মা-বাবা চেয়েছিল আমাকে ডাঃ বানাতে। কিন্তু পড়লাম কমার্স নিয়ে। ইচ্ছা চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্ট হব। বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করলাম অর্থণীতি নিয়ে। পাঠ্যসূচী এবং পঠন-পাঠন নতুন করে ভাবার সুযোগ দিল।
ভাবলাম উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশের কাজে লাগবো। অনার্স শেষে স্থানীয় উন্নয়ন প্রচেষ্টায় নিয়োজিত এক প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলাম। কিন্তু ...
প্রতিনিয়ত নিজের বিবেককে বাস্তবতার কাছে ধর্ষিত হতে দেখে মনটা ভেঙ্গে গেল। ইস্তফা দিয়ে কর্পোরেট এডুকেশনে যোগ দিলাম। নেতৃত্ব ইন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে শামিল হওয়ার নতুন প্রত্যয় নিলাম। এডুকেশন শেষ। শুরু হতাশা। চারপাশে যে হারে দখল উৎসব চলছে তাতে মনে শঙ্কা জাগে- না জানি কোন দিন আমার বিদ্যে-বুদ্ধি-বিবেকও দখল না হয়।
এখন আবার নতুন চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বাউল হবার নতুন বাসনায় নিত্য দোলায়িত হচ্ছি। আমার মত বোকা-সোকা লোকের জন্য এটা এক উত্তম পন্থা বলে মনে হয়েছে। সেখানেও বাঁধছে গলদ। বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে যেভাবে বাউলদের মার্কেটিং চলছে তাতে আবার নতুন ভীতি জন্মেছে। আবার এই বয়েষে অংক শিখতে না হয়। অন্তত নিজে বাজার দর যাচাই করার মত বিদ্যে তো অর্জন করতে হবে।
আমার আরেকটি সিভিআর প্রবলেম আছে। সেটা প্রবলেম অব চয়েজ। যখনই অপশসনস এসে যায় ঠিক বুঝে উঠতে পারি না কোনটা ভলো।
তো এতো এতো অপশন দেখে আবার ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হচ্ছে। কি বিপদ। কি করি ; কি... ক....রি...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৪:৩১