাওয়া হয়,তাহলে যেন গান গাওয়াটা স্বার্থক।
সবাই লোডশেডিং নিয়ে শুধু খারাপ খারাপ কথা বলে আর সরকার কে দুষে।ব্যাপারটা একদমি ঠিক না।
খুব খ্রাফ খুব খ্রাফ।
মানুষ হিসেবে বর (লজ্জার ইমো কয়দিন ধইরা খালি বিয়া কর্তে মুঞ্চায়) ধুর্বাল বড় হতে হলে মনকে বড় করুন,পজিটিভলী চিন্তা করুন।
ঝড় বৃষ্টির রাত।বন্ধুরা মিলে মোমের আলোয় কার্ড খেলে বাইরে বেরোনোর পর সিগারেটের তৃষ্ণা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল।একলোক সিগারেট টানতে টানতে যাচ্ছে দেখে পিছন থেকে ডেকে আগুন চাইলাম।জ্বালানোর সময় আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে সামনে মিথুনের (বন্ধু )বাবার চকচকা চান্দিটায় চোখ পড়ল।দৌড় দিব না দাঁড়িয়ে থাকব??সে যাই হোক।বড় কথা হচ্ছে তখন লোডশেডিং হওয়ায় বেঁচে গেসি।নয়ত ইজ্জতের টায়ার পাংচার আর বিচার কুরিয়ার সার্ভিসে করে বাসায়।
ছোটবেলায় লোডশেডিং ছিল আশীর্বাদের মতন।পড়তে বসে চিন্তা থাকত কখন লোডশেডিং শুরু হবে।কারেন্ট যাওয়ার সাথে সাথে শুরু হত পলান্তিস বা টিল-এস্প্রেস খেলা।
আহারে সে কি মধুর দিন।
হাসি-খুশি দুই বোন।হাসির বিয়ের রাতে দুষ্টামি করার জন্য বোন খুশি বাসর ঘরে বসে আছে।জামাই ঘরে ঢোকার সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে গেল।খাটের উপর যে বসে ছিল তাকেই জড়িয়ে ধরল(২৫-৩০ ধরে উপস,পাইছে আর দেরি করে নাই,চিন্তা করসে হয়ত বাকির নাম ফাঁকি)।অবস্থা বেগতিক দেখে সেই শালি বলেই ফেলল-“দুলাভাই আমি খুশি”দুলা ভাইয়ের উত্তর “তুমি খুশি তো আমিও খুশি”ব্লগিয় পরিভাষায় যদিও এই দুলাভাইয়ের নাম “লুল দুলাভাই" কিন্তু মজা যা নেয়ার তা নিয়ে নিয়েছে।কেনোনা--- শালী নামটা গালি কিন্তু সম্পর্ক টা মনেহয় মধুর।অনেকে শ্যালী ছাড়া নাকি বিয়েও করেনা ।এলাকার যে সব বড়ভাইয়েরা বিয়ে করেছে তাদের বউ এর সাথে ইতরামি-ফাইজলামি করলেও শালীদের সাথে কথা বলতে দেয়না।কি কারন আল্লাহ ই জানে??
তো সেই লুলভাই সরি দুলা ভাইয়ের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে চিন্তা করেন।যার জন্য তার মন করে আনচান সেই শালিকেই লোডশেডিং কারনে কাছে পেল।
লোডশেডিং চলাকালে দুইজনের কথোপকথন----
১ম ব্যাক্তিঃগত বছর যে মারা গেল,সেইটা কি তুমি ছিলা নাকি তোমার ভাই ছিল
২য় ব্যাক্তিঃজি আমি ছিলাম।
১ম ব্যাক্তিঃও আচ্ছা,আমি মনে করেছিলাম তোমার ভাই ছিল।
২য় ব্যাক্তিঃজ্বী না আমি ছিলাম।
বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকার থাকার কারনে চিনতে না পেরে তাদের এই আলাপ চারিতা। এইযে দুজনের মাঝে কথাবার্তা,এতে করে আমাদের সমাজের ক্ষয়হতে থাকা ভ্রাতৃত্ব বন্ধন কে আরও জোরালো করে।থিঙ্ক পজিটিভ ম্যান।
বাবা মা দুজনেই ফর্সা।কিন্তু ছেলের গায়ের রং কালো।ছেলে একটু বড় হয়ে যখন বুঝতে শিখেছে তখন জিজ্ঞেস করল তার গায়ের রং কেন কালো??
উত্তর পেল যখন তোমার জন্ম হয় তখন লোডশেডিং চলছিল। চারিদিক ছিল অন্ধকার। এ কারনেই গায়ের রং একটু কালো হয়েছে।
কত পাশবিক ভাবে আমরা নিজেদের দোষ লোডশেডিং এর উপর চাপিয়ে দেই।কিন্তু তারপর ও লোডশেডিং আমাদের ছেড়ে যায়না।
আহারে বাবা লোড শেডিং।কিছু মনে করিস না।
এবার আমার একান্তই নিজস্ব পজিটিভ চিন্তাভাবনা।আশাকরি আমার সাথে আপনিও সহমত হবেন।
যেসকল মানুষ বিমানে করে বাংলাদেশ এর উপর দিয়ে যাবে বা যারা মহাকাশে আছে তারা বাংলাদেশ কে এখন ১টা বিয়া বাড়ী মনে করবে।কারেন্ট একজায়গায় যায় তো আরেক জায়গায় আসে।পুরাই বিয়া বাড়ীর লাইটিং এর মত.........এই জ্বলে,এই নিভে।আবার জ্বলে আবার নিভে।এবং তারা মনে মনে বলবে,আহারে কতো সুখী জাতি।!!এক বাসায় বিয়ে কিন্তু সারা দেশ এই বিয়ের সাথে সম্পৃক্ত।!!!!!
কি বুঝলেন??
ওহো ভালো কথা আমার রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ তাই যে আমি পজেটিভ চিন্তা করছি তা কিন্তু না।যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং কে পজিটিভলী দেখছেন তখন আমাদের ও উচিৎ তার ধ্যান ধারনার সাথে আমাদের একাত্মতা ঘোষণা করা।ভোট দেয়ার সময় তাকে ভোট দিব কিন্তু তার কর্মকাণ্ড কথাবার্তা কে সমর্থন করব না সেটা ঠিক না।