প্রচুর মাথা ব্যথা নিয়ে বসে আছি। পাশে চায়ের কাপ। সামনে 'মোহিত কামাল' স্যারের একটা বই। খুব চেষ্টা করছি পড়াটায় মন বসাতে। একটা আর্টিকেল এর রেফারেন্স হিসেবে পড়তে হচ্ছে। চায়ের কাপে চুমুক দিব কি মাথা নিয়েই বিরক্ত। ভাবলাম বেসিনে গিয়ে চোখে-মুখে পানি দেই এই ভেবে উঠে গেলাম।
পানি ঝাপটা দিয়েছি মাত্র ঐ সময় ডোর-বেল বেজে উঠল। রাত প্রায় ১২:৪০ । এই সময় তো কারো আসার কথা না। পিপ হোলে চোখ লাগিয়ে দেখি আমার বন্ধু 'মিজান'। আমি ভাবলাম কোন বিপদ নয় তো ! দরজা খুললাম। বাইরে বৃষ্টি হওয়ায় ভিজে একাকার। ভেতোরে নিয়ে এলাম ওকে।বললাম কী রে! এত রাতে? ও বল্ল আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা কর দোস্ত। আমি বললাম আগে ভেতোরে আয়। বলে একটা গামছা দিলাম ভেজা মাথা মোছার জন্য। ওকে বসতে বলে আমি ভেতোরে গেলাম।
কিচেনে চা এর পানি ফ্লাস্কে ছিল। দুটো মগে গরম পানি আর চিনি ঢেলে টি-ব্যাগ খুজছি। অনেক খোজা র পর পেলাম। ধোঁয়া ওঠা গরম পানিতে টি-ব্যাগ দিয়েছি। চা রং ছাড়তে শুরু করেছে সবে মাত্র। এই ফাকে মিজানের জন্য বিস্কিট দেব ভেবে বয়াম খুলেছে মাত্র ... ফোন টা বেজে উঠল। ফোনটা আমার স্টাডি টেবিলেই ছিল। কিচেন থেকে স্টাডি রুমে আসলাম। মিজান কে ঘরে দেখলাম না। ভাবলাম ওয়াশ-রুমে গেছে। ওয়াশ-রুমে র দরজাও ভেতোর থেকে বন্ধ।
সিয়ামের কল। পিক করলাম।সিয়াম যা বল্ল তাতে আমার মেরুদন্ড দিয়ে শীতল স্রোত না কী যেন বলে ওটা বয়ে গেল।
সিয়ামের কথা গুলো ছিল: " দোস্ত, একটা খারাপ খবর আছে , মিজান রাত ১০ টার দিকে খুন হয়েছে, লাশ এখনও হাসপাতালে, পারলে এখনি চলে আয়।"