কোন বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের সাথে পরিচিত হতে গিয়ে যদি প্রথম দেখাতেই বলি তুমি না দেখতে ঠিক আমাদের এলাকার ইমাম সাহেবের মত;তখন অনেকেই মনে করবে আমি কিঞ্চিৎ ফাজিল আর বিরাট বদ।কিন্তু কেন এমন করলাম সেটাও অবশ্যই জানা উচিৎ -----
ফ্রেন্ডের নতুন এক মেয়ের সাথে ভাব হইছে।তারপর থেকে ও পুরাই চেঞ্জ!!!আজব ব্যাপার স্যাপার।ওর দেখাই পাওয়া যায় না।ঘটনা জানতে গিয়ে জানতে পারলাম ওর নতুন জিএফ নাকি ওরে অনেক প্রেসারে রাখছে।


-তাই নাকি?? কার মত??
-আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের মত।বিশ্বাস কর অবিকল দেখতে তোমার মত।শুধু তোমার দাড়ি নাই ওনার আছে।তুমি দাড়ি রাখলে একদম জমজ ভাইয়ের মত লাগবে।
এই ঘটনার পর সে বন্ধুকে জানিয়ে দেয় তার সাথে রিলেশন কন্টিনিউ করা সম্ভব না।

আহারে বেচারা......আমার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গার কারনে ওর প্রেম টাই মাটি হয়ে গেল।

এবারে ধৈর্য ভাঙ্গার একটি করুন কাহিনী----
গ্রামে আমাদের বাসার পাশের বাসার এক বড় ভাই ঈদের ছুটি তে বাড়ি আসল সাথে বিয়ে করে নিয়ে।উল্লেখ্য সে ব্যাবসার কাজে বেশির ভাগ সমইয় ই বাড়ীর বাইরে অবস্থান করে।যাই হোক বাড়ীতে নতুন বউ সাজ সাজ রব।সবাই বৌয়ের সাথে কথা বলে কিন্তু বউ কারো সাথে কথা বলেনা!!!কিছু জিজ্ঞেস করলে মুচকি একটা হাসি দেয়,ব্যাস ঐ পর্যন্তই।আমরা পুরাই অবাক!!মেয়েকি কথা বলতে পারে না?
ঘটনা পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমি আর আমার কাজিন রাতে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।(না,খারাপ কোন উদ্দেশ্য ছিলনা)।সারাদিন ধৈর্য ধরার পরে সেই ভাবীটি আর ধৈর্য ধরতে পারল না।ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে ভাইয়ের উদ্দেশ্যে তার প্রথম কথা—
আন্নে আঁরে হারা দিন ছুপ করি থাকতে কইছেন কিল্লাই??

আহারে বেচারি।ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গেই ফেলল।

একদিন ফোন করে সোহেল(এলাকার ছোট ভাই-বন্ধুর মত)বলল,ভাই তানিয়াকে(জিএফ-যে আমাদের উপরের তালায় থাকে)দেখতে পাত্র আসছে।
-আয়হায়!!কস কি?
-হ ভাই,ও পরীক্ষা দিতে সিলেট গেছিল,ট্রেনে দেখে নাকি ওকে পছন্দ করছে।এখন ঐ ছেলে নিজে আসছে ওর আম্মুর সাথে দেখা করতে।
-ক্যম্নে কি??
-ভাই যেমনে পারেন কিছু একটা করেন।ঐ শালারে ঘাড় ধরে বের করে দেন।
-আরে এইটা কি সম্ভব নাকি??দেখি কি করা যায়।
কি করা যায় চিন্তা করতে করতে উপরে উঠলাম।তানিয়াদের ঘরের বাইরে দেখলাম এক জোড়া শু চকচক করছে।মাথায় কি এল পানি এনে সুন্দর করে পানি ঢেলে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে দিয়ে চলে এলাম।নিচে এসে দাঁড়িয়ে আছি।ঘণ্টা খানেক পর ঐ লোককে দেখলাম নামতে।বেচারা পা ঝাকি দিচ্ছে আর হাঁটছে।সামনে আসতেই সুন্দর করে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম “ভালো আছেন”।চোখে মুখে স্পষ্ট বিরক্তি।
তবে আশার কথা এই ঘটনার পর থেকে নাকি ঐ লোক আর ধৈর্য ধরেনি এবং কখনো বিয়ের কথা বলতে আসে নাই।


একটি জোকস---
এক বাসায় মেহমান আসলে মা তার ছেলে কে ৩০০ টাকা দিয়ে বাজারে পাঠালেন মুরগী কিনে আনার জন্য।ছেলে টা খুবি ভদ্র(যখন দোষত্রুটি বাদ দিয়ে তার চরিত্র বিশ্লেষণ করতে হয়)।তো সেই ছেলে স্বভাব মত রাস্তায় জুয়া খেলতে বসে যায় এবং ২০০ টাকা হেরে যায়।১০০ টাকা দিয়ে একটি মুরগী কিনে ছেলে যায় তার খালার বাসায় টাকার জন্য।গিয়ে দেখে খালা তার অরেক জনের সাথে ইটিশ-পিটিশ এ ব্যাস্ত।অন্ধকার ঘরে ছেলে দৌড়ে গিয়ে ঢুকে খাটের নিচে।এমন সময় তার খালুর আগমন বার্তা পেয়ে ঐ লোক ও খাটের নিচে আসে।ছেলে মনে মনে ভাবে এই সুযোগ।লোকটাকে তখন ফিসফিস করে বলে আপনি আমার এই মুরগী কিনেন নয়ত খালু কে বলে দিব।বাধ্য হয়েই সেই লোক মুরগী কিনে তখন আবার বলে আমার মুরগী ফিরত দেন নয়ত বলে দিব।মাইঙ্কার চিপায় পড়লে যা হয়!!! লোকটি ফেরত দেয়।এভাবে তিন বার মুরগী বিক্রি করে যাওয়ার সময় ছেলেটি মুরগী সাথে করে নিয়ে চলে যায়।বাসায় ফিরে দেখে মেহমান ততক্ষনে চলে গেছে।ছেলের মা বলে এতক্ষনে ফিরার সময় হল।যা মুরগী ফিরত দিয়ে আয়।কিন্তু মুরগীওয়ালা তো ফিরত নিবে না।যখন ওর আব্বা অফিস থেকে বাসায় ফেরে তখন বলে আব্বা আমার মুরগী টা কিনো।ওর আব্বা বলে—হারামজাদা এক মুরগী আমার কাছে তিনবার বেচ্ছস আর কত বেচবি??


তবে যাই হোক----
সবাই ধৈর্য ধরুন।ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়।

এখানে ধৈর্য ভাঙ্গার প্রথম পার্ট।পড়ে দেখতে পারেন।খারাপ লাগবেনা আশা করি।