ট্রানজিট কে ভেবেছিলাম আমাদের স্পেডের টিক্কা। পরে শুনলাম এ টিক্কা নাকি পাসিং ব্রে খেলার মত খেলার শুরুতেই পাস করে দিয়েছি আমরা (নাকি আমাদের নেতা?) বহু চড়াই উত্তরায় পার হইয়া আমরা ট্রানজিট দিলাম, তেজি তাজের ভাষায়, ট্রানজিট দিবার জন্য ৪০ বছর অপেক্ষা করেছি আর নয়।
বা: বা: নেতায়া কইছে তাহলে তো খুব ভালা হইব !!!
ট্রানজিট দিলে আমাগো দ্যাশ সিংগাপুর হইয়া যাইব, ভারত আমাগো বুকের উপর দিয়া যাইব আর টাকা ছিটাইতে ছিটাইতে যাইব। আমাগো কাংগাল বাংলাদেশী বড় লোক হইয়া যাইব।
পরে শুনলাম ভারত ট্রানজিটে টেকা দিব না, আমাগো চাওয়াও নাকি অসভ্যতা। তাতো ঠিক, তাতো ঠিক, আমরা হইলাম গিয়া বংশীয় ঘর আমরা অসভ্যতা করবার পারি? দিলাম হালার ট্রানজিট, টেকা নিমু না। তয় মাল ছামানা আমরা পৌছাইয়া দিমু ভারতে। ইবার আমরা হব মুটে। মুটেগিরি কইরা আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হইব (আমরা যে আবাল জাতি আবারও প্রমান করলাম)।
সব ঠিক, আমরা ট্রানজিট দিমু তয় তিস্তার পানির একখান ভাগাভাগি চুক্তি করবার চাই (আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী এটা ভারতের দয়া নয়, আমাদের প্রাপ্য)। যথারীতি সময় আইল, আমাগো দিদি বাইকা বসলো, তখনই আমাগো নীতি নির্ধারকেরা কইলেন যে তাইলে ট্রানজিটও হইব না। আহা গর্বে বুক ১০ ইঞ্চি ফুইলা উঠলো। তয় কয়দিন পর হুনলাম ইন্ডিয়ান পণ্য আইব নৌ প্রটোকল অনুযায়ী, তয় পরীক্ষামুলক।
পরথম চালান মাল আইল নৌকায় আশুগঞ্জ বন্দরে, দ্বিতীয় চালানও আইল তয় নিয়মিত ট্রানজিটের আওতায়। আমরা মুটের কাজ করলাম, মাল দিয়া আইলাম ভারতে আখাউড়া হইয়া।
এখন আবার শুনি অন্য কথা। আমরা আর মুটেগিরি করবার পারব না। আখাউড়ার শুল্ক কর্মকর্তা সুবাশচন্দ্র কুন্ডু কইলেন ভরতীয় ট্রাক আইয়া তাগো মাল নিয়া যাইব (এটা কি নৌ প্রটোকলে পড়ে?)
সংবাদটি গতকালের প্রথম আলোর ৩য় পৃষ্ঠার ৮ম কলামে আছে, আশ্চর্যের বিষয় অনলাইন ভার্সনে খবরটি গায়েব????
কি হচ্ছে তাহলে?
কুতায় আমাগো রিজভি সাব? কুতায় সেই সব দালালেরা যারা কইছে হ্যান হইব, ত্যান হইব?