শেখ হাসিনার আমলনামা:
১. নিজের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার বন্দোবস্ত করেছেন। তিন তিনটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করেছেন জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।
২. গু*ম, খু*ন, ত্রা*সের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
৩. দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে রেখে গেছেন:
৩. ক) সংসদ ধ্বংস করেছেন।
৩. খ) নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছেন।
৩. গ) বিচারালয় ধ্বংস করেছেন।
৩. ঘ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধ্বংস করেছেন।
৩. ঙ) মিডিয়া ধ্বংস করেছেন।
৩. চ) শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।
৩. ছ) রাজনৈতিক দল ধ্বংস করেছেন।
৪. সরকারের সকল অঙ্গ দলীয়করণ করেছেন:
৪. ক) প্রশাসন দলীয়করণ করেছেন।
৪. খ) পুলিশ দলীয়করণ করেছেন।
৪. গ) আধাসরকারী বাহিনী দলীয়করণ করেছেন।
৪. ঘ) সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করেছেন।
৫. আনুগত্যকে দক্ষতার ওপরে স্থান দিয়ে রাষ্ট্রের সর্বত্র নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন।
৬. রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন:
৬. ক) মেগা প্রকল্পে মেগা লুটপাট চালিয়েছেন।
৬. খ) সরকারের ঋণ ২০ লক্ষ কোটি টাকা পেরিয়েছে।
৬. গ) বিদ্যুৎ খাতে অকল্পনীয় লুটপাট চালিয়েছেন। কুইক রেন্টাল, ক্যাপাসিটি চার্জ, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদির মাধ্যমে রাষ্ট্রের অকল্পনীয় ক্ষতি সাধন করেছেন।
৬. ঘ) পিডিবির বকেয়া ৩০ হাজার কোটি টাকা, আদানি গ্রুপের বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার। জনগণ বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করেছে, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে পাওনাদারদের পাওনা মেটানো হয়নি।
৬. ঙ) আদানি গ্রুপের সাথে অনৈতিক-অসম-অযৌক্তিক চুক্তি করে দীর্ঘমেয়াদে দেশের ক্ষতি করে গেছেন।
৬. চ) দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ রেখে এলএনজি আমদানি করে দেশের লাখ কোটি টাকা অপচয় করেছেন, বিদেশি গ্যাসের ওপর দেশের নির্ভরতা বাড়িয়েছেন।
৬. ছ) তেলের দাম বাড়িয়ে রেখে রাষ্ট্রীয় কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসা করেছেন। তেল কোম্পানিগুলোর কাছে এখনো বিদেশী কোম্পানি অনেক টাকা পায়। জনগণ নগদ অর্থ দিয়ে তেল কিনেছে, কিন্তু বিদেশি কোম্পানির পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।
৬. জ) দেশের ব্যাংক খাত লুটপাট করেছেন। কমপক্ষে দশটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্তরা। বলার অপেক্ষা রাখেনা, এই অর্থের সিংহভাগই পেয়েছেন শেখ হাসিনা কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
৬. ঝ) দেশের শেয়ারবাজার লুটপাট করেছে শেখ হাসিনার লোকজন। একবার নয়, বারবার নি:স্ব হয়েছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা।
৭. সর্বত্র দলীয়করণ করে আওয়ামী লীগের লোকেদের মর্জিমাফিক দেশের লোকের ভাগ্য নির্ধারণ করার বন্দোবস্ত করেছেন:
৭. ক) দেশের সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক আওয়ামী লীগের লোকজন। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলে দেশ বিদ্যুৎবিহীন থাকবে।
৭. খ) দেশের সব ব্যবসা আওয়ামী লীগের লোকজনের হাতে। তারা ইচ্ছেমতো জনগণকে শোষণ করছেন।
৭. গ) আওয়ামী লীগের লোকজন ইচ্ছেমতো লুটপাট করে দেশের বারোটা বাজিয়েছে৷ আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন।
৮. নিজের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ভাড়তের সব আবদার মিটিয়েছেন দেশের স্বার্থ ধ্বংস করে:
৮. ক) ভাড়তকে করিডর দিয়েছেন।
৮. খ) ভাড়তকে বন্দর দিয়েছেন।
৮. গ) ভাড়তীয় র এবং ভাড়তীয় হাইকমিশনের লোকদের এদেশকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দিয়েছেন।
৮. ঘ) ভাড়তের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এদেশের ভেতরে ভাড়তের স্বার্থে রাস্তা নির্মাণ করেছেন।
৮. ঙ) নতজানু পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে এদেশে ভাড়তীয়দের একচেটিয়া সুবিধা দিয়েছেন।
৯. মন্ত্রীপরিষদে, মন্ত্রনালয়ে, দেশের সব পর্যায়ে অযোগ্য মোসাহেবদের বসিয়ে দেশের বারোটা বাজিয়েছেন।
১০. এস আলম, সামিট গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ- এরকম কিছু লুটেরার কাছে দেশ বর্গা দিয়েছেন।
১১. প্রায় কুড়ি লক্ষ রো*হি*ঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছেন আমাদের ঘাড়ের উপরে।
১১. জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে খু*ন করেছেন আমাদের সন্তানদের।
এই তালিকা সহজে শেষ হবেনা।
'১৮ লাখ লোককে সুবিধা দাও, ১৮ কোটি মানুষকে চুষে খাও'- এই ম্যাজিক ফর্মুলার মাধ্যমে জনগণের রক্ত-মাংস চুষে খেয়েছেন।
শেখ হাসিনার জিঘাংসার ফল এদেশের মানুষ ভোগ করেছে বিগত ১৬ বছর। এই অরাজকতার রেশ শেষ হবেনা আগামী ১৬ বছরেও।
খু*নী হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন আর সব অপকর্ম আপনারা ছয় মাস না যেতেই ভুলে যাচ্ছেন?
এত কিছুর পরও যদি আপনার মনে হয় আগেই ভাল ছিলাম, যদি মনে হয় খুনি হাসুর কাছেই দেশ নিরাপদ, ছাত্ররা ভুল করেছে তাহলে বলব ভাই আপনি আর মানুষের কাতারে পড়েন না, আপনি পুরাই আম্লিক ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭