somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেন্টমার্টিন যাবার ক্ষেত্রে আপনি কোন Series এ আছেন ? Windows নাকি Linux !

১১ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেন্টমার্টিন যাবার ক্ষেত্রে আপনি কোন Series এ আছেন ? Windows নাকি Linux !
আগে আপনার Series ঠিক করুন । তার পর মন চাইলে পড়ুন না চাইলে বাদ দেন ।
Linux Series
* ভবঘুরে,
* জীবন থকে যাদের কিছু পাবার ইচ্ছা নেই
* বিলাসিতা কম
* এডবেঞ্জার প্রিয়
* গৃহহারা রাস্তার ছাওয়াল
* পাগলী [নতুন সংযোজন]

Windows Series
* মহিলা ও শিশু,
* পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি,
* জীবনের প্রতি প্রচণ্ড মায়া
* অনেক ভীতি
* সময় সচেতন

Series ঠিক হয়ে গেলে পড়তে থাকুন । Linux এর টা ভালো করে পড়ুন । আমি মনে হয় Linux এর জন্য ভালো গাইডলাইন দিতে পারব । তারপর ও পোস্টের পূর্ণতার স্বার্থে Windows এর জন্য কিছু বলা । বিরক্ত হবেন না ।
আমাদের ভ্রমণ টা কিন্তু সেন্টমার্টিন এ । এবং আমরা নিচের ছবির অপশন গুলো ঘুরে দেখব । নিচে চিত্র সহ বর্ননা আছে ।


ধরে নিলাম ঢাকা থেকেই যাবো...............

Windows Series
----------------------
আপনাদের জন্য যা বলা তা সবাই জানে ।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটের বাসে উঠবেন । তবে অবশ্যই কক্স বাজার পর্যন্ত টিকেট করবেন । ভুল করে যেন চট্টগ্রামের টিকেট করে বসবেন না ।
কখন উঠবেন: যেহেতু আপনার Windows Series এর লোক তাই অবশ্যই সন্ধ্যা ৮ টা থেকে রাত ১২ টার মধ্যে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করবেন । ঢাকা থেকে কক্সবাজার ১১থেকে১২ ঘণ্টার পথ তাই আপনারা পরের দিন সকাল ৮টা থেকে ১ টার মধ্যে কক্সবাজার পোঁছে যাবেন ।
টিকেট:
নন-এসিঃ ৩৫০/- ৪৫০/- টাকা পর্যন্ত ।
এসিঃ ৮৫০/- থেকে ১৪০০/-
অবশ্যই ঢাকা থেকে কক্সবাজারে একদিনের জন্য হোটেল বুক করে যাবেন । তার পর কক্সবাজারে যে কোন Tourism এ আলাপ করে সেন্টমার্টিন আসা যাওয়ার দায়িত্ব তাদের উপর ছেড়ে দেন । প্যাকেজ মূল্য জন প্রতি ১২০০/ টাকা থেকে শুরু করে আপনাদের থাকা ও খাওয়া উপর নির্ভর করে আস্তে আস্তে বাড়বে । বুজতেই পারতেছেন টাকা একটু বেশি যাবে এই । কি আর করবেন Windows Series তো ।
তাদের সাথে চুক্তি হয়ে গেলে আপনাদের কাজ শেষ । তবে তাদের সময় টার প্রতি খেয়াল রাখবেন ।
প্যাকেজ শেষ করে যেভাবে ঢাকা থেকে কক্সবাজার গেছেন সে ভাবেই আবার কক্সবাজার থেকে ঢাকা চলে আসবেন ।
সর্তকীকরন: আপনাদের অনেকেই ঢাকা থেকেই Tourism এর প্যাকেজ নেন । তা করবেন না । আবার অনেকে ঢাকা - সেন্টমার্টিন সরাসরি বাস সার্ভিসে আসেন । তা ও করবেন না ।
-----------------------------------------------------------------------
Linux Series:
------------------
Linux Series যারা আছেন তাদের জন্য নি সন্ধেহে একটা ভালো গাইডলাইন
প্রথম ২৪ ঘণ্টা:
ঢাকা - চট্টগ্রাম ( ট্রেন )
চট্টগ্রাম - কক্সবাজার ( মিনিবাস )
কক্সবাজার - টেকনাফ ( মিনিবাস )
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা:
টেকনাফ - সেন্টমার্টিন ( নৌকা )
*1, *2, *3 ও *4 নাম্বার অপশন দেখা ।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা:
*6, *7, *8, *9, *10 ও *11 নাম্বার অপশন দেখা ।
শেষ ২৪ ঘণ্টা: ( ফিরে আসা )
সেন্টমার্টিন - শাহপুরীর দ্বীপ ( নৌকা )
শাহপুরীর - টেকনাফ ( জিপ )
টেকনাফ - কক্সবাজার ( বাস )
কক্সবাজার - ঢাকা ( বাস )

প্রথম ২৪ ঘণ্টা:
আপনার ঢাকা - চট্টগ্রাম ট্রেনে যাবেন । একটা অতীব স্বাভাবিক বিষয় এই যে আগে থেকে টিকেট না করলে টিকেট পাবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । তবে টিকেট পান আর না পান স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়ে যেতে পারবেন, Linux Series এর পাবলিকদের টিকেট না ফেলে সমস্যা হবার কথা না ।
ঢাকার থেকে চট্টগ্রামের লোকাল ট্রেন কমলাপুর থেকে রাত ১০ টায় ছেড়ে ট্রেন চট্টগ্রামে পৌছবে সকাল ৮ টার দিকে এবং তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌছবে সকাল ৭ টার দিকে ।
টিকেট খরচ:
লোকালঃ ৬৭ টাকা
তূর্ণা এক্সপ্রেস: ১৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত ।

চট্টগ্রামে সকালে ট্রেন থেকে নেমে নাস্তা খাবার পর বাস স্টেশন এ যাবেন । সকাল ৯ টার দিকে একমাত্র সৌদিয়া মিনি বাসে উঠলে আপনি কক্সবাজারে যেতে পারবেন বেলা ১২ টার দিকে । মনে রাখবেন চট্টগ্রামে-কক্সবাজার রুটে একমাত্র সৌদিয়া মিনি বাস টাই ভালো । অন্য মিনি বাস গুলোতে ১ ঘণ্টা বেশি সময়ই লাগে ।
ভাড়া:
সৌদিয়া ১৬০ টাকা।
অন্য পরিবহন গুলো ১২০/- ১৩০/- টাকা দিয়ে আপনাকে নিতে চাইবে । কিন্তু ভুল করবেন না ।
দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারে পৌঁছার পর রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাওয়া খেয়ে নিবেন । বাজারের ভেতরের হোটেল গুলোতে কম দামে ভালো করে খেয়ে নিবেন ।
Linux Series এর জন্য কম দামে ভালো হোটেল এর মধ্যে একটি হল নিরব হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ।
যেহেতু আপনারা Linux এর পাবলিক আপনাদের কক্সবাজারে হোটেল বুক দেবার দরকার নেই।
খাওয়া শেষ করে কোন চায়ের দোকানে বসে ৩ টা পর্যন্ত সময় কাটান । ঠিক ৩ টার পরে একটু ঝাউ বনে যান। ঝাউ বনে খুব নতুন একটা ভাব থেকে এই পড়ন্ত বিকেলের ঠিক আগ মুহূর্তে ।
নিচে আমার তোলা ছবি টা দেখেনঃ


সূর্য আস্ত গেলে সাথে সাথে সৈকত থেকে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এ চলে আসুন । একটুও দেরি করবেন না । এখান থেকে নাফ পরিবহনে করে টেকনাফ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । এখানে ও অবশ্যই নাফ পরিবহনে উঠবেন । ভাড়া ৮০ টাকা জন প্রতি । ২ ঘণ্টার মধ্যে টেকনাফ বাজারে চলে আসতে পারবেন । টেকনাফ বাজারের নিচের সীমানার মধ্যে থাকবেন ।

1 হল টেকনাফ বাজারের চৌরাস্তা
2 হল টেকনাফ স্টিমার ঘাট (এখান থেকেই নৌকায় উঠবেন)
এখানে এসে খুব সস্তায় ৩০০/- থেকে ৪০০/- টাকার মধ্যে ৪-৫ জন থাকার মতো রুম পেয়ে যাবেন । ফ্রেশ হয়ে বাজারে এসে খাওয়া শেষ করে হাল্কা ঘুরে দেখুন । রাতে ভালো করে একটা ঘুম দেন ।

চোখ কান খোলা থাকলে নিচের ছবিটার মতো সন্ধেহভাজন জঙ্গিও দেখতে পাবেন


পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা:
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে ৯ টার দিকে আস্তে আস্তে ঘাট(টেকনাফ স্টিমার ঘাট) এ যাবেন । মনে রাখবেন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের পর এখান থেকে কোন নৌকা ছাড়ে না ।
টেকনাফ স্টিমার ঘাট ও নৌকার কয়েকটি ছবি দেখেন



এই ছবি গুলো ৩ নং সিগন্যাল এর মধ্যে তোলা । স্বাভাবিক ভাবে এতো ঢেউ থাকে না ।
স্টিমার ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন এর জন্য ১০০/- থেকে ১২০/- টাকা করে টিকেট করুন । এবং নৌকায় উঠে পড়ুন । আবহাওয়া সিগন্যাল থাকলে নৌকার ক্যাপটেইন কে বলে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে নিবেন । নৌকায় উঠার আগে অবশ্যই খাবার পানি সাথে নিবেন । এবং একজোড়া বার্মিজ জুতা কিনে নিবেন ।
৩-৪ টা সিগন্যাল এর মধ্যে ও নৌকায় করে যাওয়া যায় ।
উল্লেখ্য আমি ৪ এবং ৫ নম্বর সিগন্যাল এর মধ্যে ও নৌকায় করে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে গেছি ।

আপনারা ১ টা থেকে ২ টার মধ্যে সেন্টমার্টিনে পোঁছে যাবেন ।


সেখানে পোঁছার পর একটা হোটেল রুম ভাড়া নিবেন । এখানেও ৩০০/- থেকে ৫০০/- টাকার মধ্যে আপনারা রুম পেয়ে যাবেন । তবে মাছ বাজারের মত দারাদরি করতে হবে । রুম ভাড়া নেয়ার সমই কতক্ষণ পর্যন্ত Generator Service দিবে তা ঠিক করে নিবেন । সাধারণত সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত Service দেওয়া হয় । তবে কথা না বললে হয়ত সুযোগ নিতে পারে ।
আর সেখানে যে কোন ধরনের সহায়তা জন্য নিচের লোকটি মানে সোনামিয়ার সাথে কথা বলতে পারেন । তিনি সেন্টমার্টিনের প্রথম দোকান সোনার তরীর মালিক । এবং তিনি হলেন সবচেয়ে বেশি পরিচিত ব্যাক্তি ।

সোনামিয়া এর সব কথা তার নিজের মুখে শুনে নিবেন । আমি শুধু বলতে পারি লোকটা ভালো । প্রয়োজনে মোবাইল চার্জ এ দিয়ে যেতে পারেন । Risk Free.

খাওয়া দাওয়া: যেহেতু আপনারা Linux এর এবং আপনারা থকবেন সেহেতু আপনার দুপুরের খাবার ৩ টার পরে খাবেন । সে ক্ষেত্রে আপনারা অদৃশ্যভাবে নূন্যতম ৩৫ % ডিসকাউন্ট পাবেন । কারণ এই সময়ে সেন্টমার্টিন এক দিনের Windows এর লোকেরা থাকে না । আর যারা থাকে তারা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত থাকে তাদের হিসেব না করাটাই ভালো । আর যদি সোনামিয়ার (সোনার তরী) হোটেল এ খান তাহলে চেষ্টা করলে ৫০ % ডিসকাউন্ট পাবেন ।
খাওয়া দাওয়ার পরে হোটেলে গিয়ে হাল্কা একটা ঘুম দেন । নিচের ছবিটা অনুসরণ করে ঘুরে দেখুন:

অপশন গুলো নিচে বর্ননা করা হল । এবং পত্যেকটি অপশন এর আগে * দেয়া আছে ।

* 1 সেন্টমার্টিন ঘাঁট বা বাজার (ছবি দিতে পারলাম না)

* 2 এ দিকটার জোয়ার এর সময় নামবেন । ১টী নীল তির চিহ্নিত এই রেঞ্জের মধ্যেই আপনি সাগরের নীল জল এর সৌন্দর্য অন্য যে কোন যায়গা থেকে বেশি উপভোগ করতে পারবেন । এই দিকটায় পাথরের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন, না হলে হাত পা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা ১০০% । জুতা পরে নামই ভালো ।
নীল জল দিগন্ত:



* 3 এর দিকটা আমার খুব ভালো লাগে। ছবিটা দেখুন আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।


* 4 রাত ১ টা থেকে যখন ভাটা শুরু হবে তখন এই (২ টি নীল তির চিহ্নিত অংশ) এ অনেকদূর পর্যন্ত যাওয়া যায় । তবে মাঝে মাঝে হালকা চোরা বালি আছে । জোয়ার আসার সময় সমান্তরাল পথে পিছনের দিকে মানে দ্বীপের ভূমির দিকে চলে আসবেন । মনে রাখবেন আপনারা সামনের দিকে হাঁটার জন্য যে পরিমাণ সময় পাবেন ফিরে আসার জন্য পাবেন তার ৩ ভাগের ১ ভাগ । কারণ ভাঁটার সময় পানি নামতে সময় নেয় ২ থেকে ৩ ঘন্টা । আর জোয়ারের সময় পানি প্রায় ৩০-৩৫ মিনিটের মধ্যে দ্বীপের কিনারায় চলে আসে । (ছবি দিতে পারলাম না)

*5 এই রেঞ্জের মাঝে ধানক্ষেত দেখতে পাবেন ।


*6 এই দিকটায় কয়েকটা আজব পাথর দেখতে পাবেন । যেমন, মানুষ পাথর । কোন একসময় নাকি এইখানে মানুষ থেকে পাথর হয়ে যায় । তবে এই দিকটা আউটলুক খুবই সুন্দর ।
মানুষ পাথর নামে পরিচিত পাথর:

মানুষ পাথরের কাছ থেকে এই দিকটার আউটলুক


*7 দ্বীপের এই ভাগটায় শুধু নারিকেল গাছ । এখানেই নারিকেল জিঞ্জিরা নামের সার্থকতা খুঁজে পাবেন ।


*8 ছেড়া দিয়া যাবার সময় খুব ছোট যায়গা, দ্বীপ বলা যায় না । এখানে ভাটার সময় পানি যখন হাঁটু পরিমাণ থাকে তখন ৫ - ৬ সেন্টিমিটারের জোঁক দেখতে পাবেন । এবং ভাটার পরে একসাথে কয়েকশো লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন ।


*9 হল ছেড়া দিয়া । ভাটার শেষের দিকে যখন পানির পরিমাণ কম থাকে তখন অনেক সুন্দর সুন্দর মাছ দেখতে পাবেন কিন্তু ধরতে পারবেন না । এই খানে একটা পাথর কে মৌসুমি পাথর বলা হয় কারন চিত্র নায়িকা মৌসুমি নাকি ওই পাথরের উপর কোন এক সময় অভিনয় করেছিলেন । এর ভিতরের দিকে তাকালে আপনার দুই এক সেকেন্ড এর জন্য সুন্দরবন মনে হতে পারে । ভিতরে মিঠা পানির জলাশয় আছে । পানি গুলো স্বচ্ছ হলেও বিষাক্ত । না নামাটাই ভালো ।


*10 এইখানে দেখতে পাবেন হাল্কা কিছু যাউ গাছ । সংখ্যায় কম তবে কক্সবাজারের যাউ বন এর চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর । (ছবি দিতে পারলাম না)

*11 এই দিকটা খুব সুন্দর । নিচের ছবিটা দেখলে কিছুটা বুজতে পারবেন ।

অবশ্যই দ্বীপের এই *11(লাল তির চিহ্নিত) সাইটে পানিতে নামবেন না । এই দিকে ঢাল নেই । অবশ্য কেউ যদি Suicide করতে চায় তা হলে ভিন্ন কথা। নিচের ছবিটা আবার দেখুন।


Tips: 1
*2 ও *3 নাম্বার অপশন এ আপনারা দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের পরে ঘুরতে যাবেন । তখন এখানে একদিনের প্যাকেজের Windows Series এর লোকজন থাকে না । অবশ্য কেউ যদি ললনা দেখতে চান তাহলে তার আগেই আসতে হবে । কারণ সেন্টমার্টিনে আপনি কোন মেয়েকে দেখতে পাবেন না । তাই আপনাকে Windows Series দেরই দেখতে হবে ।
Tips: 2
*4 নাম্বার অপশন দেখতে আপনারা রাত ১২ টার দিকে বের হবেন । যদি জোছনা থাকে তাহলে তো কোন কথাই নাই । দেখতে ভুলবেন না কিন্তু । উল্লেখ্য সেন্টমার্টিনে কোন ফটকা পাবলিক নাই । মানুষ দ্বারা সৃষ্ট কোন সমস্যায় পড়তে হবে না ।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা:
Tips: 3
*9 নাম্বার মানে ছেড়া দিয়া তে যেতে সকাল এ ঘুম থেকে উঠে ভালো করে খাওয়া দাওয়া করবেন না পারলে সাথে নিয়ে নিবেন । পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি নিবেন । সকালে আপনারা হাটা শুরু করলে ভাটার সময় সেন্টমার্টিনের এর শেষ প্রান্তে চলে যেতে পারবেন । ছেড়া দিয়া ঘুরে আসতে আপনাকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার হাঁটতে হবে । আপনারা যথাক্রমে *6, *7, *8, *9, *8, *10, *11 অপশন গুলো অনুসরণ করে হাঁটলে ভালো দেখতে পাবেন । ছেড়া দিয়া কিছুক্ষণ থাকার পর জোয়ার আসার সময় চলে আসবেন । যদি হেলাফেলা করে হাঁটেন তা হলে আসতে পারবেন না পরবর্তী ভাটা মানে রাত ১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ।
ছেড়া দিয়া থেকে *1 এ আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে । তারপর বাজার টা ঘুরে দেখুন । লোকাল লোকজনদের সাথে কথা বলুন ।

শেষ ২৪ ঘণ্টা:
সকালে ঘুম থেকে উঠে নৌকার সময় টা জেনে নেন । সাধারণত বিকেল তিনটার দিকে নৌকা গুলো ছাড়ে । নৌকায় উঠে আপনারা টেকনাফ না নেমে শাহপুরির দ্বীপ এ নামতে পারেন । শাহপুরির দ্বীপ হল দক্ষিণের স্থলভাগের শেষ সীমান্ত । দ্বীপ টা ঘুরে দেখুন । এইখানে চোরাবালি মারাত্মক । এইখান থেকে জিপ এ করে টেকনাফ চলে যান ভাড়া ২০ টাকা । টেকনাফ একদিন থেকে ঘুরে দেখতে পারেন আবার রাতের মধ্যেই কক্সবাজার চলে আসতে পারেন । কক্সবাজার থেকে সরাসরি ঢাকা চলে আসবেন । আসার সময় ভুল করেও চট্টগ্রাম হয়ে আসবেন না ।
---------------------------------
আমার তোলা কয়েকটা ছবি:
ছবিঃ ১ জীবন যে আমার কাছে খুব মুল্যবান তা কি জানেন ?


ছবিঃ ২ Camp Fire ও করতে পারেন ?


ছবিঃ ৩ সূর্য আস্ত (মেঘময় আকাশ)


ছবিঃ ৪ মানুষ পাথর


ছবিঃ ৫ আরেকটা পাথর


ছবিঃ ৬ একটা কাঁকড়া


ছবিঃ ৭ ছোট কাঁকড়ার বালুর নকশা


ছবিঃ ৮ ছেড়া দিয়ায় সুন্দরবন


ছবিঃ ৯ একমাত্র কূপ


ছবিঃ ১০ সেন্টমার্টিনে শাপলা ফুল


ছবিঃ ১১ মাছ


ছবিঃ ১২ শুঁটকি


ছবিঃ ১৩ ভাজা মাছ


আপডেটঃ আমার তোলা আরও কয়েকটি ছবিঃ
ছবিঃ ১৪


ছবিঃ ১৫


ছবিঃ ১৬


ছবিঃ ১৭


ছবিঃ ১৮


ছবিঃ ১৯


ছবিঃ ২০


ছবিঃ ২১


ছবিঃ ২২


ছবিঃ ২৩


ছবিঃ ২৪


ছবিঃ ২৫ এক মাত্র এই ছবিটি নাফ নদী থেকে তোলা:



আমার ছবি এখন ও দি নাই

ভালো থাকবেন ।
কে কোন Series আছেন তা জানাইলে ধইন্যাপাতা দিতাম ।
Linux এর পাপীরা হাল্কা আওয়াজ দিয়েন !
------------------------------------------
------------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪৮
৯৪টি মন্তব্য ৮৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×